ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাগরতলে ‘জীবন্ত বন’

  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সারি সারি গাছের বাগান। সেই বাগানের একটি বড় গাছের ছায়াতলে দাঁড়িয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। গ্রামগঞ্জে এই দৃশ্য বড়ই মনোরম। কিন্তু সাগরতলে এমন দৃশ্যের কথা কল্পনাও করা যায় না। তবে ভূমধ্যসাগরের তলদেশে গাছের ভাস্কর্য দিয়ে এমনই বাগান গড়ে তুলেছেন একজন ভাস্কর। সেখানে গাছপালা ছাড়াও মানুষের ভাস্কর্যও রয়েছে। সাগরতলের এই ‘ভাস্কর্য জাদুঘর’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসের উপকূলীয় অঞ্চল আইয়া নাপার পেরনেরা সৈকতের উপকূলে গড়ে তোলা হয়েছে এই জাদুঘর। দ্য মিউজিয়াম অব আন্ডারওয়ার্ল্ড স্কালপচার ইন সাইপ্রাস (মুসান) নামের জাদুঘরটি গড়েছেন চিত্রকর জ্যাসন ডি কেইরেস টেইলর। এই জাদুঘরের নির্মাণ বাবদ ইতিমধ্যে ১১ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেই জাদুঘরে রয়েছে ৯৩টি ভাস্কর্য। এগুলো তৈরি করেছেন চিত্রকর জ্যাসন ডি কেইরেস টেইলর। এর আগে মেক্সিকো ও গ্রানাডায় পানির নিচে গড়ে তোলা একই ধরনের ভাস্কর্য জাদুঘরে স্থান পায় তাঁর নির্মাণ করা বেশ কিছু ভাস্কর্য। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানবজাতি যে হুমকির মুখে, সেই বিষয়টি তুলে ধরতেই এই জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। এই জাদুঘরে এমনও গাছের ভাস্কর্য রয়েছে, যেগুলোর ওজন ১৩ টনেরও বেশি। এ ছাড়া মানুষের নানা ভাস্কর্যের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সাগরতলে জাদুঘরটি গড়ে তোলার বিষয়ে সিএনএনকে টেইলর বলেছেন,‘ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, আবাসস্থল ধ্বংস ও পরিবেশদূষণের বিষয়ে যতটা সম্ভব ততটা এই জাদুঘরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমি। কারণ, আমাদের এই যুগে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাগরতলে ‘জীবন্ত বন’

আপডেট সময় : ১০:৫৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : সারি সারি গাছের বাগান। সেই বাগানের একটি বড় গাছের ছায়াতলে দাঁড়িয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। গ্রামগঞ্জে এই দৃশ্য বড়ই মনোরম। কিন্তু সাগরতলে এমন দৃশ্যের কথা কল্পনাও করা যায় না। তবে ভূমধ্যসাগরের তলদেশে গাছের ভাস্কর্য দিয়ে এমনই বাগান গড়ে তুলেছেন একজন ভাস্কর। সেখানে গাছপালা ছাড়াও মানুষের ভাস্কর্যও রয়েছে। সাগরতলের এই ‘ভাস্কর্য জাদুঘর’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসের উপকূলীয় অঞ্চল আইয়া নাপার পেরনেরা সৈকতের উপকূলে গড়ে তোলা হয়েছে এই জাদুঘর। দ্য মিউজিয়াম অব আন্ডারওয়ার্ল্ড স্কালপচার ইন সাইপ্রাস (মুসান) নামের জাদুঘরটি গড়েছেন চিত্রকর জ্যাসন ডি কেইরেস টেইলর। এই জাদুঘরের নির্মাণ বাবদ ইতিমধ্যে ১১ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেই জাদুঘরে রয়েছে ৯৩টি ভাস্কর্য। এগুলো তৈরি করেছেন চিত্রকর জ্যাসন ডি কেইরেস টেইলর। এর আগে মেক্সিকো ও গ্রানাডায় পানির নিচে গড়ে তোলা একই ধরনের ভাস্কর্য জাদুঘরে স্থান পায় তাঁর নির্মাণ করা বেশ কিছু ভাস্কর্য। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানবজাতি যে হুমকির মুখে, সেই বিষয়টি তুলে ধরতেই এই জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। এই জাদুঘরে এমনও গাছের ভাস্কর্য রয়েছে, যেগুলোর ওজন ১৩ টনেরও বেশি। এ ছাড়া মানুষের নানা ভাস্কর্যের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সাগরতলে জাদুঘরটি গড়ে তোলার বিষয়ে সিএনএনকে টেইলর বলেছেন,‘ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, আবাসস্থল ধ্বংস ও পরিবেশদূষণের বিষয়ে যতটা সম্ভব ততটা এই জাদুঘরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমি। কারণ, আমাদের এই যুগে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’