নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান গত বছর অক্টোবরে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই ম্যাচের দলে তার নামও ছিল। কিন্তু দেশে ফিরতে না পারায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় তার। যার জন্য এখনো আফসোস ঝরে তার কণ্ঠে।
বাংলাদেশের জার্সিতে ফিরতে না পারার কারণ হিসেবে এবার তিনি পরোক্ষভাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে দোষারোপ করেছেন।
রোববার রাতে ক্রিকেটপ্রেমীরা ভারত-পাকিস্তান এশিয়া কাপ ফাইনাল নিয়ে মগ্ন থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিব-আসিফের ভার্চুয়াল তর্কযুদ্ধ জমে ওঠে। দুজনেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সরাসরি কারো নাম না নিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ভাষ্যেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে তারা কাকে উদ্দেশ্য করে লিখছেন।
গতকাল রাত ৮টা ৫২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাবেক আওয়ামী লীগ সাংসদ সাকিব সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। অতীতের এক অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা বার্তা দেন তিনি। সাকিবের সেই পোস্ট নানা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এর কিছুক্ষণ পর রাত ১০টা ৪ মিনিটে আসিফ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন— ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। But i was right. End of the discussion’
পরে তিনি একই পোস্ট তার ভেরিফায়েড অফিসিয়াল পেজেও শেয়ার করেন। যার পাল্টা জবাব হিসেবে সাকিব রাত ১১টা ১৯ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘যাক শেষমেষ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না!’ তার পর যোগ করে লিখেছেন, ‘ফিরবো হয়তো কোন দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’
বর্তমানে সাকিব বিশ্বজুড়ে নানা টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন। কয়েক দিন আগেই তিনি অংশ নেন সিপিএলে। বাংলাদেশের হয়ে তার শেষ ম্যাচ ছিল গত বছরের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০২৪ সালের জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব। তবে শেখ হাসিনার সরকার পতনের সময় তিনি কানাডায় ছিলেন। সেই ৫ আগস্ট থেকে আর দেশে ফেরা হয়নি তার। অন্য সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো সাকিবের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে হত্যা, শেয়ারবাজার কারসাজি ও দুর্নীতি।
গত অক্টোবরে মিরপুরে তার সম্ভাব্য বিদায়ী টেস্টে খেলার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও জুলাই বিদ্রোহের সময় নীরব থাকার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়, যে কারণে আর মাঠে নামা হয়নি তার।
এসি/আপ্র/২৯/০৯/২০২৫