ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে অবদমিত করতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো শুধু নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সকল ধর্মের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে। এগুলো ধর্মীয় উৎসব হলেও আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে। তাই আজকের দিনে আমি বলবো, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি; যারা মাঝে-মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাদের অবদমিত করতে হলে শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নাই।’
গতকাল শনিবার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত ‘শুভ বৌদ্ধ পূর্ণিমা জাতীয় সম্মেলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসব-২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের এই রাষ্ট্র রচিত হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষের সম্মিলিত রক্ত স্রোতের বিনিময়ে এই রাষ্ট্র রচিত হয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমাদের রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নষ্ট করা হয়েছে, রাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়েছে, রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।’
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণ করার পর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ফিরিয়ে আনার অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং ফিরিয়ে এনেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আজও আমরা দেখতে পাই যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তারা বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়।’
শেখ হাসিনাকে ‘অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র কিংবা উন্নয়ন-অগ্রগতিরই প্রতীক নন, তিনি হচ্ছেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতীক। কিছুদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংস্কৃতিকে ধর্মের সঙ্গে মেলানো উচিৎ নয়। সৌদি আরবে মুসলমানরা উলু ধ্বনি দেয়। কিন্তু আমাদের দেশে দিলে একটি অংশ বলবে, আমরা হিন্দু হয়ে গেছি। সৌদি আরবে দেওয়া হয়, কারণ এটি তাদের সংস্কৃতির অংশ।’
উদ্বোধনী বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ১৯৭২ সালে সংবিধানে বঙ্গবন্ধু সকল ধর্ম পালনের স্বাধীনতা প্রণয়ন করেছেন। আর সে জন্য তিনি অসাম্প্রদায়িক শব্দটি সংবিধানে উল্লেখ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি আমরা সেই নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে বসবাস করছি। বৌদ্ধ ধর্মের যে মূল কথা অহিংসা পরম ধর্ম, সকল ধর্মের মূল কথাই এটি। এই নীতিকে যদি সবাই ধারণ করতে পারে তাহলে কোনও হিংসা-বিদ্বেষ থাকার কথা নয়।
এসময় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিকসহ আরও অনেকে। এরপর তথ্যমন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর: গুরুত্ব পাবে দক্ষ কর্মী পাঠানো ও বিনিয়োগ

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে অবদমিত করতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো শুধু নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সকল ধর্মের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে। এগুলো ধর্মীয় উৎসব হলেও আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে। তাই আজকের দিনে আমি বলবো, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি; যারা মাঝে-মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাদের অবদমিত করতে হলে শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নাই।’
গতকাল শনিবার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত ‘শুভ বৌদ্ধ পূর্ণিমা জাতীয় সম্মেলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসব-২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের এই রাষ্ট্র রচিত হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষের সম্মিলিত রক্ত স্রোতের বিনিময়ে এই রাষ্ট্র রচিত হয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমাদের রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নষ্ট করা হয়েছে, রাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়েছে, রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।’
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণ করার পর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ফিরিয়ে আনার অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং ফিরিয়ে এনেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আজও আমরা দেখতে পাই যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তারা বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়।’
শেখ হাসিনাকে ‘অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র কিংবা উন্নয়ন-অগ্রগতিরই প্রতীক নন, তিনি হচ্ছেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতীক। কিছুদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংস্কৃতিকে ধর্মের সঙ্গে মেলানো উচিৎ নয়। সৌদি আরবে মুসলমানরা উলু ধ্বনি দেয়। কিন্তু আমাদের দেশে দিলে একটি অংশ বলবে, আমরা হিন্দু হয়ে গেছি। সৌদি আরবে দেওয়া হয়, কারণ এটি তাদের সংস্কৃতির অংশ।’
উদ্বোধনী বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ১৯৭২ সালে সংবিধানে বঙ্গবন্ধু সকল ধর্ম পালনের স্বাধীনতা প্রণয়ন করেছেন। আর সে জন্য তিনি অসাম্প্রদায়িক শব্দটি সংবিধানে উল্লেখ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি আমরা সেই নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে বসবাস করছি। বৌদ্ধ ধর্মের যে মূল কথা অহিংসা পরম ধর্ম, সকল ধর্মের মূল কথাই এটি। এই নীতিকে যদি সবাই ধারণ করতে পারে তাহলে কোনও হিংসা-বিদ্বেষ থাকার কথা নয়।
এসময় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিকসহ আরও অনেকে। এরপর তথ্যমন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন ঘোষণা করেন।