ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

সাইকেলে ১৮০ দিনে পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে এলেন তাঁরা

  • আপডেট সময় : ১২:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সাইকেলে করেও যে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে আসা যায়, তা আবার প্রমাণ করলেন এক ব্রিটিশ দম্পতি। ট্যানডেম সাইকেলে তাঁরা জার্মানির বার্লিন থেকে যাত্রা শুরু করেন। ১৮০ দিনে পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে তাঁরা আবার বার্লিনে আসেন। এতে তাঁদের সময় লেগেছে ১৮০ দিন। এ কাজ করতে তাঁদের ২১টি দেশের ওপর দিয়ে যেতে হয়েছে। এবার এ ভ্রমণকে রেকর্ডের তালিকায় তুলতে তাঁরা আবেদন করেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কাছে। ওই দম্পতির নাম লরা মাসে ও স্টিভ মাসে। গত ৫ জুন তাঁরা যাত্রা শুরু করেন। এরপর সাইকেলে করে পাড়ি দিয়েছেন ২৮ হাজার ৯৬৮ কিলোমিটার। পথে তাঁদের পাড়ি দিতে হয়েছে নানা বাধাবিপত্তি। ঝড়, বৃষ্টি, তুষারপাতের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো ছিলই। শেষে সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১ ডিসেম্বর আবার বার্লিনে ফিরে আসেন তাঁরা। লরা-স্টিভের পরিচয় ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। একাধিকবার তাঁরা ট্যানডেম সাইকেলে করে ভ্রমণে বেরিয়েছেন। বিশেষ এই সাইকেলে দুটি করে চালকের আসন ও পেডেল থাকে। এই সাইকেল চালাতে হয় দুজনকেই। এই দম্পতি জানান, তাঁরা দেখতে পান, ক্যাট ডিক্সন ও রাজ মার্সডেন নামের দুই নারীর ২৬৩ দিন ৮ ঘণ্টা ৭ মিনিটে ট্যানডেম সাইকেলে করে পৃথিবীর চারপাশে ঘোরার রেকর্ড আছে। অপর দিকে পুরুষেরা একই রেকর্ড করেছেন ২৮১ দিন ২২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে। তবে একজন নারী ও একজন পুরুষ মিলে ট্যানডেম সাইকেলে করে বিশ্ব ঘোরার কোনো রেকর্ড এখনো হয়নি। বিষয়টি জানার পর মাঠে নামেন তাঁরা। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়মনীতি নিয়ে ব্যাপক ঘাঁটাঘাঁটি করেন লরা-স্টিভ। দেখতে পান, তিনটি শর্ত পূরণ করলে তাঁদের নামও উঠবে রেকর্ডের তালিকায়। সেগুলো হলো একটি পথ ধরে অন্তত ১৮ হাজার মাইল সাইকেল চালিয়ে যেতে হবে; ভ্রমণ শুরু ও শেষ একই স্থানে হতে হবে এবং অন্তত দুটি অ্যান্টিপোডাল পয়েন্ট পার করতে হবে। অ্যান্টিপোডাল পয়েন্ট হচ্ছে পৃথিবীর পৃষ্ঠে কোনো একটি বিন্দুর ঠিক বিপরীত পাশে থাকা অপর একটি বিন্দু। গিনেসের তিনটি শর্তই শেষ পর্যন্ত পূরণ করেছেন দুজন। লরা বলেন, ‘সবকিছু সফলভাবে শেষ করতে পেরে অনেক চাপমুক্ত লাগছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাইকেলে ১৮০ দিনে পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে এলেন তাঁরা

আপডেট সময় : ১২:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : সাইকেলে করেও যে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে আসা যায়, তা আবার প্রমাণ করলেন এক ব্রিটিশ দম্পতি। ট্যানডেম সাইকেলে তাঁরা জার্মানির বার্লিন থেকে যাত্রা শুরু করেন। ১৮০ দিনে পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে তাঁরা আবার বার্লিনে আসেন। এতে তাঁদের সময় লেগেছে ১৮০ দিন। এ কাজ করতে তাঁদের ২১টি দেশের ওপর দিয়ে যেতে হয়েছে। এবার এ ভ্রমণকে রেকর্ডের তালিকায় তুলতে তাঁরা আবেদন করেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কাছে। ওই দম্পতির নাম লরা মাসে ও স্টিভ মাসে। গত ৫ জুন তাঁরা যাত্রা শুরু করেন। এরপর সাইকেলে করে পাড়ি দিয়েছেন ২৮ হাজার ৯৬৮ কিলোমিটার। পথে তাঁদের পাড়ি দিতে হয়েছে নানা বাধাবিপত্তি। ঝড়, বৃষ্টি, তুষারপাতের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো ছিলই। শেষে সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১ ডিসেম্বর আবার বার্লিনে ফিরে আসেন তাঁরা। লরা-স্টিভের পরিচয় ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। একাধিকবার তাঁরা ট্যানডেম সাইকেলে করে ভ্রমণে বেরিয়েছেন। বিশেষ এই সাইকেলে দুটি করে চালকের আসন ও পেডেল থাকে। এই সাইকেল চালাতে হয় দুজনকেই। এই দম্পতি জানান, তাঁরা দেখতে পান, ক্যাট ডিক্সন ও রাজ মার্সডেন নামের দুই নারীর ২৬৩ দিন ৮ ঘণ্টা ৭ মিনিটে ট্যানডেম সাইকেলে করে পৃথিবীর চারপাশে ঘোরার রেকর্ড আছে। অপর দিকে পুরুষেরা একই রেকর্ড করেছেন ২৮১ দিন ২২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে। তবে একজন নারী ও একজন পুরুষ মিলে ট্যানডেম সাইকেলে করে বিশ্ব ঘোরার কোনো রেকর্ড এখনো হয়নি। বিষয়টি জানার পর মাঠে নামেন তাঁরা। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়মনীতি নিয়ে ব্যাপক ঘাঁটাঘাঁটি করেন লরা-স্টিভ। দেখতে পান, তিনটি শর্ত পূরণ করলে তাঁদের নামও উঠবে রেকর্ডের তালিকায়। সেগুলো হলো একটি পথ ধরে অন্তত ১৮ হাজার মাইল সাইকেল চালিয়ে যেতে হবে; ভ্রমণ শুরু ও শেষ একই স্থানে হতে হবে এবং অন্তত দুটি অ্যান্টিপোডাল পয়েন্ট পার করতে হবে। অ্যান্টিপোডাল পয়েন্ট হচ্ছে পৃথিবীর পৃষ্ঠে কোনো একটি বিন্দুর ঠিক বিপরীত পাশে থাকা অপর একটি বিন্দু। গিনেসের তিনটি শর্তই শেষ পর্যন্ত পূরণ করেছেন দুজন। লরা বলেন, ‘সবকিছু সফলভাবে শেষ করতে পেরে অনেক চাপমুক্ত লাগছে।’