ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয়ে করতো ছিনতাই-ডাকাতি

  • আপডেট সময় : ১১:০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : নিজেকে কখনও সাংবাদিক আবার কখনও মানবাধিকারকর্মী বলে পরিচয় দিতো। এসব পরিচয়ের আড়ালে মূলত এরা পেশাদার ছিনতাইকারী এবং করতো ডাকাতিও। এ চক্রের মূলহোতা নুরুল আফছারসহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-নুরুল আফছার ও তার সহযোগী আফজাল হোসেন এবং মো. মনিরুজ্জামান। গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক। পুলিশ বলছে, ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির সামনে সাংবাদিক লেখা কাগজ ও পত্রিকার নামে স্টিকার ব্যবহার করতো আফছার।
জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর একই কায়দায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার খেজুরবাগান এলাকা থেকে এক ভুক্তভোগীকে বিমানবন্দরে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে মারধর ও বিদেশি মুদ্রাসহ কয়েক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় আফছার চক্রের সদস্যরা। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা হয় মামলা। সেই মামলাতেই তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। ডিসি আজিমুল হক বলেন, গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ ভোর ৬টার দিকে বিমানবন্দরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকার সংসদ সদস্যদের বাসভবনের ৩ নম্বর ভবনের বাসিন্দা অলিউর রহমান তুষার (২৭) খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে একটি প্রাইভেট কারে ওঠেন। এ সময় প্রাইভেটকারে চালকসহ মোট চারজন যাত্রী ছিল। প্রাইভেট কারটি একটু সামনে গিয়ে সংসদ ভবনের ৬ নম্বর গেটে (মণিপুরীপাড়ার বিপরীতে) যাওয়ামাত্রই গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা তুষারের চোখে কালো চশমা দিয়ে হাত বেঁধে ফেলে। এরপর একটি লাঠি দিয়ে মারধর করে ভুক্তভোগীর পকেটে থাকা ৫ হাজার ১০০ কাতারের মুদ্রা (প্রায় দেড় লাখ টাকা) ও ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে ভুক্তভোগীকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানার বলিয়ারপুর যমুনা ন্যাশনাল পার্কের সামনে ফেলে দেয়। পরে গত ৬ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী তুষার বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয়ে করতো ছিনতাই-ডাকাতি

আপডেট সময় : ১১:০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

মহানগর প্রতিবেদন : নিজেকে কখনও সাংবাদিক আবার কখনও মানবাধিকারকর্মী বলে পরিচয় দিতো। এসব পরিচয়ের আড়ালে মূলত এরা পেশাদার ছিনতাইকারী এবং করতো ডাকাতিও। এ চক্রের মূলহোতা নুরুল আফছারসহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-নুরুল আফছার ও তার সহযোগী আফজাল হোসেন এবং মো. মনিরুজ্জামান। গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক। পুলিশ বলছে, ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির সামনে সাংবাদিক লেখা কাগজ ও পত্রিকার নামে স্টিকার ব্যবহার করতো আফছার।
জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর একই কায়দায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার খেজুরবাগান এলাকা থেকে এক ভুক্তভোগীকে বিমানবন্দরে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে মারধর ও বিদেশি মুদ্রাসহ কয়েক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় আফছার চক্রের সদস্যরা। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা হয় মামলা। সেই মামলাতেই তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। ডিসি আজিমুল হক বলেন, গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ ভোর ৬টার দিকে বিমানবন্দরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকার সংসদ সদস্যদের বাসভবনের ৩ নম্বর ভবনের বাসিন্দা অলিউর রহমান তুষার (২৭) খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে একটি প্রাইভেট কারে ওঠেন। এ সময় প্রাইভেটকারে চালকসহ মোট চারজন যাত্রী ছিল। প্রাইভেট কারটি একটু সামনে গিয়ে সংসদ ভবনের ৬ নম্বর গেটে (মণিপুরীপাড়ার বিপরীতে) যাওয়ামাত্রই গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা তুষারের চোখে কালো চশমা দিয়ে হাত বেঁধে ফেলে। এরপর একটি লাঠি দিয়ে মারধর করে ভুক্তভোগীর পকেটে থাকা ৫ হাজার ১০০ কাতারের মুদ্রা (প্রায় দেড় লাখ টাকা) ও ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে ভুক্তভোগীকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানার বলিয়ারপুর যমুনা ন্যাশনাল পার্কের সামনে ফেলে দেয়। পরে গত ৬ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী তুষার বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।