নিজস্ব প্রতিবেদক : সয়াবিন ও পাম তেলে শুল্ক-কর কমানোর পর এবার সান ফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত- দু’ধরনের তেল আমদানিতেই এমন সুপারিশ করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক-কর পুনর্র্নিধারণ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ ধরনের সুপারিশ করেছে বিটিটিসি। গত বুধবার প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে। আলোচনার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সূত্রমতে, দেশের বাজারে ভোজ্যতেল হিসেবে বেশি চলে সয়াবিন ও পাম তেল। অথচ বিশ্ববাজারে সান ফ্লাওয়ার (সূর্যমুখী) ও ক্যানোলা তেলের দাম সয়াবিন ও পামের কাছাকাছি। কিন্তু শুল্ক হার বেশি হওয়ায় পণ্য দুটির আমদানি কম। এমতাবস্থায় শুল্ককর কমানো হলে পণ্য দুটির আমদানি বাড়বে এবং ভোজ্যতেলের সরবরাহব্যবস্থা ভালো হবে। জানা যায়, অপরিশোধিত সান ফ্লাওয়ারে বর্তমানে ৩১ শতাংশ ও পরিশোধিত সান ফ্লাওয়ারে ৩২ শতাংশ শুল্ক–কর রয়েছে। আর অপরিশোধিত ক্যানোলা তেলে বর্তমানে ৩৭ শতাংশ এবং পরিশোধিত ক্যানোলায় ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ শুল্ক–কর রয়েছে। বিটিটিসি’র মতে, রমজান মাস সামনে রেখে অপরিশোধিত সান ফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল আমদানিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা যেতে পারে। এ সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে। তবে পরিশোধিত সান ফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের শুল্ক–কর প্রস্তাব করা হয়েছে ২০ শতাংশ, যার মধ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি)। এদিকে সম্প্রতি অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এনবিআর।