ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সাজা দিয়ে ময়দান শূন্য করার চক্রান্তে সরকার: ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০২:২৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়ে মাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরনো মামলা সচল করে দ্রæত নিষ্পত্তি করে নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যদÐের আদেশও দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো যখন স্যাংশনসহ ভিসা নীতি আরোপ করছে, দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে উঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে, তখনই আবার শুরু হয়েছে দমননীতি। শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। যে কর্মীকে গতকাল আটক করা হয়েছে, তাকে আজকের একটি সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজারো নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু কিছু সম্পাদক বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক সরকারকে ডিফেন্ড করে কথা বলছেন। গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহŸান করব, আপনারা জনগণের কাতারে আসুন, জনগণ কী চায় তা শুনুন।
তিনি বলেন, সরকারের রাখাল বালকের কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন। অল্পদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আর এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

সাজা দিয়ে ময়দান শূন্য করার চক্রান্তে সরকার: ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:২৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়ে মাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরনো মামলা সচল করে দ্রæত নিষ্পত্তি করে নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যদÐের আদেশও দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো যখন স্যাংশনসহ ভিসা নীতি আরোপ করছে, দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে উঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে, তখনই আবার শুরু হয়েছে দমননীতি। শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। যে কর্মীকে গতকাল আটক করা হয়েছে, তাকে আজকের একটি সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজারো নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু কিছু সম্পাদক বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক সরকারকে ডিফেন্ড করে কথা বলছেন। গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহŸান করব, আপনারা জনগণের কাতারে আসুন, জনগণ কী চায় তা শুনুন।
তিনি বলেন, সরকারের রাখাল বালকের কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন। অল্পদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আর এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।