ক্রীড়া ডেস্ক: দারুণ পারফরম্যান্সে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম গোলের আনন্দে ভাসলেন সাভিনিয়ো। সেই সঙ্গে আর্লিং হলান্ডের খরা কাটানো গোলেও অবদান রাখলেন তিনি। হতাশাময় পথচলার মাঝে অবশেষে একটু স্বস্তির সুবাতাস বয়ে গেল ম্যানচেস্টার সিটি শিবিরে। লেস্টার সিটির মাঠে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। সাভিনিয়ো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান হলান্ড। এই নিয়ে লিগে সবশেষ ১০ এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ১৪ ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয় জয় পেল সিটি।
অবশ্য এই জয়েই লিগ টেবিলে দুই ধাপ এগিয়েছে তারা; ১৯ ম্যাচে ৯ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পঞ্চম স্থানে আছে দলটি। ভালো দুটি আক্রমণ ভেস্তে যাওয়ার পর দশম মিনিটে মহাবিপদে পড়তে পারত সিটি। লেস্টার ফরোয়ার্ড জেমি ভার্ডি প্রতি-আক্রণে দ্রুত এগিয়ে যান, ছুটে এসে তাকে ফেলে দেন গোলরক্ষক স্টেফান ওর্টেগা। বড় শাস্তিই হতে পারত, তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
লিগে গত চার ম্যাচে জয়হীন সিটি ২১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায়। ফিল ফোডেনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক; কিন্তু দলকে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। ওই আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে জোরাল কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে নেন সাভিনিয়ো। গত জুলাইয়ে সিটিতে যোগ দেওয়া ২০ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এটি প্রিমিয়ার লিগে প্রথম গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারুণ একটি আক্রমণ শাণায় লেস্টার। তবে বক্সে দারুণভাবে স্লাইড করে ফাকুন্দোর পা থেকে বল কেড়ে নেন নাথান আকে। কিছুক্ষণ পর ভালো একটি আক্রমণ শাণায় সিটিও; কিন্তু বের্নার্দো সিলভার হেড গোলমুখে পেয়েও প্রয়োজনীয় টোকা দিতে পারেননি ইয়োশকো ভার্দিওল। দারুণ এক গোছানো আক্রমণে ৭৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হলান্ড।
কেভিন ডে ব্রুইনে কোনাকুনি পাসে বাঁ দিকে খুঁজে নেন সাভিনিয়োকে, আর তার ক্রস বক্সের ডান দিকে পেয়ে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান নরওয়ের তারকা। লিগে পাঁচ ম্যাচে প্রথম জালের দেখা পেলেন হলান্ড, আসরে তার মোট গোল হলো ১৪টি। তার চেয়ে দুটি গোল বেশি নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ। অবনমন অঞ্চলে ঘুরপাক খাওয়া লেস্টার বাকি সময়ে চেষ্টা করলেও, ব্যর্থতার জাল ছিঁড়তে পারেনি। ১১ হারের পর ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে আছে দলটি।