ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

সাবেক হাই কমিশনার খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত দুদকের

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মালয়েশিয়ায় সাবেক হাই কমিশনার এম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে সেখানে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
গতকাল মঙ্গলবার কমিশন থেকে মামলার অনুমোদন করা হয়। বিষয়টি দুদকের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন
দুদক সূত্র জানা যায়, এম খায়রুজ্জামান ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর হতে ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত হাই কমিশনার হিসেবে বাংলাদেশ হাই কমিশন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়ায় কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সরকারের এক কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার ৯১৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন চিফ অ্যাকউন্টস অফিসার মো. মনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি কর্তৃক বিভাগীয় তদন্তে খায়রুজ্জামানের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান। মালয়েশিয়ায় তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন। চলতি বছরের (৯ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সকালে খায়রুজ্জামানকে কুয়ালালামপুরের আমপাং এলাকায় তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়া পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়ে খায়রুজ্জামানের আইনজীবী গণমাধ্যমকে সেসময় বলেন, ‘কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই খায়রুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে।’
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে ওই মামলা থেকে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক হাই কমিশনার খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত দুদকের

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মালয়েশিয়ায় সাবেক হাই কমিশনার এম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে সেখানে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
গতকাল মঙ্গলবার কমিশন থেকে মামলার অনুমোদন করা হয়। বিষয়টি দুদকের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন
দুদক সূত্র জানা যায়, এম খায়রুজ্জামান ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর হতে ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত হাই কমিশনার হিসেবে বাংলাদেশ হাই কমিশন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়ায় কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সরকারের এক কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার ৯১৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন চিফ অ্যাকউন্টস অফিসার মো. মনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি কর্তৃক বিভাগীয় তদন্তে খায়রুজ্জামানের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান। মালয়েশিয়ায় তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন। চলতি বছরের (৯ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সকালে খায়রুজ্জামানকে কুয়ালালামপুরের আমপাং এলাকায় তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়া পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়ে খায়রুজ্জামানের আইনজীবী গণমাধ্যমকে সেসময় বলেন, ‘কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই খায়রুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে।’
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে ওই মামলা থেকে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।