ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

সাখাওয়াতকে সিইসি চান জাফরুল্লাহ

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সার্চ কমিটির তোড়জোড়ের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যাদের মধ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান করে বিচারপতি নাজমুন আরা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়াকে কমিশনার হিসেবে দেখতে চান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা ভাসানীর কাগমারি সম্মেলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেন। নির্বাচন কমিশারের দায়িত্ব পালনে যোগ্য মনে করেন এমন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের অনেক রাজনৈতিক দল ইসি কমিশনার হিসেবে নাম এখনো মনস্থির করেননি। বিএনপি বলেছে নাম দেবে না। তবে কয়েকটা নাম আপনারা বিবেচনায় আনতে পারেন।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, যিনি আগে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তাকে চিফ ইলেকশন কমিশনার করা হলে…, উনি পথঘাট চিনেন। উনার সঙ্গে, আমাদের প্রাক্তন সেনাপতি ইকবাল করিম ভূঁইয়া, একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। এছাড়া বিচারপতি নাজমুন আরা, সুলতানা কামাল এ জাতীয় ব্যক্তি আরও নিশ্চয়ই আছে।’
বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সত্যিকারের সাহসী ও সজ্জন ব্যক্তিকে দিলে হয়তো নির্বাচন কিছুটা সুষ্ঠু হতে পারে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে যাদের নাম এসেছে তারা তাদের সম্পদের হিসাব দেননি। তাদের ওপরে মানুষের আস্থা থাকবে কী করে। তাদের পকেটে কী কাগজ আছে?’ নির্বাচন কমিশন কেমন হওয়া উচিত সে প্রসঙ্গে মত দেন তিনি। বলেন, ‘আজকে যদি প্রকৃত নির্বাচন করতে হয়, গণতন্ত্রকে ফেরত দিতে হয়। জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইনে সে ব্যবস্থা নাই।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকার করুন আর সর্বদলীয় সরকার করুন। তাদেরকে দুই বছর সময় দিতে হবে। তাহলেই সংবিধানের কতগুলো ত্রুটি আছে সেগুলো, সেগুলো সংশোধন হবে।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এক কেন্দ্রিকতা দিয়ে কখনো দেশ চলতে পারে না। বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। দেশকে ১৭-১৮টি প্রদেশে বিভক্ত করা দরকার।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

সাখাওয়াতকে সিইসি চান জাফরুল্লাহ

আপডেট সময় : ০২:১৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সার্চ কমিটির তোড়জোড়ের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যাদের মধ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান করে বিচারপতি নাজমুন আরা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়াকে কমিশনার হিসেবে দেখতে চান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা ভাসানীর কাগমারি সম্মেলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেন। নির্বাচন কমিশারের দায়িত্ব পালনে যোগ্য মনে করেন এমন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের অনেক রাজনৈতিক দল ইসি কমিশনার হিসেবে নাম এখনো মনস্থির করেননি। বিএনপি বলেছে নাম দেবে না। তবে কয়েকটা নাম আপনারা বিবেচনায় আনতে পারেন।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, যিনি আগে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তাকে চিফ ইলেকশন কমিশনার করা হলে…, উনি পথঘাট চিনেন। উনার সঙ্গে, আমাদের প্রাক্তন সেনাপতি ইকবাল করিম ভূঁইয়া, একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। এছাড়া বিচারপতি নাজমুন আরা, সুলতানা কামাল এ জাতীয় ব্যক্তি আরও নিশ্চয়ই আছে।’
বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সত্যিকারের সাহসী ও সজ্জন ব্যক্তিকে দিলে হয়তো নির্বাচন কিছুটা সুষ্ঠু হতে পারে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে যাদের নাম এসেছে তারা তাদের সম্পদের হিসাব দেননি। তাদের ওপরে মানুষের আস্থা থাকবে কী করে। তাদের পকেটে কী কাগজ আছে?’ নির্বাচন কমিশন কেমন হওয়া উচিত সে প্রসঙ্গে মত দেন তিনি। বলেন, ‘আজকে যদি প্রকৃত নির্বাচন করতে হয়, গণতন্ত্রকে ফেরত দিতে হয়। জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইনে সে ব্যবস্থা নাই।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকার করুন আর সর্বদলীয় সরকার করুন। তাদেরকে দুই বছর সময় দিতে হবে। তাহলেই সংবিধানের কতগুলো ত্রুটি আছে সেগুলো, সেগুলো সংশোধন হবে।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এক কেন্দ্রিকতা দিয়ে কখনো দেশ চলতে পারে না। বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। দেশকে ১৭-১৮টি প্রদেশে বিভক্ত করা দরকার।’