ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে, প্রত্যাশা হাফিজের

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকার ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি নির্বাচন উপহার দেবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগ সমিতির উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) এম.এ জলিলের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি নির্বাচন উপহার দেবে তারা। সেই নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক, আমরা তাদের সাদরে গ্রহণ করবো। সেখানে সবার ভোটের অধিকার থাকবে। গণতন্ত্র থাকবে, মানবাধিকার থাকবে। তিনি বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ—এমন একটি সরকার আমরা অবিলম্বে দেখতে চাই। রাজনীতির মাঠ খোলা আছে, ছাত্রসমাজ যদি রাজনীতি করতে চায়, তারা দল গঠন করে নির্বাচনে আসুক। এখন মুক্ত পরিবেশে দল গঠন করে জনগণের দ্বারপ্রান্তে এসে নির্বাচন করতে পারেন তারা। জনগণ যাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে, আমরা মাথা পেতে তা মেনে নেবো। মেজর হাফিজ আরও বলেন, আমরা সংস্কারের কথা শুনছি, ভালো। সংস্কার করতে কোনও দোষ নেই, তবে সংস্কার হলো একটা চলমান প্রক্রিয়া। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে সংস্কার তো চলতেই থাকবে। জনগণ কি ততদিন বসে থাকবে? ১৭ বছর ধরে বিএনপি সংগ্রাম করে এসেছে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের লড়াকু ছাত্রসমাজ এবং বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল প্রমাণ করেছে বাঙালি সাহসী জাতি। এই সংগ্রামের ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আশা করি, আমাদের আর কেউ পদানত করতে না পারে। মেজর হাফিজ বলেন, ইতিহাসের এক কালজয়ী ব্যক্তিত্ব ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ জলিল। তাকে মরণোত্তর বীরোত্তম খেতাব ফিরিয়ে দিতে হবে। এটি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, বরিশাল বিমানবন্দর তার নামে করা উচিত। এছাড়াও যারা জীবনে মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তাদের নামে কী করে ক্যান্টনমেন্ট হয়। বরিশাল বিভাগে তাদের নামে যা কিছু আছে, সবকিছু বাতিল করে দিতে হবে। কোনও ব্যক্তির নামে ক্যান্টনমেন্ট হতে পারে না।
সংগঠনের সভাপতি ইকবাল হোসেন ফোরকানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ইলিয়াস খান, বরিশাল বিভাগ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন রেজা প্রমুখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সরকার ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে, প্রত্যাশা হাফিজের

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকার ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি নির্বাচন উপহার দেবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগ সমিতির উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) এম.এ জলিলের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি নির্বাচন উপহার দেবে তারা। সেই নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক, আমরা তাদের সাদরে গ্রহণ করবো। সেখানে সবার ভোটের অধিকার থাকবে। গণতন্ত্র থাকবে, মানবাধিকার থাকবে। তিনি বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ—এমন একটি সরকার আমরা অবিলম্বে দেখতে চাই। রাজনীতির মাঠ খোলা আছে, ছাত্রসমাজ যদি রাজনীতি করতে চায়, তারা দল গঠন করে নির্বাচনে আসুক। এখন মুক্ত পরিবেশে দল গঠন করে জনগণের দ্বারপ্রান্তে এসে নির্বাচন করতে পারেন তারা। জনগণ যাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে, আমরা মাথা পেতে তা মেনে নেবো। মেজর হাফিজ আরও বলেন, আমরা সংস্কারের কথা শুনছি, ভালো। সংস্কার করতে কোনও দোষ নেই, তবে সংস্কার হলো একটা চলমান প্রক্রিয়া। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে সংস্কার তো চলতেই থাকবে। জনগণ কি ততদিন বসে থাকবে? ১৭ বছর ধরে বিএনপি সংগ্রাম করে এসেছে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের লড়াকু ছাত্রসমাজ এবং বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল প্রমাণ করেছে বাঙালি সাহসী জাতি। এই সংগ্রামের ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আশা করি, আমাদের আর কেউ পদানত করতে না পারে। মেজর হাফিজ বলেন, ইতিহাসের এক কালজয়ী ব্যক্তিত্ব ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ জলিল। তাকে মরণোত্তর বীরোত্তম খেতাব ফিরিয়ে দিতে হবে। এটি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, বরিশাল বিমানবন্দর তার নামে করা উচিত। এছাড়াও যারা জীবনে মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তাদের নামে কী করে ক্যান্টনমেন্ট হয়। বরিশাল বিভাগে তাদের নামে যা কিছু আছে, সবকিছু বাতিল করে দিতে হবে। কোনও ব্যক্তির নামে ক্যান্টনমেন্ট হতে পারে না।
সংগঠনের সভাপতি ইকবাল হোসেন ফোরকানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ইলিয়াস খান, বরিশাল বিভাগ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন রেজা প্রমুখ।