ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

সাইবার ক্রাইমে বেশি অভিযোগ নারীদের

  • আপডেট সময় : ১০:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে সুফলের পাশাপাশি ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে অনেক। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা।
আইডি হ্যাক, তথ্য হাতিয়ে নেওয়া, ছবি কিংবা ভিডিওকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ব্লাকমেইলসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধের বেশিরভাগেরই ভুক্তভোগী নারীরা। তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, ভুক্তভোগী নারীদের অনেকেই এখন সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে তাদের কাছে অভিযোগ করছেন। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে ১৪-১৫ বছর থেকে শুরু করে ৩৫ বছর বয়স্ক নারীদের। আর অভিযোগগুলোর বেশিরভাগই সাইবার বুলিং বা হয়রানি ও হুমকি দেওয়া এবং ব্লাকমেইলের ঘটনা।
বেশ কয়েকটি কারণে নারীরা বেশি সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন বলে মনে করেন সিটিটিসির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ। তিনি বলেন, ‘অপরিচিত কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করা বা নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার মধ্য দিয়ে ঘটনার শুরু হয়। এই ধরনের কাজগুলো না করাই ভালো।’
‘১৫ বছরের কিশোরী থেকে ৩৫ বছরের নারী আছেন এই তালিকায়। নারীরা সবচেয়ে বেশি হয়রানি ও ব্লাকমেইলিংয়ের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের ধারস্থ হন। আবার অনেকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হলেও সামাজিকতার কারণে অভিযোগ করেন না।’
সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিটিসির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইন্টারনেটে হয়রানি বা ক্ষতিগ্রহস্থ হলে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করতে পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে নিকটস্থ থানায় কিভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন সে বিষয়টি উল্লেখ করে অভিযোগ দিলেই হবে।’
ইন্টারনেট ব্যবহারে সাইবার ক্রাইমের শিকার হওয়া থেকে কিভাবে রেহাই মিলবে সেটিও বাতলে দিয়েছেন সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটে কোনো ধরনের অপরাধ করা যাবে না, অপরাধ ঘটতে দেখলে প্রতিরোধ করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সৌজন্যতা বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি যে সামাজিক মাধ্যমটি ব্যবহার হচ্ছে সেটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শ, কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার ও যেখানে সেখানে সামাজিক যোগাযোগের আইডি লগিং না করাই উত্তম। নিরাপদ ওয়েবসাইট ও মাধ্যমগুলো ব্রাউজিং করলে সাইবার ক্রাইমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাইবার ক্রাইমে বেশি অভিযোগ নারীদের

আপডেট সময় : ১০:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

নারী ও শিশু ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে সুফলের পাশাপাশি ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে অনেক। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা।
আইডি হ্যাক, তথ্য হাতিয়ে নেওয়া, ছবি কিংবা ভিডিওকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ব্লাকমেইলসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধের বেশিরভাগেরই ভুক্তভোগী নারীরা। তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, ভুক্তভোগী নারীদের অনেকেই এখন সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে তাদের কাছে অভিযোগ করছেন। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে ১৪-১৫ বছর থেকে শুরু করে ৩৫ বছর বয়স্ক নারীদের। আর অভিযোগগুলোর বেশিরভাগই সাইবার বুলিং বা হয়রানি ও হুমকি দেওয়া এবং ব্লাকমেইলের ঘটনা।
বেশ কয়েকটি কারণে নারীরা বেশি সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন বলে মনে করেন সিটিটিসির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ। তিনি বলেন, ‘অপরিচিত কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করা বা নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার মধ্য দিয়ে ঘটনার শুরু হয়। এই ধরনের কাজগুলো না করাই ভালো।’
‘১৫ বছরের কিশোরী থেকে ৩৫ বছরের নারী আছেন এই তালিকায়। নারীরা সবচেয়ে বেশি হয়রানি ও ব্লাকমেইলিংয়ের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের ধারস্থ হন। আবার অনেকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হলেও সামাজিকতার কারণে অভিযোগ করেন না।’
সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিটিসির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইন্টারনেটে হয়রানি বা ক্ষতিগ্রহস্থ হলে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করতে পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে নিকটস্থ থানায় কিভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন সে বিষয়টি উল্লেখ করে অভিযোগ দিলেই হবে।’
ইন্টারনেট ব্যবহারে সাইবার ক্রাইমের শিকার হওয়া থেকে কিভাবে রেহাই মিলবে সেটিও বাতলে দিয়েছেন সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটে কোনো ধরনের অপরাধ করা যাবে না, অপরাধ ঘটতে দেখলে প্রতিরোধ করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সৌজন্যতা বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি যে সামাজিক মাধ্যমটি ব্যবহার হচ্ছে সেটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শ, কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার ও যেখানে সেখানে সামাজিক যোগাযোগের আইডি লগিং না করাই উত্তম। নিরাপদ ওয়েবসাইট ও মাধ্যমগুলো ব্রাউজিং করলে সাইবার ক্রাইমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।