ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রত্যাশা ডেস্ক: আইএফআইসি ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিব আল হাসানসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। অপর আসামিরা হলেন- সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন, ডিরেক্টর ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। মামলায় সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মকেও আসামি করা হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর আদালত আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এদিন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ডিরেক্টর ইমদাদুল হক আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। আর মালাইকা বেগম মারা যাওয়ায় মৃত্যু প্রতিবেদন চাওয়া হয়। তবে সাকিব আল হাসান ও অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’- এর চেয়ারম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসান দায়িত্ব পালন করছেন। কোম্পানিটির কার্যক্রম সাতক্ষীরায়। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি এবং টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা বনানী শাখার আইএফআইসি ব্যাংক থেকে নেন। পরবর্তীতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে নেওয়া টাকা সময় মতো পরিশোধ না করায় ব্যাংকটি এই টাকা মেয়াদি লোনে পরিবর্তন করে। টাকা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা নোটিশ দেওয়ার পর কোম্পানিটি ব্যাংককে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয়। তবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেক বাউন্স করে। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাঠানোর ৩০ দিন পার হলেও তা না পেয়ে আদালতে মামলাটি করা হয়।

 

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট সময় : ০৫:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: আইএফআইসি ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিব আল হাসানসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। অপর আসামিরা হলেন- সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন, ডিরেক্টর ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। মামলায় সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মকেও আসামি করা হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর আদালত আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এদিন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ডিরেক্টর ইমদাদুল হক আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। আর মালাইকা বেগম মারা যাওয়ায় মৃত্যু প্রতিবেদন চাওয়া হয়। তবে সাকিব আল হাসান ও অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’- এর চেয়ারম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসান দায়িত্ব পালন করছেন। কোম্পানিটির কার্যক্রম সাতক্ষীরায়। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি এবং টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা বনানী শাখার আইএফআইসি ব্যাংক থেকে নেন। পরবর্তীতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে নেওয়া টাকা সময় মতো পরিশোধ না করায় ব্যাংকটি এই টাকা মেয়াদি লোনে পরিবর্তন করে। টাকা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা নোটিশ দেওয়ার পর কোম্পানিটি ব্যাংককে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয়। তবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেক বাউন্স করে। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাঠানোর ৩০ দিন পার হলেও তা না পেয়ে আদালতে মামলাটি করা হয়।