বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘একনায়ক’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তিনি (জেলেনস্কি) সরে না দাঁড়ালে কোনো দেশেই তার ঠাঁই হবে না।’ গত বুধবার সৌদি আরবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকা-রাশিয়ার বৈঠকের পর ট্রাম্পকে নিশানা করে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ‘‘উনি এখন রাশিয়ার দেওয়া মিথ্যা তথ্যের মধ্যে বাস করেন।’ তার পরই জেলেনস্কিকে পাল্টা তোপ দাগলেন ট্রাম্প। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) জেলেনস্কিকে নিশানা করে ট্রাম্প লেখেন, ‘তিনি নির্বাচন করতে চাননি। তিনি একটা কাজেই ভালো ছিলেন। সেটা হচ্ছে, জো বাইডেনকে বেহালার মতো বাজিয়ে যাওয়া। নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা ‘একনায়ক’ হলেন জেলেনস্কি। তার সরে যাওয়া ভালো। না হলে তার যাওয়ার মতো কোনো দেশ থাকবে না।’ ২০১৯ সালে ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ২০২৪ সালেই তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলার জন্য সে দেশে সামরিক আইন কার্যকর করা হয়েছে। এই আইন কার্যকর থাকার ফলে ইউক্রেনে এখনই নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। সে কারণে প্রেসিডেন্ট হিসাবে এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
এদিকে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকার জন্য জেলেনস্কির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। যদিও ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ফ্লোরিডা থেকে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জেলেনস্কি নির্বাচনের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি ইউক্রেনের জরিপে পিছিয়ে আছেন। প্রতিটি শহর গুঁড়িয়ে দিয়ে আপনি কিভাবে উচ্চতার আসনে থাকতে পারেন? এর আগে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের উচিত ছিল যুদ্ধ বন্ধ করতে আগেই চুক্তি করে ফেলা। ইউক্রেনের একটি সমীক্ষক সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় অনেক কমেছে। তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা কখনো ৫০ শতাংশের কম হয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে অভিনয় পেশায় ছিলেন জেলেনস্কি।