ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

সাগরতীরে উদ্ধার ১০০ একর জমি, হবে ম্যানগ্রোভ বন

  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ও চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকার সমুদ্র উপকূলের প্রায় ১০০ একর খাস জমি অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে ওই জমিতে থাকা ৩০টি অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়। পরে সরকারি এসব জমিতে ‘অনুপ্রবেশ দ-ণীয় অপরাধ’ লেখা ১০টি সাইনবোর্ড বসানো হয়। সাগর তীরে আউটার রিং রোডের পাশে বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া জমিসহ প্রায় ৭৫০ একর জমিতে ম্যানগ্রোভ বন, সংরক্ষিত বন, সাইক্লিং ট্র্যাক ও বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবারের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় ৪০ বছর ধরে এসব জমি বেদখল ছিল। বিএস ও দিয়ারা জরিপে এসব জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। “কাট্টলী এলাকার ২০-২৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা বছরের পর বছর এসব জমি দখলে রেখেছিল। কোনো কোনো পরিবারের একাধিক ব্যক্তিও জড়িত।” নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, “সেখানে প্রায় ১৫টি পুকুরে তারা মাছ চাষ করত। কয়েকটি গরুর খামার করেছিল। কিছু স্থাপনা করে পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রের মত গড়ে তুলে ব্যবসাও করছিল। সেখানে থাকা বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।” উদ্ধার অভিযান চলাকালে এসব জমি দখলে রাখা ব্যক্তিরা কিছু কাগজপত্র নিয়ে এসে অভিযানকারী দলকে দেখায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, “তারা বিভিন্ন সময় করা কিছু মামলার কাগজপত্র দেখিয়েছে। সেখানে জমির মালিকানা বিষয়ে কিছু নেই। এগুলো সব সরকারি খাস জমি।” প্রায় ১০০ একর আয়তনের এ খাস জমির বাজার মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বলে জানায় জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “সীতাকু- এলাকায় প্রায় ১৯৪ একর সরকারি খাস জমি ইতিপূর্বে উদ্ধার করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা প্রায় ১০০ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছি। “এই উদ্ধারকৃত জমিসহ প্রায় ৭৫০ একর জমি নিয়ে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, সংরক্ষিত বন, সাইক্লিং ট্র্যাক, বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি গড়ে তোলা হবে।” উদ্ধার হওয়া জায়গাটিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সার্বক্ষণিক আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এরপরও যদি অবৈধভাবে কেউ ওই জায়গায় প্রবেশ বা দখল করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন জেলা প্রশাসক। গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া জমির আশেপাশে আরও কিছু জমি অবৈধ দখলে আছে। সেগুলো উদ্ধারে দ্রুত অভিযান চালানো হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাগরতীরে উদ্ধার ১০০ একর জমি, হবে ম্যানগ্রোভ বন

আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক ও চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকার সমুদ্র উপকূলের প্রায় ১০০ একর খাস জমি অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে ওই জমিতে থাকা ৩০টি অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়। পরে সরকারি এসব জমিতে ‘অনুপ্রবেশ দ-ণীয় অপরাধ’ লেখা ১০টি সাইনবোর্ড বসানো হয়। সাগর তীরে আউটার রিং রোডের পাশে বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া জমিসহ প্রায় ৭৫০ একর জমিতে ম্যানগ্রোভ বন, সংরক্ষিত বন, সাইক্লিং ট্র্যাক ও বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবারের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় ৪০ বছর ধরে এসব জমি বেদখল ছিল। বিএস ও দিয়ারা জরিপে এসব জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। “কাট্টলী এলাকার ২০-২৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা বছরের পর বছর এসব জমি দখলে রেখেছিল। কোনো কোনো পরিবারের একাধিক ব্যক্তিও জড়িত।” নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, “সেখানে প্রায় ১৫টি পুকুরে তারা মাছ চাষ করত। কয়েকটি গরুর খামার করেছিল। কিছু স্থাপনা করে পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রের মত গড়ে তুলে ব্যবসাও করছিল। সেখানে থাকা বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।” উদ্ধার অভিযান চলাকালে এসব জমি দখলে রাখা ব্যক্তিরা কিছু কাগজপত্র নিয়ে এসে অভিযানকারী দলকে দেখায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, “তারা বিভিন্ন সময় করা কিছু মামলার কাগজপত্র দেখিয়েছে। সেখানে জমির মালিকানা বিষয়ে কিছু নেই। এগুলো সব সরকারি খাস জমি।” প্রায় ১০০ একর আয়তনের এ খাস জমির বাজার মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বলে জানায় জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “সীতাকু- এলাকায় প্রায় ১৯৪ একর সরকারি খাস জমি ইতিপূর্বে উদ্ধার করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা প্রায় ১০০ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছি। “এই উদ্ধারকৃত জমিসহ প্রায় ৭৫০ একর জমি নিয়ে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, সংরক্ষিত বন, সাইক্লিং ট্র্যাক, বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি গড়ে তোলা হবে।” উদ্ধার হওয়া জায়গাটিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সার্বক্ষণিক আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এরপরও যদি অবৈধভাবে কেউ ওই জায়গায় প্রবেশ বা দখল করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন জেলা প্রশাসক। গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া জমির আশেপাশে আরও কিছু জমি অবৈধ দখলে আছে। সেগুলো উদ্ধারে দ্রুত অভিযান চালানো হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।