ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

সহিংসতা হলে কারখানা বন্ধ করার হুমকি বিজিএমইএর

  • আপডেট সময় : ০৩:২১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে কোথাও সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামোর আলোকে বেতন দেওয়া হবে জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “নভেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বর থেকে তা বাস্তবায়ন করবো। সহিংসতা হলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক বিক্ষোভ করে আসছেন গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। এর মধ্যেই ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণের ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি গড়ায় সহিংসতায়। সোমবার গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধলে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভ চলাকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়া হয়; সেখানে প্রাণ যায় আরেকজনের।
গতকাল মঙ্গলবার বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ যখন ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করছিলেন, তখনও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। সার্বিক পরিস্থিতিতে নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত নির্ধারণ করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, “গুজবে কান দেবেন না। পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকার বেশি নির্ধারণ করা হবে।”
শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করতে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৫ বছরের জন্য নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয় সর্বনি¤œ ৮ হাজার টাকা। আগামী ৩০ নভেম্বর এর মেয়াদ শেষ হবে। “মালিকপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে ১০ হাজার ৪০০ টাকা। আর শ্রমিকপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা। শ্রমিকদের মধ্যে কে বা কারা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে যে মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ হয়ে গেছে। তারা এই বিভ্রান্তিতে ভুগছেন। “মজুরি নির্ধারণের জন্য এখনও এক মাস বাকি আছে। ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের সভা আছে। কারও কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে কাজে ফিরে ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা বিধান করবেন- আমি শ্রমকিদের প্রতি এই আহ্বান জানাই। কারও ফাঁদে যেন তারা পা না দেন।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সহিংসতা হলে কারখানা বন্ধ করার হুমকি বিজিএমইএর

আপডেট সময় : ০৩:২১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে কোথাও সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামোর আলোকে বেতন দেওয়া হবে জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “নভেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বর থেকে তা বাস্তবায়ন করবো। সহিংসতা হলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক বিক্ষোভ করে আসছেন গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। এর মধ্যেই ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণের ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি গড়ায় সহিংসতায়। সোমবার গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধলে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভ চলাকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়া হয়; সেখানে প্রাণ যায় আরেকজনের।
গতকাল মঙ্গলবার বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ যখন ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করছিলেন, তখনও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। সার্বিক পরিস্থিতিতে নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত নির্ধারণ করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, “গুজবে কান দেবেন না। পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকার বেশি নির্ধারণ করা হবে।”
শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করতে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৫ বছরের জন্য নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয় সর্বনি¤œ ৮ হাজার টাকা। আগামী ৩০ নভেম্বর এর মেয়াদ শেষ হবে। “মালিকপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে ১০ হাজার ৪০০ টাকা। আর শ্রমিকপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা। শ্রমিকদের মধ্যে কে বা কারা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে যে মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ হয়ে গেছে। তারা এই বিভ্রান্তিতে ভুগছেন। “মজুরি নির্ধারণের জন্য এখনও এক মাস বাকি আছে। ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের সভা আছে। কারও কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে কাজে ফিরে ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা বিধান করবেন- আমি শ্রমকিদের প্রতি এই আহ্বান জানাই। কারও ফাঁদে যেন তারা পা না দেন।”