ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

সাংবাদিক কাজলের তিন মামলা হাই কোর্টে স্থগিত

  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোকচিত্র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলার বিচার কার্যক্রমে দুই মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এ বিষয়ে তার তিনটি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেয়। আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আইনজীবী বাপ্পী বলেন, “আদালত তিন মামলাতেই দুই মাসের জন্য বিচারকাজ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছে। আগামী ২৭ জুলাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির জন্য তারিখ রাখা হয়েছে।”
গত বছরের ৮ নভেম্বর ঢাকার শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার এই তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে আবেদন করেন কাজলের আইনজীবীরা। যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক কারবারে ‘জড়িতদের’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২০২০ সালের ৯ মার্চ মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় প্রথম মামলাটি দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর।
একই ঘটনায় পরদিন হাজারীবাগ থানায় মামলা করেন ওসমান আরা বেলী এবং ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা কামরাঙ্গীরচর থানায় অপর মামলা দুটি দায়ের করেন। পরে তিন মামলাতেই কেবল কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এক সময় দৈনিক সমকাল ও বণিক বার্তায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা কাজল ‘পক্ষকাল’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা সম্পাদনা করছিলেন। মামলা হওয়ার পরদিন ১০ মার্চ বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপহরণ মামলা করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে অজ্ঞাতনামা কেউ তাকে ‘অপহরণ’ করেছে। প্রায় দুই মাস পর ২০২০ সালের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় বিজিবি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়। যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর ২০২০ সালের জুন মাসে কাজলকে ঢাকায় এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে নভেম্বর মাসে তিনি হাই কোর্ট থেকে জামিন পান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিক কাজলের তিন মামলা হাই কোর্টে স্থগিত

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোকচিত্র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলার বিচার কার্যক্রমে দুই মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এ বিষয়ে তার তিনটি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেয়। আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আইনজীবী বাপ্পী বলেন, “আদালত তিন মামলাতেই দুই মাসের জন্য বিচারকাজ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছে। আগামী ২৭ জুলাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির জন্য তারিখ রাখা হয়েছে।”
গত বছরের ৮ নভেম্বর ঢাকার শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার এই তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে আবেদন করেন কাজলের আইনজীবীরা। যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক কারবারে ‘জড়িতদের’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২০২০ সালের ৯ মার্চ মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় প্রথম মামলাটি দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর।
একই ঘটনায় পরদিন হাজারীবাগ থানায় মামলা করেন ওসমান আরা বেলী এবং ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা কামরাঙ্গীরচর থানায় অপর মামলা দুটি দায়ের করেন। পরে তিন মামলাতেই কেবল কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এক সময় দৈনিক সমকাল ও বণিক বার্তায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা কাজল ‘পক্ষকাল’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা সম্পাদনা করছিলেন। মামলা হওয়ার পরদিন ১০ মার্চ বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপহরণ মামলা করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে অজ্ঞাতনামা কেউ তাকে ‘অপহরণ’ করেছে। প্রায় দুই মাস পর ২০২০ সালের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় বিজিবি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়। যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর ২০২০ সালের জুন মাসে কাজলকে ঢাকায় এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে নভেম্বর মাসে তিনি হাই কোর্ট থেকে জামিন পান।