ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০৭:১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

বরগুনা সংবাদদাতা: সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে বরগুনায় জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা প্রেস ক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাদারতলী গ্রামের সহিদুল আলম শাহিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এই সুযোগে আমাদের রেকর্ডিয় ভোগদখলীয় জমি প্রায় ৮ একর ৬১ শতাংশ আমাদের নামে দলিল রয়েছে। এই জমি আমরা প্রায় ৮০ বছর ভোগ দখলে আছি। ওই জমিতে নলটোনা ইউনিয়নের মৃত হোচেন মল্লিকের পুত্র কথিত সাংবাদিক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আঁধারে জমি দখলসহ, ভেকু দিয়ে পুকুর খনন ও গাছপালা দখল করে নিয়েছে।

আমরা লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে কাজে বাধা দিলে জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন চালায়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আমরা জীবনের ভয়ে পালিয়ে আসি। থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করি। প্রশাসন অভিযোগটি আমলে নিয়ে জহিরুল ও বাদলকে থানায় ডাকে। তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে আইনকে অমান্য করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে থানায় উপস্থিত হয়নি।

কথিত ওই সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম বরগুনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি দাবি করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে। এর আগেও কথিত সাংবাদিক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তার অপকর্মের প্রতিবেদন প্রচার হয়। ৩০ জানুয়ারি পাথরঘাটায় চাঁদা আনতে যাওয়াতে জহিরুল ও তার সহযোগিদের পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে ধরে নেন এবং ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেন। জহিরের অপসাংবাদিকতার প্রভাব আমরা কোন অফিস আদালতে ন্যায় বিচার পাইনা। আমাদের জমির বিভিন্ন দাগ, খতিয়ান উল্লেখ করে জাল জালিয়াতি করে দলিল বের করেন। যে দলিলের কোন সত্যতা পাওয়া যায় নায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহিদুল আলম শাহিনের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাবা আলহাজ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও তার খালাতো ভাই জাকির হোসেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বরগুনা সংবাদদাতা: সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে বরগুনায় জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা প্রেস ক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাদারতলী গ্রামের সহিদুল আলম শাহিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এই সুযোগে আমাদের রেকর্ডিয় ভোগদখলীয় জমি প্রায় ৮ একর ৬১ শতাংশ আমাদের নামে দলিল রয়েছে। এই জমি আমরা প্রায় ৮০ বছর ভোগ দখলে আছি। ওই জমিতে নলটোনা ইউনিয়নের মৃত হোচেন মল্লিকের পুত্র কথিত সাংবাদিক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আঁধারে জমি দখলসহ, ভেকু দিয়ে পুকুর খনন ও গাছপালা দখল করে নিয়েছে।

আমরা লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে কাজে বাধা দিলে জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন চালায়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আমরা জীবনের ভয়ে পালিয়ে আসি। থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করি। প্রশাসন অভিযোগটি আমলে নিয়ে জহিরুল ও বাদলকে থানায় ডাকে। তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে আইনকে অমান্য করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে থানায় উপস্থিত হয়নি।

কথিত ওই সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম বরগুনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি দাবি করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে। এর আগেও কথিত সাংবাদিক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তার অপকর্মের প্রতিবেদন প্রচার হয়। ৩০ জানুয়ারি পাথরঘাটায় চাঁদা আনতে যাওয়াতে জহিরুল ও তার সহযোগিদের পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে ধরে নেন এবং ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেন। জহিরের অপসাংবাদিকতার প্রভাব আমরা কোন অফিস আদালতে ন্যায় বিচার পাইনা। আমাদের জমির বিভিন্ন দাগ, খতিয়ান উল্লেখ করে জাল জালিয়াতি করে দলিল বের করেন। যে দলিলের কোন সত্যতা পাওয়া যায় নায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহিদুল আলম শাহিনের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাবা আলহাজ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও তার খালাতো ভাই জাকির হোসেন।