ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সামনে সংকট রয়েছে, তবে লঙ্কান দশার আশঙ্কা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:০১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব অনেকটা বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের ওপর পড়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সামনের দিকে কিছুটা সংকট রয়েছে জানিয়ে তিনি সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। তবে লঙ্কান দশা (শ্রীলঙ্কার অবস্থা) হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান মন্ত্রী।
‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে অনেকে প্রচার করছে সে অবস্থা হতে পারে। সেরকম কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা নিজেরাই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছি।’ যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অবস্থা ভালো থাকলে দেশের অবস্থাও ভালো থাকে মন্তব্য করে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমি বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যে আছি। তেল, চিনি, ডালের দাম নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তেলের ৯০ ভাগ আমাদের আমদানি করে আনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের প্রভাব পড়লে দেশেও দাম বেড়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি পণ্য আছে যেগুলো আমরা মনিটর করি। ঈদের আগে তেলের দাম নিয়ে অনেক কথা এসেছে। প্রতি মাসে একবার বসে ট্যারিফ কমিশন এই প্রাইজিংটা (দাম নির্ধারণ) করে। সবকিছু এভারেজ করে দামটা নির্ধারণ করা হয়।’
‘আমাদের একটা বিশেষ কারণ ছিল, ঈদের (রমজান) মাসটাতে আমরা দামটা বাড়াতে চাইনি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম, এই সময়টা ম্যানেজ করেন। তাই যেই সময়ে দামটা ফিক্স (নির্ধারণ) করা হয় সেখানে কিছুটা বিলম্ব হয়। যেহেতু তারা ভেবেছিলেন ঈদের পর দামটা বাড়বে, সেজন্য অনেকে তেল জমিয়ে রেখেছিলেন।’
‘এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম একটু চড়া। তবুও দাম মানুষের নাগালের মধ্যেই আছে’ মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম যদি কৃষক ২৫ টাকা পান তাহলেও মোটামুটি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। পরে সেটির সঙ্গে ট্রান্সপোর্টসহ কিছু কস্টিং যুক্ত হয়।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু ভালো কাজ করতে পেরেছি। আমরা ৬০ বিলিয়ন রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি।’ ২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘১৫০টির বেশি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য পাঠাতে পারছি। অন্যদিকে ইথিওপিয়া এসব পণ্যের ৯০ শতাংশ বাইরে থেকে আমদানি করে। গার্মেন্টস সেক্টরে আরও ১০ লাখ কর্মী যুক্ত হবে বলে আশা করছি।’ বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংগঠনের অন্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রি বন্ধ কেন, ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রী : ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকে করে সয়াবিন তেলসহ নিত্য পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা কেন বাদ দেওয়া হল, সেই কারণ বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রিতে সুফল পায় কেবল শহরের মানুষ। গ্রামের মানুষকেও সেই সুফল দিতে জুনের শুরু থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কাছে কম দামে পণ্য বিক্রি করা হবে।
“১৬ তারিখ থেকে যেটা দিতে চেয়েছিলাম, সেটা কিন্তু এক কোটি মানুষকে নয়, ট্রাকে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এমন শহরগুলোতে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন, শহরের এই মানুষগুলোকে দেওয়া হচ্ছে, গ্রামের মানুষকে তো দেওয়া হচ্ছে না। একটু সময় নিয়ে ঢাকাতে আমরা দেব এবং গ্রামেও দেব।”
বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করত। পরে তা স্থগিত করে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ শুরু হয়। ঈদের সরকারি এই সংস্থা জানিয়েছিল, ১৬ মে থেকে আবার সারাদেশে সব মহানগরী, জেলা ও উপজেলায় ৩০০টি খোলা ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
টিসিবির ট্রাক সেলে ১১০ টাকায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রির কথা ছিল, যেখানে বাজারে দাম ২০০ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া টিসিবির ট্রাকে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল ৬৫ টাকা এবং ছোলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
কিন্তু বুধবার সরকারের এক আদেশে বলা হয়, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ বাস্তবায়নের জন্য চলতি মাসের ১৬ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত স্বল্প পরিসরে সাধারণ ট্রাকসেল কার্যক্রম বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি নি¤œ আয়ের পরিবারকে টিসিবি ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্য তেল, মশুর ডাল, চিনি দেবে।
“ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ফ্যামিলি কার্ড প্রণয়ন ও বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে শুধু ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবির পণ্য সামগ্রী বিক্রি হবে।”
টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ঢাকায় ট্রাকে করে দেওয়া হয় ১৫ লাখ মানুষকে। বাকি ৮৫ লাখ দরিদ্রের কার্ড থাকে, তাদেরকে দেওয়া হয়। ইনস্ট্রাকশনটা এসেছে এবং আমরাও রি-অ্যারেন্জ করেছি। ৮৫ লাখ মানুষকে বাদ দিয়ে ১৫-১৬ লাখ মানুষকে দেওয়ার চেয়ে একটুখানি সময় নিয়েৃ”
ঢাকা ও বরিশালে কারা ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য পাবে, সেই তালিকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করে জুনের শুরু থেকেই এক কোটি মানুষকে পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, “এই ১৫ দিন আমরা পিছিয়ে গেছি, আসলে আরো বেশি অ্যাডভ্যান্স হওয়ার জন্য।” তিনি বলেন, “আমরা এক কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দিয়েছি দুইবার। আমাদের মাথায় আছে এক কোটি মানুষকে দেওয়া রেগুলার করব।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সামনে সংকট রয়েছে, তবে লঙ্কান দশার আশঙ্কা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:০১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব অনেকটা বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের ওপর পড়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সামনের দিকে কিছুটা সংকট রয়েছে জানিয়ে তিনি সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। তবে লঙ্কান দশা (শ্রীলঙ্কার অবস্থা) হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান মন্ত্রী।
‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে অনেকে প্রচার করছে সে অবস্থা হতে পারে। সেরকম কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা নিজেরাই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছি।’ যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অবস্থা ভালো থাকলে দেশের অবস্থাও ভালো থাকে মন্তব্য করে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমি বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যে আছি। তেল, চিনি, ডালের দাম নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তেলের ৯০ ভাগ আমাদের আমদানি করে আনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের প্রভাব পড়লে দেশেও দাম বেড়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি পণ্য আছে যেগুলো আমরা মনিটর করি। ঈদের আগে তেলের দাম নিয়ে অনেক কথা এসেছে। প্রতি মাসে একবার বসে ট্যারিফ কমিশন এই প্রাইজিংটা (দাম নির্ধারণ) করে। সবকিছু এভারেজ করে দামটা নির্ধারণ করা হয়।’
‘আমাদের একটা বিশেষ কারণ ছিল, ঈদের (রমজান) মাসটাতে আমরা দামটা বাড়াতে চাইনি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম, এই সময়টা ম্যানেজ করেন। তাই যেই সময়ে দামটা ফিক্স (নির্ধারণ) করা হয় সেখানে কিছুটা বিলম্ব হয়। যেহেতু তারা ভেবেছিলেন ঈদের পর দামটা বাড়বে, সেজন্য অনেকে তেল জমিয়ে রেখেছিলেন।’
‘এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম একটু চড়া। তবুও দাম মানুষের নাগালের মধ্যেই আছে’ মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম যদি কৃষক ২৫ টাকা পান তাহলেও মোটামুটি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। পরে সেটির সঙ্গে ট্রান্সপোর্টসহ কিছু কস্টিং যুক্ত হয়।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু ভালো কাজ করতে পেরেছি। আমরা ৬০ বিলিয়ন রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি।’ ২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘১৫০টির বেশি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য পাঠাতে পারছি। অন্যদিকে ইথিওপিয়া এসব পণ্যের ৯০ শতাংশ বাইরে থেকে আমদানি করে। গার্মেন্টস সেক্টরে আরও ১০ লাখ কর্মী যুক্ত হবে বলে আশা করছি।’ বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংগঠনের অন্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রি বন্ধ কেন, ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রী : ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকে করে সয়াবিন তেলসহ নিত্য পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা কেন বাদ দেওয়া হল, সেই কারণ বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রিতে সুফল পায় কেবল শহরের মানুষ। গ্রামের মানুষকেও সেই সুফল দিতে জুনের শুরু থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কাছে কম দামে পণ্য বিক্রি করা হবে।
“১৬ তারিখ থেকে যেটা দিতে চেয়েছিলাম, সেটা কিন্তু এক কোটি মানুষকে নয়, ট্রাকে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এমন শহরগুলোতে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন, শহরের এই মানুষগুলোকে দেওয়া হচ্ছে, গ্রামের মানুষকে তো দেওয়া হচ্ছে না। একটু সময় নিয়ে ঢাকাতে আমরা দেব এবং গ্রামেও দেব।”
বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করত। পরে তা স্থগিত করে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ শুরু হয়। ঈদের সরকারি এই সংস্থা জানিয়েছিল, ১৬ মে থেকে আবার সারাদেশে সব মহানগরী, জেলা ও উপজেলায় ৩০০টি খোলা ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
টিসিবির ট্রাক সেলে ১১০ টাকায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রির কথা ছিল, যেখানে বাজারে দাম ২০০ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া টিসিবির ট্রাকে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল ৬৫ টাকা এবং ছোলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
কিন্তু বুধবার সরকারের এক আদেশে বলা হয়, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ বাস্তবায়নের জন্য চলতি মাসের ১৬ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত স্বল্প পরিসরে সাধারণ ট্রাকসেল কার্যক্রম বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি নি¤œ আয়ের পরিবারকে টিসিবি ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্য তেল, মশুর ডাল, চিনি দেবে।
“ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ফ্যামিলি কার্ড প্রণয়ন ও বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে শুধু ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবির পণ্য সামগ্রী বিক্রি হবে।”
টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ঢাকায় ট্রাকে করে দেওয়া হয় ১৫ লাখ মানুষকে। বাকি ৮৫ লাখ দরিদ্রের কার্ড থাকে, তাদেরকে দেওয়া হয়। ইনস্ট্রাকশনটা এসেছে এবং আমরাও রি-অ্যারেন্জ করেছি। ৮৫ লাখ মানুষকে বাদ দিয়ে ১৫-১৬ লাখ মানুষকে দেওয়ার চেয়ে একটুখানি সময় নিয়েৃ”
ঢাকা ও বরিশালে কারা ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য পাবে, সেই তালিকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করে জুনের শুরু থেকেই এক কোটি মানুষকে পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, “এই ১৫ দিন আমরা পিছিয়ে গেছি, আসলে আরো বেশি অ্যাডভ্যান্স হওয়ার জন্য।” তিনি বলেন, “আমরা এক কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দিয়েছি দুইবার। আমাদের মাথায় আছে এক কোটি মানুষকে দেওয়া রেগুলার করব।”