ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাতটি ভুলে কমছে স্মার্টফোনের আয়ু

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন সবার হাতে এক বা একাধিক স্মার্টফোন থাকে। এটি ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারেন না অনেকে। নিত্য সঙ্গী এখন স্মার্টফোন। তবে জানেন কি? আপনার কিছু ভুলেই আপনার সাধের স্মার্টফোনের আয়ু কমছে। স্মার্টফোনকে অনেকে ফিচার ফোনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। তারা ভাবেন ফিচার ফোন যেভাবে ব্যবহার করতেন, স্মার্টফোনও ব্যবহার করবেন। কিন্তু একেবারেই এই কাজটি করবেন না। জেনে নিন-কোন ভুলে স্মার্টফোনের আয়ু কমছে-
ভুল চার্জার ব্যবহার : প্রতিটি ফোনের সঙ্গে নির্দিষ্ট অ্যাডপ্টার দেওয়া হয়। তবে সেটি বাদ দিয়ে হাতের কাছে যে চার্জার পান সেটি দিয়েই চার্জ দেন স্মার্টফোনটি। এতে স্মার্টফোনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। তাই ফোনের সঙ্গে যে অ্যাডপ্টার দেওয়া হয়েছে সেই অ্যাডপ্টার ব্যবহার করে চার্জ দিন। কারণ ফোনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চার্জার প্রস্তুত করা হয়।
দীর্ঘক্ষণ ফোনে চার্জ দেওয়া : অনেকেই স্মার্টফোন চার্জে বসিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে চার্জ ফুল হওয়ার পরও সারা রাত পাওয়ার কেবল কানেক্ট থাকে। এতে কিন্তু ফোন খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়। কারণ দীর্ঘক্ষণ পাওয়ার কেবল কানেক্ট থাকার ফলে ফোনের প্রসেসর এবং অন্য ইউনিটের উপর চাপ তৈরি হয়।
পুরোনো অ্যাপ ব্যবহার : অনেকেই আছেন নিজের ফোনে থাকা অ্যাপ নির্দিষ্ট সময় পর আপডেট করেন না। এজন্য কিন্তু বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ পুরোনো অ্যাপ ব্যবহার করার ফলে সেই অ্যাপের মাধ্যমে হ্যাকাররা ম্যালওয়ার ঢোকাতে পারে। যা ফোনের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলে। এই সমস্যার জন্য ফোনে পুরোনো অ্যাপ ফোনে রাখবেন না। প্রয়োজনে আপডেট বা ডিলিট করুন।
গুগল প্লে থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড : প্রতিটি স্মার্টফোনে এখন অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য একাধিক অপশন থাকে। গুগল প্লে ছাড়াও রয়েছে থার্ড পার্টি অনেক স্টোর। যেখান থেকে নিজের প্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কিন্তু সমস্যা এখানেই। কারণ গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে অ্যাপ ডাউনলোড করলে তা নিরাপদ। কোনো ম্যালওয়ার ঢোকার ভয় থাকে না। কিন্তু থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে একাধিক নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে।
সিকিউরিটি ফাইল না ডাউনলোড করা : অলসতা করে অনেকেই ফোনে আপডেট আসলেও তা আপডেট করেন না। সেক্ষেত্রে নিজেরাই কিন্তু সমস্যায় পড়বেন। এর ফলে ফোনে একাধিক বাগ বা সমস্যা তৈরি হলে সেগুলো সমাধান হবে না। অ্যান্ড্রয়েড আপডেট বা সিকিউরিটি ফাইল আপডেতেড় ফলে ওই ধরনের সমস্যা সমাধান করা হয়।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার : অনেকেই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। তবে জানেন কি? পাবলিক ওয়াইফাই কিন্তু হ্যাকারদের আঁতুড়ঘর। এখানে নিরাপত্তা সেভাবে থাকে না। তাই খুব সহজেই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে হ্যাকাররা আপনার ডিভাইসে হানা দিতে পারে।
ফোনে ব্যাক কভার ব্যবহার করবেন না : ফোন পড়ে ভেঙে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ব্যাক কভার ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে ফোনের ভালোর থেকে ক্ষতিই বেশি হয়। ফোন গরম হতে শুরু করে। যার প্রভাব পড়ে ফোনের ইন্টারন্যাল কম্পোন্যান্টে। ফলে ফোন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এমনকি খবু অল্প সময়ে ফোন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাতটি ভুলে কমছে স্মার্টফোনের আয়ু

আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন সবার হাতে এক বা একাধিক স্মার্টফোন থাকে। এটি ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারেন না অনেকে। নিত্য সঙ্গী এখন স্মার্টফোন। তবে জানেন কি? আপনার কিছু ভুলেই আপনার সাধের স্মার্টফোনের আয়ু কমছে। স্মার্টফোনকে অনেকে ফিচার ফোনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। তারা ভাবেন ফিচার ফোন যেভাবে ব্যবহার করতেন, স্মার্টফোনও ব্যবহার করবেন। কিন্তু একেবারেই এই কাজটি করবেন না। জেনে নিন-কোন ভুলে স্মার্টফোনের আয়ু কমছে-
ভুল চার্জার ব্যবহার : প্রতিটি ফোনের সঙ্গে নির্দিষ্ট অ্যাডপ্টার দেওয়া হয়। তবে সেটি বাদ দিয়ে হাতের কাছে যে চার্জার পান সেটি দিয়েই চার্জ দেন স্মার্টফোনটি। এতে স্মার্টফোনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। তাই ফোনের সঙ্গে যে অ্যাডপ্টার দেওয়া হয়েছে সেই অ্যাডপ্টার ব্যবহার করে চার্জ দিন। কারণ ফোনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চার্জার প্রস্তুত করা হয়।
দীর্ঘক্ষণ ফোনে চার্জ দেওয়া : অনেকেই স্মার্টফোন চার্জে বসিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে চার্জ ফুল হওয়ার পরও সারা রাত পাওয়ার কেবল কানেক্ট থাকে। এতে কিন্তু ফোন খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়। কারণ দীর্ঘক্ষণ পাওয়ার কেবল কানেক্ট থাকার ফলে ফোনের প্রসেসর এবং অন্য ইউনিটের উপর চাপ তৈরি হয়।
পুরোনো অ্যাপ ব্যবহার : অনেকেই আছেন নিজের ফোনে থাকা অ্যাপ নির্দিষ্ট সময় পর আপডেট করেন না। এজন্য কিন্তু বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ পুরোনো অ্যাপ ব্যবহার করার ফলে সেই অ্যাপের মাধ্যমে হ্যাকাররা ম্যালওয়ার ঢোকাতে পারে। যা ফোনের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলে। এই সমস্যার জন্য ফোনে পুরোনো অ্যাপ ফোনে রাখবেন না। প্রয়োজনে আপডেট বা ডিলিট করুন।
গুগল প্লে থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড : প্রতিটি স্মার্টফোনে এখন অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য একাধিক অপশন থাকে। গুগল প্লে ছাড়াও রয়েছে থার্ড পার্টি অনেক স্টোর। যেখান থেকে নিজের প্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কিন্তু সমস্যা এখানেই। কারণ গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে অ্যাপ ডাউনলোড করলে তা নিরাপদ। কোনো ম্যালওয়ার ঢোকার ভয় থাকে না। কিন্তু থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে একাধিক নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে।
সিকিউরিটি ফাইল না ডাউনলোড করা : অলসতা করে অনেকেই ফোনে আপডেট আসলেও তা আপডেট করেন না। সেক্ষেত্রে নিজেরাই কিন্তু সমস্যায় পড়বেন। এর ফলে ফোনে একাধিক বাগ বা সমস্যা তৈরি হলে সেগুলো সমাধান হবে না। অ্যান্ড্রয়েড আপডেট বা সিকিউরিটি ফাইল আপডেতেড় ফলে ওই ধরনের সমস্যা সমাধান করা হয়।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার : অনেকেই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। তবে জানেন কি? পাবলিক ওয়াইফাই কিন্তু হ্যাকারদের আঁতুড়ঘর। এখানে নিরাপত্তা সেভাবে থাকে না। তাই খুব সহজেই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে হ্যাকাররা আপনার ডিভাইসে হানা দিতে পারে।
ফোনে ব্যাক কভার ব্যবহার করবেন না : ফোন পড়ে ভেঙে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ব্যাক কভার ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে ফোনের ভালোর থেকে ক্ষতিই বেশি হয়। ফোন গরম হতে শুরু করে। যার প্রভাব পড়ে ফোনের ইন্টারন্যাল কম্পোন্যান্টে। ফলে ফোন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এমনকি খবু অল্প সময়ে ফোন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।