ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সাবেক মন্ত্রী পার্থসহ ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে সিবিআই।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতের আরেক কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখার্জির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন আদালতের নির্দেশে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে রয়েছেন। গত ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসসির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তাঁর বেহালার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। একই সময় গ্রেপ্তার হন অর্পিতা। অর্পিতাও আলিপুর নারী কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাকে কারাগারে থাকতে হবে। এবার পূজা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন তাঁরা। তাঁদের জিম্মায় থাকা নগদ অর্থসহ ইডি প্রায় ১০৩ কোটি রুপির সম্পদ জব্দ করে।
শুক্রবার আদালতে দাখিল করা সিবিআইর অভিযোগপত্রে পার্থসহ যে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সাবেক সহকারী সচিব অশোক সাহা, সাবেক উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা, প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য, সাবেক চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার প্রমুখ। ৫০ পাতার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এসএসসির গ্রুপ সি বিভাগে যে ৩৮১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ২২২ জন আদৌ নিয়োগ পরীক্ষা দেননি। অন্যরা পরীক্ষা দিলেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী পার্থ ছাড়াও কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদ ও অশোক সাহা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এই দুর্নীতি মামলার পরবর্তী তারিখ ৩১ অক্টোবর। পার্থর আইনজীবীরা বারবার জামিনের জন্য আবেদন জানালেও আদালত তা বারবারই খারিজ করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক মন্ত্রী পার্থসহ ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

আপডেট সময় : ০১:০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে সিবিআই।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতের আরেক কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখার্জির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন আদালতের নির্দেশে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে রয়েছেন। গত ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসসির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তাঁর বেহালার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। একই সময় গ্রেপ্তার হন অর্পিতা। অর্পিতাও আলিপুর নারী কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাকে কারাগারে থাকতে হবে। এবার পূজা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন তাঁরা। তাঁদের জিম্মায় থাকা নগদ অর্থসহ ইডি প্রায় ১০৩ কোটি রুপির সম্পদ জব্দ করে।
শুক্রবার আদালতে দাখিল করা সিবিআইর অভিযোগপত্রে পার্থসহ যে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সাবেক সহকারী সচিব অশোক সাহা, সাবেক উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা, প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য, সাবেক চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার প্রমুখ। ৫০ পাতার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এসএসসির গ্রুপ সি বিভাগে যে ৩৮১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ২২২ জন আদৌ নিয়োগ পরীক্ষা দেননি। অন্যরা পরীক্ষা দিলেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী পার্থ ছাড়াও কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদ ও অশোক সাহা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এই দুর্নীতি মামলার পরবর্তী তারিখ ৩১ অক্টোবর। পার্থর আইনজীবীরা বারবার জামিনের জন্য আবেদন জানালেও আদালত তা বারবারই খারিজ করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।