ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় থাইল্যান্ড

  • আপডেট সময় : ১০:২৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : থাইল্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি, ই-গভর্ন্যান্স এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা ও নলেজ শেয়ারিং বিষয়ে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত সোমবার (২৩ মে) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ বিষয়কমন্ত্রী চাইউত থানাকামানুসর্ন তার দফতরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ডিজিটাল স্বাস্থ্য, ডিজিটাল শিক্ষা, ডিজিটাল সরকার, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, গবেষণা এবং উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন। আইসিটি বিভাগ থেকে সোমবার (২৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী চাইউত থানাকামানুসর্নের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পরিকল্পনা তুলে ধরে ধরেন। বাংলাদেশের জিআরপি, ই-নথি ইত্যাদির অভিজ্ঞতা এবং ডিজাইন শেয়ারের বিষয়টি তাদের কাছে বর্ণনা করেন। প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেট ব্যবহার, আইটি শিল্পের প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে থাইল্যান্ডের মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন।
বৈঠকে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি মন্ত্রণালয়ের গঠন প্রকৃতি বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের মতোই, যা উভয় দেশের জন্য আশাব্যঞ্জক। বৈঠকে আরও বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে, থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে এ আইন চালু করেছে, যা ডেটা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। পলক বলেন, ‘আইসিটিতে আঞ্চলিক শক্তি গড়ে তুলতে আমরা বিমসটেক দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বিমসটেক দেশগুলোকে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজস্ব সোশাল মিডিয়া এবং যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন এবং বিশেষ করে ডেটা নীতি তৈরি করতে হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ উপমন্ত্রী নিউইন চোচাইয়াথিপ, ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হাই, কাউন্সিলর মো. মাসুমুর রহমান, কাউন্সিলর ও হেড অফ চ্যান্সারি দয়াময়ী চক্রবর্তী প্রমুখ। ব্যাংককের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) ক্যাম্পাসে এআইটি’র উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশে উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার সুযোগ শীর্ষক ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ আয়োজিত সংলাপে বক্তব্য রাখেন পলক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় থাইল্যান্ড

আপডেট সময় : ১০:২৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : থাইল্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি, ই-গভর্ন্যান্স এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা ও নলেজ শেয়ারিং বিষয়ে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত সোমবার (২৩ মে) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ বিষয়কমন্ত্রী চাইউত থানাকামানুসর্ন তার দফতরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ডিজিটাল স্বাস্থ্য, ডিজিটাল শিক্ষা, ডিজিটাল সরকার, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, গবেষণা এবং উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন। আইসিটি বিভাগ থেকে সোমবার (২৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী চাইউত থানাকামানুসর্নের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পরিকল্পনা তুলে ধরে ধরেন। বাংলাদেশের জিআরপি, ই-নথি ইত্যাদির অভিজ্ঞতা এবং ডিজাইন শেয়ারের বিষয়টি তাদের কাছে বর্ণনা করেন। প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেট ব্যবহার, আইটি শিল্পের প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে থাইল্যান্ডের মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন।
বৈঠকে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি মন্ত্রণালয়ের গঠন প্রকৃতি বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের মতোই, যা উভয় দেশের জন্য আশাব্যঞ্জক। বৈঠকে আরও বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে, থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে এ আইন চালু করেছে, যা ডেটা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। পলক বলেন, ‘আইসিটিতে আঞ্চলিক শক্তি গড়ে তুলতে আমরা বিমসটেক দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বিমসটেক দেশগুলোকে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজস্ব সোশাল মিডিয়া এবং যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন এবং বিশেষ করে ডেটা নীতি তৈরি করতে হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ উপমন্ত্রী নিউইন চোচাইয়াথিপ, ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হাই, কাউন্সিলর মো. মাসুমুর রহমান, কাউন্সিলর ও হেড অফ চ্যান্সারি দয়াময়ী চক্রবর্তী প্রমুখ। ব্যাংককের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) ক্যাম্পাসে এআইটি’র উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশে উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার সুযোগ শীর্ষক ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ আয়োজিত সংলাপে বক্তব্য রাখেন পলক।