ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

সরিষার নামে আসা দুটি কনটেইনারে মিললো ৪২ টন নিষিদ্ধ পপি বীজ

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সরিষা বীজের ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে দুটি কনটেইন্টারে আমদানি করা ৪২ মেট্রিক টন নিষিদ্ধ পপি বীজের একটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রামের শুল্ক বিভাগ।
গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এসব বীজ জব্দ করে। এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, আজমিন ট্রেড সেন্টার নামে পুরান ঢাকার একটি কোম্পানি সরিষা বীজ ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে এসব বীজ আমদানি করেছে।
“সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে।”
কনটেইনার দুটি খালাসের কার্যক্রম শুরু হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তা স্থগিত করা হয়। পরে গত ২২ এপ্রিল সরেজমিন পরীক্ষায় ৫৪ টন সরিষা বীজের জায়গায় ৪২ টন পপি বীজ ও ১২ টন সরিষা বীজ পাওয়া যায় বলে জানান এ শুল্ক কর্মকর্তা। রেজাউল করিম বলেন, “নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই বীজের নমুনা চট্টগ্রামে কয়েকটি পরীক্ষাগারে এবং পরে ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার প্রতিবেদনে পেলে নিশ্চিত হওয়ার পর এসব জব্দ করা হয়।”
পপি গাছের তিনশ প্রজাতির মধ্যে ওপিয়াম পপির ফল থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায়, তা দিয়ে তৈরি হয় আফিম। সেখান থেকে হেরোইন ও মরফিনের মত মাদকও তৈরি করা হয়। বীজ থেকেই চাষ করা যায় পপি। পপি বীজ আটকের এ ঘটনায় শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তা রেজাউল করিম। গত এপ্রিলে পণ্য ওঠানামায় নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ কোম্পানি হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল এসব বীজ খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে এবং শুল্ক বাবদ এক লাখ ৪২ হাজার ৪৯৭ টাকা জমা দেয়। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি করা পপি বীজের দাম প্রায় ১৫ কোটি টাকা হলেও এলসিতে সরিষা বীজের দাম বাবদ ২২ লাখ টাকা পরিশোধের তথ্য দিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। সেক্ষেত্রে বাকি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দ-নীয় অপরাধ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সরিষার নামে আসা দুটি কনটেইনারে মিললো ৪২ টন নিষিদ্ধ পপি বীজ

আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সরিষা বীজের ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে দুটি কনটেইন্টারে আমদানি করা ৪২ মেট্রিক টন নিষিদ্ধ পপি বীজের একটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রামের শুল্ক বিভাগ।
গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এসব বীজ জব্দ করে। এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, আজমিন ট্রেড সেন্টার নামে পুরান ঢাকার একটি কোম্পানি সরিষা বীজ ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে এসব বীজ আমদানি করেছে।
“সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে।”
কনটেইনার দুটি খালাসের কার্যক্রম শুরু হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তা স্থগিত করা হয়। পরে গত ২২ এপ্রিল সরেজমিন পরীক্ষায় ৫৪ টন সরিষা বীজের জায়গায় ৪২ টন পপি বীজ ও ১২ টন সরিষা বীজ পাওয়া যায় বলে জানান এ শুল্ক কর্মকর্তা। রেজাউল করিম বলেন, “নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই বীজের নমুনা চট্টগ্রামে কয়েকটি পরীক্ষাগারে এবং পরে ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার প্রতিবেদনে পেলে নিশ্চিত হওয়ার পর এসব জব্দ করা হয়।”
পপি গাছের তিনশ প্রজাতির মধ্যে ওপিয়াম পপির ফল থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায়, তা দিয়ে তৈরি হয় আফিম। সেখান থেকে হেরোইন ও মরফিনের মত মাদকও তৈরি করা হয়। বীজ থেকেই চাষ করা যায় পপি। পপি বীজ আটকের এ ঘটনায় শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তা রেজাউল করিম। গত এপ্রিলে পণ্য ওঠানামায় নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ কোম্পানি হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল এসব বীজ খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে এবং শুল্ক বাবদ এক লাখ ৪২ হাজার ৪৯৭ টাকা জমা দেয়। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি করা পপি বীজের দাম প্রায় ১৫ কোটি টাকা হলেও এলসিতে সরিষা বীজের দাম বাবদ ২২ লাখ টাকা পরিশোধের তথ্য দিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। সেক্ষেত্রে বাকি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দ-নীয় অপরাধ।