ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রাজধানীর ফলের বাজার

  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ফলের বাজারে দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মৌসুমি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফলের দামও বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোলমতি আম কেজি ১৮০ টাকা, কাঠিবন আম কেজি ২২০ টাকা, চায়না আপেল কেজি ৩৫০ টাকা, সবুজ আপেল কেজি ৪০০ টাকা, লাল আঙুর কেজি ৪০০ টাকা, সবুজ আঙুর কেজি ৫২০ টাকাদরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, কমলা কেজি ৩৫০ টাকা, মাল্টা ৪০০ টাকা, নাশপাতি কেজি ৩৫০ টাকা, বেদানা কেজি ৪৫০–৫০০ টাকা, ড্রাগন ফল কেজি ২২০ টাকা, দেশি পেয়ারা কেজি ৭০ টাকা, সাগর কলা প্রতি ডজন ১৫০ টাকা, তরমুজ পিস ৩০০ টাকা, জাম্বুরা পিস ৭০ টাকা, হানি ডিউ পিস ১৫০ টাকা, আনারস পিস ৭০ টাকা, কাঁচা কমলা কেজি ১০০ টাকা।

ফল বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘাটে গেলে আমরা মাল পাই না। দামেও আগুন। বেচাকেনা একেবারেই নেই। যিনি আগে এক কেজি কিনতেন, তিনি এখন এক পোয়া নেন। আজ বেলা ১২টা বাজলো এখনো ১ টাকার ফলও বিক্রি হয়নি।

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত না হলে এবং আমদানি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে না আনলে সাধারণ মানুষ ফল কিনতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আমরা এই আমলেও এমন চিত্র দেখতে চাইনি।

ফল বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা তো ইচ্ছে করে দাম বাড়াই না। পাইকারি বাজার থেকেই আনতে হচ্ছে বেশি দামে। আগে যেখানে ৫০ হাজার টাকার মাল আনলে এক সপ্তাহ চলত, এখন তা দুই দিনেই শেষ হয়ে যায়। বিক্রিও আগের চেয়ে অর্ধেক কমে গেছে।

বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রুবেল মিয়া বলেন, ডাক্তাররা ফল খেতে বলেন কিন্তু এই দামে ফল কিনতে গেলে সংসার চালানো সম্ভব না। বাজারে গিয়ে ফল দেখে শুধু হাহাকার করে ফিরে আসতে হয়।

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রাজধানীর ফলের বাজার

আপডেট সময় : ১১:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ফলের বাজারে দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মৌসুমি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফলের দামও বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোলমতি আম কেজি ১৮০ টাকা, কাঠিবন আম কেজি ২২০ টাকা, চায়না আপেল কেজি ৩৫০ টাকা, সবুজ আপেল কেজি ৪০০ টাকা, লাল আঙুর কেজি ৪০০ টাকা, সবুজ আঙুর কেজি ৫২০ টাকাদরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, কমলা কেজি ৩৫০ টাকা, মাল্টা ৪০০ টাকা, নাশপাতি কেজি ৩৫০ টাকা, বেদানা কেজি ৪৫০–৫০০ টাকা, ড্রাগন ফল কেজি ২২০ টাকা, দেশি পেয়ারা কেজি ৭০ টাকা, সাগর কলা প্রতি ডজন ১৫০ টাকা, তরমুজ পিস ৩০০ টাকা, জাম্বুরা পিস ৭০ টাকা, হানি ডিউ পিস ১৫০ টাকা, আনারস পিস ৭০ টাকা, কাঁচা কমলা কেজি ১০০ টাকা।

ফল বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘাটে গেলে আমরা মাল পাই না। দামেও আগুন। বেচাকেনা একেবারেই নেই। যিনি আগে এক কেজি কিনতেন, তিনি এখন এক পোয়া নেন। আজ বেলা ১২টা বাজলো এখনো ১ টাকার ফলও বিক্রি হয়নি।

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত না হলে এবং আমদানি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে না আনলে সাধারণ মানুষ ফল কিনতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আমরা এই আমলেও এমন চিত্র দেখতে চাইনি।

ফল বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা তো ইচ্ছে করে দাম বাড়াই না। পাইকারি বাজার থেকেই আনতে হচ্ছে বেশি দামে। আগে যেখানে ৫০ হাজার টাকার মাল আনলে এক সপ্তাহ চলত, এখন তা দুই দিনেই শেষ হয়ে যায়। বিক্রিও আগের চেয়ে অর্ধেক কমে গেছে।

বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রুবেল মিয়া বলেন, ডাক্তাররা ফল খেতে বলেন কিন্তু এই দামে ফল কিনতে গেলে সংসার চালানো সম্ভব না। বাজারে গিয়ে ফল দেখে শুধু হাহাকার করে ফিরে আসতে হয়।

এসি/