ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

সরবরাহ থাকার পরও চড়া সবজির বাজার

  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতের সবজি প্রচুর সরবরাহ থাকার পরও সবজি ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে সবজি বিক্রি করছেন। ৭০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি নেই বললেই চলে। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস। শীত মৌসুম শুরু হলেও কিছুতেই কমছে না আলু ও পেঁয়াজের দাম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বরমী, কাওরাইদ, গোসিংগা, জৈনা ও মাওনা চৌরাস্তার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা পিস, বাধাকপি ৪০-৫০ টাকা, শিম ৮০-১০০, টমেটো ৯০-১০০, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজ ভেদে, লাউ ৬০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে কিছুটা কমে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিষা শাক আটি প্রতি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, বাজারে প্রচুর নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও কমছে না দাম। ১০০-১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ, পুরাতন পেঁয়াজ ১৪০-১৬০ টাকা। নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা, পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও রসুন ২২০-২৪০ টাকা ও আদা ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাওনা চৌরাস্তার বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়া জানান, মাঝখানে অতিবৃষ্টির কারণে জমিতে রোপণ করা সবজির বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, সবজির দাম বাড়ার অন্যতম কারণ। উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার বড়বাজার কাঁচামালের আড়ৎদার মহসিন মিয়া জানান, আমরা এসব কাঁচা শাকসবজি বগুড়া, রংপুর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই বাজারে এনে পাইকারি বিক্রি করে থাকি। মাঠ পর্যায়ে চাষীদের কাছে জানতে পারছি কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়ার কারণে রোপণ করা বীজতলা ক্ষতি হয়। পুনরায় বিভিন্ন সবজি রোপণ করতে না পারায় সবজির দাম বেড়েছে। তবে যেসব সবজির জমিতে রোপণ করা হয়েছে এগুলো বাজারে ওঠা না পর্যন্ত সবজির দাম সবজির দাম চড়া থাকবে। অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯৫ টাকা, সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৩০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায় এবং ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে সাদা ডিম। মাছের বাজারে তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সরবরাহ থাকার পরও চড়া সবজির বাজার

আপডেট সময় : ১২:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতের সবজি প্রচুর সরবরাহ থাকার পরও সবজি ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে সবজি বিক্রি করছেন। ৭০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি নেই বললেই চলে। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস। শীত মৌসুম শুরু হলেও কিছুতেই কমছে না আলু ও পেঁয়াজের দাম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বরমী, কাওরাইদ, গোসিংগা, জৈনা ও মাওনা চৌরাস্তার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা পিস, বাধাকপি ৪০-৫০ টাকা, শিম ৮০-১০০, টমেটো ৯০-১০০, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজ ভেদে, লাউ ৬০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে কিছুটা কমে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিষা শাক আটি প্রতি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, বাজারে প্রচুর নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও কমছে না দাম। ১০০-১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ, পুরাতন পেঁয়াজ ১৪০-১৬০ টাকা। নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা, পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও রসুন ২২০-২৪০ টাকা ও আদা ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাওনা চৌরাস্তার বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়া জানান, মাঝখানে অতিবৃষ্টির কারণে জমিতে রোপণ করা সবজির বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, সবজির দাম বাড়ার অন্যতম কারণ। উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার বড়বাজার কাঁচামালের আড়ৎদার মহসিন মিয়া জানান, আমরা এসব কাঁচা শাকসবজি বগুড়া, রংপুর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই বাজারে এনে পাইকারি বিক্রি করে থাকি। মাঠ পর্যায়ে চাষীদের কাছে জানতে পারছি কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়ার কারণে রোপণ করা বীজতলা ক্ষতি হয়। পুনরায় বিভিন্ন সবজি রোপণ করতে না পারায় সবজির দাম বেড়েছে। তবে যেসব সবজির জমিতে রোপণ করা হয়েছে এগুলো বাজারে ওঠা না পর্যন্ত সবজির দাম সবজির দাম চড়া থাকবে। অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯৫ টাকা, সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৩০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায় এবং ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে সাদা ডিম। মাছের বাজারে তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।