ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খুন কাতার গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না

  • আপডেট সময় : ১২:২৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদী সংবাদদাতা : নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবুল হাসানকে খুন করে কাতার চলে যান হত্যাকাণ্ডের নায়ক। কিন্তু কাতার গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। কাতার থেকে ফিরিয়ে এনে হত্যার মাস্টারমাইন্ড ও এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি রাসেল মাহমুদকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর কাতার এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাকে বাংলাদেশ ফেরত এনে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের অপর অভিযুক্ত মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেপ্তার রাসেল মাহমুদ (৪৫) মাধবদী পৌলানপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- মাধবদী পৌলানপুর এলাকার মৃত কদম আলী’র ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (৬৫) তার ছেলে মো. হিমেল মিয়া (৪৩) অপর ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৯), অপর ছেলে মো. নবেল মিয়া (২৮), টাঙ্গাইল গোপালপুর খানপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রাব্বী (১৯), কুড়িগ্রাম জেলার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. মিঠু (৩৫) ও মাধবদী কবিরাজপুর এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে মো. লিপু মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড রাসেল মাহমুদ হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ২৯ মে কাতার এয়ারলাইন্স যোগে কাতার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেয়। খবর পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ টিম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। জেলা পুলিশের যৌথ টিম বিমান বন্দরে যখন পৌঁছায় তখন মাস্টারমাইন্ড রাসেলকে বহনকারী কাতার এয়ারলাইন্সের বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে বিমানটি কাতারের রাজধানী দোহারের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরবর্তীতে জেলা পুলিশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাতার ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনে পৌঁছালে সেখানকার পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে ফিরতি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। মাস্টারমাইন্ড রাসেল মাহমুদ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছালে ঢাকা ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত ২৮ মে মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেহের পাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। হত্যার দুইদিন পর নিহতের ভাই ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তের সঙ্গে নিহত সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানের দ্বন্দ্ব চলছিল।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খুন কাতার গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না

আপডেট সময় : ১২:২৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

নরসিংদী সংবাদদাতা : নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবুল হাসানকে খুন করে কাতার চলে যান হত্যাকাণ্ডের নায়ক। কিন্তু কাতার গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। কাতার থেকে ফিরিয়ে এনে হত্যার মাস্টারমাইন্ড ও এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি রাসেল মাহমুদকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর কাতার এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাকে বাংলাদেশ ফেরত এনে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের অপর অভিযুক্ত মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেপ্তার রাসেল মাহমুদ (৪৫) মাধবদী পৌলানপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- মাধবদী পৌলানপুর এলাকার মৃত কদম আলী’র ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (৬৫) তার ছেলে মো. হিমেল মিয়া (৪৩) অপর ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৯), অপর ছেলে মো. নবেল মিয়া (২৮), টাঙ্গাইল গোপালপুর খানপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রাব্বী (১৯), কুড়িগ্রাম জেলার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. মিঠু (৩৫) ও মাধবদী কবিরাজপুর এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে মো. লিপু মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড রাসেল মাহমুদ হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ২৯ মে কাতার এয়ারলাইন্স যোগে কাতার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেয়। খবর পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ টিম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। জেলা পুলিশের যৌথ টিম বিমান বন্দরে যখন পৌঁছায় তখন মাস্টারমাইন্ড রাসেলকে বহনকারী কাতার এয়ারলাইন্সের বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে বিমানটি কাতারের রাজধানী দোহারের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরবর্তীতে জেলা পুলিশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাতার ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনে পৌঁছালে সেখানকার পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে ফিরতি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। মাস্টারমাইন্ড রাসেল মাহমুদ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছালে ঢাকা ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত ২৮ মে মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেহের পাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। হত্যার দুইদিন পর নিহতের ভাই ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তের সঙ্গে নিহত সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানের দ্বন্দ্ব চলছিল।