প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকিস্তান বলেছে, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় তাদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দেশটি হুঁশিয়ার করে বলেছে, সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও বেসামরিক লোকজনকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে সময়মতো ভারতের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে তারা।
বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। খবর বিবিসির।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিজেদের বিচার-বিবেচনা অনুযায়ী ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে, পাকিস্তান ভারতের ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের প্রতি শোক জানিয়েছে তারা। ভারতের হামলাকে ‘উসকানিমূলক ও কাপুরুষোচিত’ উল্লেখ করে ইসলামাবাদ বলেছে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের আগ্রাসন থেকে নিজ দেশের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করেছে।
সম্প্রতি কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের এক হামলার জেরে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের ছয়টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। ইসলামাবাদ বলছে, হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন। জবাবে রাতেই নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। দিল্লি বলেছে, পাকিস্তানের এ হামলায় ১০ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তান বলেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও কিছু ড্রোন ভূপাতিত করেছে। যুদ্ধবিমানগুলোকে পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে এসব বিষয়ে ভারত এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তিন রাফাল, এক মিগসহ ভারতের পাঁচ যুদ্ধবিমান ‘ভূপাতিত’: পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, এর মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সু-৩০ ও অন্যটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। সু-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত আমলে তৈরি।
রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো তৈরি করেছে ফরাসি মহাকাশ সংস্থা দাসোঁ এভিয়েশন। বলা হয়, এগুলো ভারতের নিজেদের তৈরি বিমানবাহী রণতরি থেকে পরিচালিত হবে। রাশিয়ার মিগ-২৯ এর জায়গায় নতুন রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো যুক্ত করার কথাও জানানো হয়।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানায়, দেশটির মাটিতে আক্রমণে অংশ নেওয়ার পরই ওই পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারতের পাঁচটি বিমান, কয়েকটি মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ড্রোন) ও নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর কিছু ফাঁড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।