ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সাত ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে ধরল দুদক

  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভুয়া এমবিবিএস পাসের সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার দুপুরে দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বে একটি টিম তাদের রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন। যে সাত ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার হলেন- কুমিল্লার ইমান আলী ও মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের তন্ময় আহমেদ, চাঁদপুরের মো. মোক্তার হোসাইন, গাজীপুরের মো. কাউসার ও নারায়ণগঞ্জের রহমত আলী।
গ্রেপ্তার না হওয়া মামলার আসামি ভুয়া চিকিৎসকরা হলেন, ভোলার মো. মাহমুদুল হাসান, ঢাকার মো. আসাদ উল্লাহ, বাগেরহাটের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর মো. সাইফুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জের মো. আসলাম হোসেন। এছাড়া তাদের সহযোগিতার দায়ে অন্য দুই আসামি হলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, তারা চীনের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। সচিব বলেন, এর আগে ১২ জন ভুয়া চিকিৎসকসহ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। এসব সনদ যাচাই-বাছাই করতে চীনে পাঠায় দুদক। দুদক সচিব বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি মাহমুদুল হক নামে একজন ভুয়া চিকিৎসক হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইতে গেলে তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। মাহবুব হোসেন বলেন, রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায় তাদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া। সবমিলিয়ে তাদের সংখ্যা ১২। এমবিবিএস সনদধারী ওই ব্যক্তিরা কখনো চীনের তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেননি।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এমবিবিএস সনদের সঠিকতা যাচাই করার জন্য সনদপত্রগুলোর অনুলিপি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’তে পাঠানো হয়। চীনের ওই ইউনিভিার্সিটি জানায় তাদের কাছে এই ছাত্রদের কোনো রেকর্ড নেই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাত ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে ধরল দুদক

আপডেট সময় : ০১:০৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভুয়া এমবিবিএস পাসের সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার দুপুরে দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বে একটি টিম তাদের রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন। যে সাত ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার হলেন- কুমিল্লার ইমান আলী ও মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের তন্ময় আহমেদ, চাঁদপুরের মো. মোক্তার হোসাইন, গাজীপুরের মো. কাউসার ও নারায়ণগঞ্জের রহমত আলী।
গ্রেপ্তার না হওয়া মামলার আসামি ভুয়া চিকিৎসকরা হলেন, ভোলার মো. মাহমুদুল হাসান, ঢাকার মো. আসাদ উল্লাহ, বাগেরহাটের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর মো. সাইফুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জের মো. আসলাম হোসেন। এছাড়া তাদের সহযোগিতার দায়ে অন্য দুই আসামি হলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, তারা চীনের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। সচিব বলেন, এর আগে ১২ জন ভুয়া চিকিৎসকসহ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। এসব সনদ যাচাই-বাছাই করতে চীনে পাঠায় দুদক। দুদক সচিব বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি মাহমুদুল হক নামে একজন ভুয়া চিকিৎসক হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইতে গেলে তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। মাহবুব হোসেন বলেন, রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায় তাদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া। সবমিলিয়ে তাদের সংখ্যা ১২। এমবিবিএস সনদধারী ওই ব্যক্তিরা কখনো চীনের তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেননি।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এমবিবিএস সনদের সঠিকতা যাচাই করার জন্য সনদপত্রগুলোর অনুলিপি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’তে পাঠানো হয়। চীনের ওই ইউনিভিার্সিটি জানায় তাদের কাছে এই ছাত্রদের কোনো রেকর্ড নেই।