ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

সাত কোটি ভারতীয় জাল রুপিসহ আটক ২

  • আপডেট সময় : ১২:৫০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : সাত কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রাজধানীর খিলক্ষেত এবং ডেমরা এলাকায় শুক্রবার এক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
গত শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। আটককৃতরা হলেন- ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে সাত কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান বলেন, খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকার মেইন গেইটের সামনে ভারতীয় জাল রুপিসহ এক নারী অবস্থান করছে তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ফাতেমা আক্তার অপিকে আটক করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। আটক ফাতেমার দেওয়া তথ্যে দক্ষিণখান থানার পন্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে আরও সাত কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াতি চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, আটক ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করেন। পরে তা দেশিয় চক্রের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতেন। গত ২৩ নভেম্বর আটক তালেব উদ্ধারকৃত ভারতীয় জাল মুদ্রা অপর আটক ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করে। আটক তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আমদানিকরা মার্বেল পাথরের ৫০০ টি বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতা দ্বারা চিহ্নিত ৯৫ টি বস্তার মধ্যে সুকৌশলে ওই ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলংকা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। আটক ফাতেমা আক্তার অপির বিরুদ্ধে জাল টাকার মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ডিএমপির পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) ইফতেখায়রুল ইসলামের সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাত কোটি ভারতীয় জাল রুপিসহ আটক ২

আপডেট সময় : ১২:৫০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

মহানগর প্রতিবেদন : সাত কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রাজধানীর খিলক্ষেত এবং ডেমরা এলাকায় শুক্রবার এক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
গত শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। আটককৃতরা হলেন- ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে সাত কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান বলেন, খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকার মেইন গেইটের সামনে ভারতীয় জাল রুপিসহ এক নারী অবস্থান করছে তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ফাতেমা আক্তার অপিকে আটক করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। আটক ফাতেমার দেওয়া তথ্যে দক্ষিণখান থানার পন্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে আরও সাত কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াতি চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, আটক ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করেন। পরে তা দেশিয় চক্রের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতেন। গত ২৩ নভেম্বর আটক তালেব উদ্ধারকৃত ভারতীয় জাল মুদ্রা অপর আটক ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করে। আটক তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আমদানিকরা মার্বেল পাথরের ৫০০ টি বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতা দ্বারা চিহ্নিত ৯৫ টি বস্তার মধ্যে সুকৌশলে ওই ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলংকা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। আটক ফাতেমা আক্তার অপির বিরুদ্ধে জাল টাকার মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ডিএমপির পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) ইফতেখায়রুল ইসলামের সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।