ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাইবার ঝুঁকির মূল্যায়ন না হলে মাথাচাড়া দেবে অপরাধীরা: আইজিপি

  • আপডেট সময় : ০২:১৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে অপরাধের ধরন পাল্টেছে জানিয়ে সাইবার জগতের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, “সাইবার জগতে সম্ভাব্য হুমকি ও ঝুঁকিকে যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি তাহলে আমাদের সক্ষমতা ও উদ্যোগগুলো বিফলে যাবে। অপরাধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।” বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমিস- ‘ইন্টারপা’ এর ১১তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে ওই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৪টি দেশের ১২৭ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আইজিপি বলেন, “প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে কয়েক দশক ধরে অর্থনীতি, সামাজিক জীবনে অপরাধ এবং অপরাধীদের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। অপরাধীরা নতুন নতুন পন্থায় অপরাধ করছে। “তারা বিশ্বের অন্য দেশে বসেও সাইবার হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে পারে। অপরাধীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইবার হামলা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।” তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন শারীরিক পুলিশিংয়ের পাশাপাশি সাইবার জগতের দিকে মনোনিবেশ করছে। যা এখনও অনেক পুলিশ ইউনিটের জন্য তুলনামূলকভাবে নতুন। আগামী দিনে সব ধরনের সাইবার হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার সময় এসেছে বলে মনে করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক। কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজড পুলিশিং, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি, বিশেষজ্ঞ পুলিশদের অনুশীলনকে সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই উদ্যোগটি বিশ্ব পুলিশ নেতাদের বিবেচনা করা প্রয়োজন।”
বাংলাদেশ পুলিশ সবসময়ই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পেশাদারি জ্ঞান বাড়ানো ও প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রমের বিকাশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইজিপি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং সাধারণ মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে প্রযুক্তিগত সেবা বাড়ানো হয়েছে।” জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯,অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, অনলাইন ইমিগ্রেশন, ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও ই-ট্রাফিক সিকিউরিটি সিস্টেমে সেবার কথা তুলে ধরেন পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ সব সময়ে অনলাইনে সংগঠিত যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সাইবার সন্ত্রাসবাদ এবং যেকোনো হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।” মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে সম্মেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “পুলিশ প্রমাণ করেছে যে, তারা এই মাটির জন্য কতটা বিশ্বস্ত। পুলিশ তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছে।” ‘ডিজিটালাইজেশন অব পুলিশিং’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিন এ সম্মেলন চলবে। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫৯টি দেশের ৭৬টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংগঠন ইন্টারপা এ সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাইবার ঝুঁকির মূল্যায়ন না হলে মাথাচাড়া দেবে অপরাধীরা: আইজিপি

আপডেট সময় : ০২:১৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে অপরাধের ধরন পাল্টেছে জানিয়ে সাইবার জগতের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, “সাইবার জগতে সম্ভাব্য হুমকি ও ঝুঁকিকে যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি তাহলে আমাদের সক্ষমতা ও উদ্যোগগুলো বিফলে যাবে। অপরাধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।” বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমিস- ‘ইন্টারপা’ এর ১১তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে ওই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৪টি দেশের ১২৭ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আইজিপি বলেন, “প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে কয়েক দশক ধরে অর্থনীতি, সামাজিক জীবনে অপরাধ এবং অপরাধীদের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। অপরাধীরা নতুন নতুন পন্থায় অপরাধ করছে। “তারা বিশ্বের অন্য দেশে বসেও সাইবার হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে পারে। অপরাধীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইবার হামলা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।” তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন শারীরিক পুলিশিংয়ের পাশাপাশি সাইবার জগতের দিকে মনোনিবেশ করছে। যা এখনও অনেক পুলিশ ইউনিটের জন্য তুলনামূলকভাবে নতুন। আগামী দিনে সব ধরনের সাইবার হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার সময় এসেছে বলে মনে করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক। কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজড পুলিশিং, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি, বিশেষজ্ঞ পুলিশদের অনুশীলনকে সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই উদ্যোগটি বিশ্ব পুলিশ নেতাদের বিবেচনা করা প্রয়োজন।”
বাংলাদেশ পুলিশ সবসময়ই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পেশাদারি জ্ঞান বাড়ানো ও প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রমের বিকাশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইজিপি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং সাধারণ মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে প্রযুক্তিগত সেবা বাড়ানো হয়েছে।” জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯,অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, অনলাইন ইমিগ্রেশন, ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও ই-ট্রাফিক সিকিউরিটি সিস্টেমে সেবার কথা তুলে ধরেন পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ সব সময়ে অনলাইনে সংগঠিত যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সাইবার সন্ত্রাসবাদ এবং যেকোনো হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।” মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে সম্মেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “পুলিশ প্রমাণ করেছে যে, তারা এই মাটির জন্য কতটা বিশ্বস্ত। পুলিশ তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছে।” ‘ডিজিটালাইজেশন অব পুলিশিং’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিন এ সম্মেলন চলবে। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫৯টি দেশের ৭৬টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংগঠন ইন্টারপা এ সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।