লাইফস্টাইল ডেস্ক: ব্যক্তিগত বা পারিবারিক উদ্যোগে যখন একটি ছোট্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়, তখন তা সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। প্রথাগত পেশাদার প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এখানে জায়গা কম, বাজেটও কম। তাই স্বপ্ন আকাশ ছুঁলেও বাস্তবে অনেক নতুন উদ্যোক্তাকেই কেবল একটি বা দুটি ছোট ঘর নিয়ে শুরু করতে হয় অফিস। সেখানেই গুছিয়ে রাখতে হয় যাবতীয় কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এখানেই কাজ করেন একাধিক কর্মী। হয়তো সেই ছোট্ট ঘরেই রাখতে হয় গ্রাহকেরও বসার ব্যবস্থা। অফিসের কম জায়গাও ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। তা হলো-
ছোট হলেও খোলামেলা, স্বস্তিদায়ক: আধুনিক অন্দরসজ্জার ধারায় খোলামেলা ওয়ার্কস্টেশন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই সেখানে কাজ করতে পারবেন আপনি। অল্প কয়েকজন কাজের উপযোগী ওয়ার্কস্টেশন কিনতেও পাওয়া যায়, পরে প্রয়োজনে যা বড় করে নেওয়া সম্ভব। আজকাল হালকা নকশার সুন্দর চেয়ার পাওয়া যায়। লম্বা সময় বসে কাজ করার জন্য আর্গোনোমিক চেয়ারগুলো দারুণ। এসব চেয়ারের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে আপনি স্বাস্থ্যকর দেহভঙ্গি বজায় রাখতে পারেন। সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রাখলে টানা বসে কাজ করলেও আপনাকে ঘাড় বা কোমরের ব্যথায় ভুগতে হবে না। আর্গোনোমিক চেয়ারে বসে কাজের সময় প্রয়োজনমতো নড়াচড়া করতে পারবেন। সব মিলিয়ে আরামদায়ক কর্মপরিবেশের জন্য এসব চেয়ার দারুণ।
আসবাবে বাহুল্য বর্জন: ছোট অফিসে হালকা নকশার আসবাব রাখা হলে জায়গাটা খুব বেশি ছোট মনে হবে না, বরং পরিপাটি দেখাবে। প্রয়োজনমতো এক পাশে ফাইল কেবিনেট রাখুন। খোলা তাকের ব্যবস্থাও করতে পারেন। এখানেও প্রয়োজনীয় বইপত্র গুছিয়ে রাখতে পারেন। নিজেদের অর্জনের স্মারকও সাজিয়ে রাখা যেতে পারে, অফিসে ঢুকলেই স্মারকগুলো চোখে পড়বে। কর্মীদের ব্যক্তিগত কেবিনেট বা লকারের জন্য কিন্তু বাড়তি জায়গার প্রয়োজন নেই। ওয়ার্কস্টেশন বা ডেস্কের নিচেই লকারের ব্যবস্থা করা যায়। জায়গাও বাঁচবে, লকারগুলো দেখাও যাবে না। আসবাবের বাহুল্য আছে বলে মনেও হবে না।
অন্যপাশে ভিন্ন আয়োজন: অফিসের এক পাশে ছোট একটা টেবিল রাখা যেতে পারে। সঙ্গে অল্প কিছু ছোট চেয়ার। কাজের বিরতিতে কর্মীরা একটু আয়েশ করে সেখানে বসতে পারেন। চা-কফি খেতে পারেন। তাতে টানা কাজ করার ক্লান্তি কাটানো সহজ হবে। এমনকি গ্রাহক এলে তার সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে সেই জায়গায় বসেই, যদি তা পরিপাটি করে রাখা যায়। সেখানটায় চাইলে অতিথিদের জন্য অফিসের উপযোগী হালকা নকশার সোফাও রাখতে পারেন।
প্রকৃতির ছোঁয়ায় প্রাণ: কাজের জায়গাটাকে করে তুলুন প্রাণবন্ত। অন্দরের উপযোগী দৃষ্টিনন্দন গাছ রাখুন বেশ কিছু জায়গায়। এগুলোর যত্নও নেওয়া চাই ঠিকঠাক। বোতল বা ছোট পাত্রের পানিতে গাছ রাখলে নিয়মমাফিক পানি বদলান। এমন পাত্রে কিংবা গাছের টবে সাদা বা রঙিন পাথর রাখা যেতে পারে। যদি অফিসের ভেতর প্রাকৃতিক আলো আসার সুযোগ থাকে, তাহলে সেই আলো যতা সম্ভব কাজে লাগান। বিদ্যুৎ খরচও বাঁচবে, অফিসের পরিবেশও হবে চমৎকার।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ