ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

সাইফের ওপর হামলা তদন্তে নতুন মোড়

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক: কয়েকমাস আগে বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলা করা হয়েছিল। এতে শরিফুল ইসলাম নামের একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টও তার বিরুদ্ধেই গিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। এর আগে শরিফুলের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

একাধিক সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করার আবেদন জানায় মুম্বাই পুলিশ। হাজার পাতার চার্জশিটও পেশ করে। কিন্তু হঠাৎই এর পটপরিবর্তন হয়েছে। আজ (১৫ এপ্রিল) জানা গেছে, অভিনেতার আবাসন থেকে পাওয়া কিছু আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলছে না অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের ২০টি নমুনা সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯টি নমুনা অভিযুক্তের সঙ্গে মেলেনি।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিনেতার বাথরুমের হাতল, আলমারির হাতল, দরজার হাতলসহ একাধিক জায়গা থেকে আঙুলের যে ছাপ পাওয়া গেছে তার সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। এভাবে ২০টি আঙুলের ছাপের মধ্যে ১৯টি-ই নাকি মেলেনি! কেবল আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলেছে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ। পুলিশের দাবি, বাকি জায়গার হাতলে অভিযুক্তের পাশাপাশি অন্যরাও হাত রেখেছিলেন। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের উপরেই পড়েছে সেই ছাপগুলো। ফলে মুছে গেছে শরিফুলের আঙুলের ছাপ। তাদের দাবি, এ ধরনের অমিল অনেক তদন্তেই ঘটে থাকে।

সাধারণত হাজার জনের মধ্যে একজনের ছাপ মিলে যায়। তবে আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপই প্রমাণ করে দিচ্ছে, আততায়ী অভিনেতার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। মুম্বাই পুলিশের চার্জশিটে আরও প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে আগত শরিফুল তার পরিবারের কাছে অবৈধভাবে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। চার্জশিটে পুলিশ একথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, শরিফুল তার সহকারী অমিত পাণ্ড্যর মাধ্যমে আবদুল্লাহ আলিমের কাছে টাকা পাঠাতেন। আলিম তার বোনের স্বামী ছিলেন। এ চার্জশিটে আরও জানানো হয়েছে, এভাবে অনেক দিন ধরে বেঙ্গালুরুর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতীয় মুদ্রা ভারত থেকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল।
৮ এপ্রিল বান্দ্রার মেট্রোপলিটন আদালতে হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ।

সেই চার্জশিট শুক্রবার গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে আসে। জানা গেছে, ঘটনার তদন্তে পুলিশের কাছে ১১১ জন সাক্ষী দিয়েছিলেন। বয়ান রেকর্ড করা হয় ৪৮ জনের। পেশ করা চার্জশিট অনুযায়ী, সাইফকে ছুরিকাঘাত করার পরেও ৩০ বছর বসয়ী অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাইফের সদ্গুরু শরণ ভবনের ভিতরে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

সাইফের ওপর হামলা তদন্তে নতুন মোড়

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বিনোদন প্রতিবেদক: কয়েকমাস আগে বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলা করা হয়েছিল। এতে শরিফুল ইসলাম নামের একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টও তার বিরুদ্ধেই গিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। এর আগে শরিফুলের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

একাধিক সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করার আবেদন জানায় মুম্বাই পুলিশ। হাজার পাতার চার্জশিটও পেশ করে। কিন্তু হঠাৎই এর পটপরিবর্তন হয়েছে। আজ (১৫ এপ্রিল) জানা গেছে, অভিনেতার আবাসন থেকে পাওয়া কিছু আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলছে না অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের ২০টি নমুনা সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯টি নমুনা অভিযুক্তের সঙ্গে মেলেনি।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিনেতার বাথরুমের হাতল, আলমারির হাতল, দরজার হাতলসহ একাধিক জায়গা থেকে আঙুলের যে ছাপ পাওয়া গেছে তার সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। এভাবে ২০টি আঙুলের ছাপের মধ্যে ১৯টি-ই নাকি মেলেনি! কেবল আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলেছে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ। পুলিশের দাবি, বাকি জায়গার হাতলে অভিযুক্তের পাশাপাশি অন্যরাও হাত রেখেছিলেন। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের উপরেই পড়েছে সেই ছাপগুলো। ফলে মুছে গেছে শরিফুলের আঙুলের ছাপ। তাদের দাবি, এ ধরনের অমিল অনেক তদন্তেই ঘটে থাকে।

সাধারণত হাজার জনের মধ্যে একজনের ছাপ মিলে যায়। তবে আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপই প্রমাণ করে দিচ্ছে, আততায়ী অভিনেতার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। মুম্বাই পুলিশের চার্জশিটে আরও প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে আগত শরিফুল তার পরিবারের কাছে অবৈধভাবে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। চার্জশিটে পুলিশ একথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, শরিফুল তার সহকারী অমিত পাণ্ড্যর মাধ্যমে আবদুল্লাহ আলিমের কাছে টাকা পাঠাতেন। আলিম তার বোনের স্বামী ছিলেন। এ চার্জশিটে আরও জানানো হয়েছে, এভাবে অনেক দিন ধরে বেঙ্গালুরুর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতীয় মুদ্রা ভারত থেকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল।
৮ এপ্রিল বান্দ্রার মেট্রোপলিটন আদালতে হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ।

সেই চার্জশিট শুক্রবার গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে আসে। জানা গেছে, ঘটনার তদন্তে পুলিশের কাছে ১১১ জন সাক্ষী দিয়েছিলেন। বয়ান রেকর্ড করা হয় ৪৮ জনের। পেশ করা চার্জশিট অনুযায়ী, সাইফকে ছুরিকাঘাত করার পরেও ৩০ বছর বসয়ী অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাইফের সদ্গুরু শরণ ভবনের ভিতরে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন।