ঢাকা ১২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

‘সাদিক অ্যাগ্রো’ পুরোটাই উচ্ছেদ, মুক্ত রামচন্দ্রপুর খাল

  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন :ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিনে মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং সংলগ্ন আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর খামারের সম্পূর্ণ অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শনিবার তৃতীয় ধাপের অভিযানে উচ্ছেদকৃত অংশে ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কার্যক্রম চালানোয় অনেকটা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে রামচন্দ্রপুর খাল।
এদিন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান অভিযানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে সাদিক অ্যাগ্রোর অফিস এবং ছাগলের খামারের একাংশ ভেঙে ফেলে সিটি করপোরেশন। ওইদিন সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। পরে দ্বিতীয় ধাপে সম্পন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযানের পর গবাদি পশু রাখার জায়গা না থাকায় তা সরিয়ে নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির সাভার উপজেলার বলিয়াপুরের খামারে। নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন দিনের অভিযানে প্রায় ৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া রামচন্দ্রপুর খালের ১০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে খনন কাজ চালানো হয়েছে।
অভিযানসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাতমসজিদ হাউজিংয়ের ১ নম্বর সড়কের শেষ প্রান্তে থাকা সাদিক অ্যাগ্রোর খামারটি ছিল একেবারে রামচন্দ্রপুর খালের পাড় ঘেঁষে। অথচ খালের প্লাবন ভূমির (ফোরশোর) ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। এছাড়া স্থাপনা নির্মাণের জন্য (খামার) সাদিক অ্যাগ্রোর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতিও ছিল না। খামারের জন্য সিটি করপোরেশনের থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো ট্রেড লাইসেন্স।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘সাদিক অ্যাগ্রো’ পুরোটাই উচ্ছেদ, মুক্ত রামচন্দ্রপুর খাল

আপডেট সময় : ১১:৩৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

মহানগর প্রতিবেদন :ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিনে মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং সংলগ্ন আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর খামারের সম্পূর্ণ অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শনিবার তৃতীয় ধাপের অভিযানে উচ্ছেদকৃত অংশে ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কার্যক্রম চালানোয় অনেকটা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে রামচন্দ্রপুর খাল।
এদিন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান অভিযানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে সাদিক অ্যাগ্রোর অফিস এবং ছাগলের খামারের একাংশ ভেঙে ফেলে সিটি করপোরেশন। ওইদিন সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। পরে দ্বিতীয় ধাপে সম্পন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযানের পর গবাদি পশু রাখার জায়গা না থাকায় তা সরিয়ে নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির সাভার উপজেলার বলিয়াপুরের খামারে। নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন দিনের অভিযানে প্রায় ৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া রামচন্দ্রপুর খালের ১০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে খনন কাজ চালানো হয়েছে।
অভিযানসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাতমসজিদ হাউজিংয়ের ১ নম্বর সড়কের শেষ প্রান্তে থাকা সাদিক অ্যাগ্রোর খামারটি ছিল একেবারে রামচন্দ্রপুর খালের পাড় ঘেঁষে। অথচ খালের প্লাবন ভূমির (ফোরশোর) ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। এছাড়া স্থাপনা নির্মাণের জন্য (খামার) সাদিক অ্যাগ্রোর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতিও ছিল না। খামারের জন্য সিটি করপোরেশনের থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো ট্রেড লাইসেন্স।