আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রম এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেই কাবুল দূতাবাস বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২৮ মে, শুক্রবার আফগানিস্তানের রাজধানীতে থাকা দূতাবাসটি বন্ধ করে দেওয়া হবে গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্যানবেরা। এর কারণ হিসেবে দেশটিতে ‘ক্রমবর্ধমান অনিশ্চিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা উল্লেখ করেছে তারা।
দূতাবাস বন্ধ করা হলেও অস্ট্রেলীয় কূটনীতিকরা নিয়মিত আফগানিস্তান পরিদর্শনে যাবেন কিন্তু তাদের ঠিকানা ওই অঞ্চলের অন্য কোনো দেশে হবে বলে ক্যানবেরার বিবৃতিতে বলা হয়েছে। তবে কোথায় হবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২৮ মে ২০২১ আমরা আমাদের দূতাবাস ভবন বন্ধ করবো। এই পদক্ষেপ সাময়িক হবে এবং পরিস্থিতি অনুকূল হলেই কাবুলে আমাদের স্থায়ী উপস্থিতি আবার শুরু হবে বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যাশা।”
দূতাবাস বন্ধ করলেও আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে’ এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের প্রতি সমর্থন জানিয়ে যাবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো বাহিনী প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে পুরো মাত্রায় যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ঘোষণায় বলেছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়বে। আফগানিস্তানে সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছর ধরে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেছেন, “আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষ করার সময় হয়েছে।” আফগানিস্তানে নেটোর ৯৬০০ সৈন্য আছে, এদের মধ্যে অন্তত আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য।
গত দুই বছর ধরে আফগানিস্তানে মোতায়েন সেনার সংখ্যা ক্রমাগত কমিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একসময় দেশটিতে অস্ট্রেলিয়ার দেড় হাজারের বেশি সেনা ছিল, সেখানে এখন মাত্র ৮০ জনের মতো আছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর কর্মকর্তারা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তালেবান আফগানিস্তানে সহিংসতা হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ পর্যন্ত তারা তাদের কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
সহিংসতার শঙ্কায় আফগানিস্তানে দূতাবাস বন্ধ করছে অস্ট্রেলিয়া
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ