ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দাবি

  • আপডেট সময় : ০২:২৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের নিয়োগ বাণিজ্য, ঋণ বাণিজ্য ও সুদ মওকুফ বাণিজ্যসহ অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৪৮৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আমানতকারীরা। একইসঙ্গে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ের সামনে ‘সাধারণ আমানতকারীগণ’ ব্যানারে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে আমানতকারী মো. আজিজুর রহমান আজাদ বলেন, ১৯৯৫ সালে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংকের যাত্রা শুরু। অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে যাত্রা হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে এ ব্যাংকে নানা অনিয়ম হচ্ছে। সম্প্রতি এর মাত্রা চরমে উঠেছে। ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের স্বেচ্ছাচারিতা, হরিলুট, জালিয়াতি, দুর্নীতি এবং বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের মাধ্যমে ব্যাংকের দীর্ঘদিনের সাফল্য ধ্বংস হতে বসেছে। অন্যদিকে চরম শঙ্কায় সারাদেশের হাজার হাজার গ্রাহক। দুদকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি ব্যাংকের নওগাঁ শাখার এক গ্রাহক ১১ কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন। এছাড়া ব্যাংকে স্বাভাবিকের চেয়ে চড়া দামে নি¤œমানের ক্যাশ রিসাইক্লিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আলমগীর কবির অফসোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে ৪৮৩ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় তৎকালীন এমডি সহিদ হোসেনকে পদত্যাগে বাধ্য করান। গত তিন বছরে ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে খেলাপি গ্রাহক থেকে ৮০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী সুদ মওকুফ প্রস্তাব উপস্থাপন না হওয়ায় স্বাক্ষর করার জন্য চাপ প্রয়ােগ করলে অসম্মতি প্রদান করায় ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমানকে চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেন চেয়ারম্যান। এতে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েও অদৃশ্য কারণে তদন্ত বন্ধ করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দাবি

আপডেট সময় : ০২:২৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের নিয়োগ বাণিজ্য, ঋণ বাণিজ্য ও সুদ মওকুফ বাণিজ্যসহ অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৪৮৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আমানতকারীরা। একইসঙ্গে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ের সামনে ‘সাধারণ আমানতকারীগণ’ ব্যানারে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে আমানতকারী মো. আজিজুর রহমান আজাদ বলেন, ১৯৯৫ সালে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংকের যাত্রা শুরু। অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে যাত্রা হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে এ ব্যাংকে নানা অনিয়ম হচ্ছে। সম্প্রতি এর মাত্রা চরমে উঠেছে। ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের স্বেচ্ছাচারিতা, হরিলুট, জালিয়াতি, দুর্নীতি এবং বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের মাধ্যমে ব্যাংকের দীর্ঘদিনের সাফল্য ধ্বংস হতে বসেছে। অন্যদিকে চরম শঙ্কায় সারাদেশের হাজার হাজার গ্রাহক। দুদকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি ব্যাংকের নওগাঁ শাখার এক গ্রাহক ১১ কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন। এছাড়া ব্যাংকে স্বাভাবিকের চেয়ে চড়া দামে নি¤œমানের ক্যাশ রিসাইক্লিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আলমগীর কবির অফসোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে ৪৮৩ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় তৎকালীন এমডি সহিদ হোসেনকে পদত্যাগে বাধ্য করান। গত তিন বছরে ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে খেলাপি গ্রাহক থেকে ৮০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী সুদ মওকুফ প্রস্তাব উপস্থাপন না হওয়ায় স্বাক্ষর করার জন্য চাপ প্রয়ােগ করলে অসম্মতি প্রদান করায় ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমানকে চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেন চেয়ারম্যান। এতে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েও অদৃশ্য কারণে তদন্ত বন্ধ করা হয়।