ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

সরকার সমালোচক চীনা ধনকুবেরের ১৮ বছর জেল

  • আপডেট সময় : ১১:৫১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : চীনের সরকার সমালোচনাকারী বড় ব্যবসায়ীদের সাজার আওতায় আনার ধারাবাহিকতায় একজন ধনকুবেরকে ১৮ বছরের জেল দিয়েছে দেশটির আদালত।
বিবিসি জানিয়েছে, ‘বিবাদ এবং সমস্যা সৃষ্টিতে উস্কানি দেওয়ার’ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দেশের কৃষিখাতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী সান দাওউকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত সরকার বিরোধী কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। ৬৫ বছর বয়সী সান এর আগে মানবাধিকার এবং স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন।
অবৈধভাবে কৃষিজমি দখল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলার উদ্দেশ্যে লোক জমায়েত করা এবং সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে সানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাকে ৩১ লাখ ইউয়ান জরিমানাও করা হয়েছে।
চীনের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি সানের প্রতিষ্ঠানে মাংস প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে পোষা প্রাণীর খাবার এবং স্কুল কিংবা হাসপাতালের খাবারও সরবরাহ করা হয়।
জমি নিয়ে সরকারি একটি ফার্মের সঙ্গে বিরোধের জেরে গত বছর ২০ জন ব্যবসায়িক সহযোগী এবং স্বজনসহ সান দাওউকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। ওই ব্যবসায়ী সে সময় দাবি করেছিলেন, এই বিরোধের জেরে তার কয়েক ডজন কর্মী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।
সানের সঙ্গে বেশ কিছু ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক ব্যক্তির যোগাযোগ এবং অতীতে সরকারের গ্রামীণ নীতির সমালোচনা করার বিষয়ে জানা যায়।
বলেও বিবিসি জানিয়েছে।
২০১৯ সালে আফ্রিকান ‘সোয়াইন ফ্লু’ মহামারী আড়াল করা নিয়ে খোলাখুলিভাবে চীন সরকারের সমালোচনা করেন সান। সেসময় মহামারীতে তার খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিপর্যস্ত হয় চীনের পোল্ট্রি শিল্প।
অবৈধভাবে তহবিল সংগ্রহের অভিযোগে এর আগে ২০০৩ সালেও তাকে কারাদ- দিয়েছিল আদালত। তবে দেশের জনগণ এবং আন্দোলন কর্মীদের দাবির মুখে ওই মামলা বাতিল করা হয়।
তবে সান তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নিজেকে ‘সর্বান্তকরণে কমিউনিস্ট পার্টির একজন সদস্য’ হিসেবে দাবি করেন। অবশ্য তিনি অনলাইনে ‘বার্তা’ দেওয়াসহ বেশ কিছু ভুলের কথা স্বীকার করেছেন।
সান দাওউ বলেন, “তারা যেভাবে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তাতে আমার ঘনিষ্টরা কষ্ট পাচ্ছেন এবং যারা আমকে ঘৃণা করেন তারা খুশি হচ্ছেন। বাকিদের মুক্তির বিনিময়ে আমার বিরুদ্ধে যেসব দায় আনা হয়েছে সেসব কঠিন হলেও মেনে নিতে চাই। এই সমাজে আমাদের মতো মানুষের অনেক অবদান আছে।”
প্রধান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘আলিবাবা’, ‘দিদি’ এবং ‘টেনসেন্ট’সহ বেশ কিছু বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ নীতি মানছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে চীন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

সরকার সমালোচক চীনা ধনকুবেরের ১৮ বছর জেল

আপডেট সময় : ১১:৫১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : চীনের সরকার সমালোচনাকারী বড় ব্যবসায়ীদের সাজার আওতায় আনার ধারাবাহিকতায় একজন ধনকুবেরকে ১৮ বছরের জেল দিয়েছে দেশটির আদালত।
বিবিসি জানিয়েছে, ‘বিবাদ এবং সমস্যা সৃষ্টিতে উস্কানি দেওয়ার’ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দেশের কৃষিখাতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী সান দাওউকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত সরকার বিরোধী কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। ৬৫ বছর বয়সী সান এর আগে মানবাধিকার এবং স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন।
অবৈধভাবে কৃষিজমি দখল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলার উদ্দেশ্যে লোক জমায়েত করা এবং সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে সানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাকে ৩১ লাখ ইউয়ান জরিমানাও করা হয়েছে।
চীনের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি সানের প্রতিষ্ঠানে মাংস প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে পোষা প্রাণীর খাবার এবং স্কুল কিংবা হাসপাতালের খাবারও সরবরাহ করা হয়।
জমি নিয়ে সরকারি একটি ফার্মের সঙ্গে বিরোধের জেরে গত বছর ২০ জন ব্যবসায়িক সহযোগী এবং স্বজনসহ সান দাওউকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। ওই ব্যবসায়ী সে সময় দাবি করেছিলেন, এই বিরোধের জেরে তার কয়েক ডজন কর্মী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।
সানের সঙ্গে বেশ কিছু ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক ব্যক্তির যোগাযোগ এবং অতীতে সরকারের গ্রামীণ নীতির সমালোচনা করার বিষয়ে জানা যায়।
বলেও বিবিসি জানিয়েছে।
২০১৯ সালে আফ্রিকান ‘সোয়াইন ফ্লু’ মহামারী আড়াল করা নিয়ে খোলাখুলিভাবে চীন সরকারের সমালোচনা করেন সান। সেসময় মহামারীতে তার খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিপর্যস্ত হয় চীনের পোল্ট্রি শিল্প।
অবৈধভাবে তহবিল সংগ্রহের অভিযোগে এর আগে ২০০৩ সালেও তাকে কারাদ- দিয়েছিল আদালত। তবে দেশের জনগণ এবং আন্দোলন কর্মীদের দাবির মুখে ওই মামলা বাতিল করা হয়।
তবে সান তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নিজেকে ‘সর্বান্তকরণে কমিউনিস্ট পার্টির একজন সদস্য’ হিসেবে দাবি করেন। অবশ্য তিনি অনলাইনে ‘বার্তা’ দেওয়াসহ বেশ কিছু ভুলের কথা স্বীকার করেছেন।
সান দাওউ বলেন, “তারা যেভাবে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তাতে আমার ঘনিষ্টরা কষ্ট পাচ্ছেন এবং যারা আমকে ঘৃণা করেন তারা খুশি হচ্ছেন। বাকিদের মুক্তির বিনিময়ে আমার বিরুদ্ধে যেসব দায় আনা হয়েছে সেসব কঠিন হলেও মেনে নিতে চাই। এই সমাজে আমাদের মতো মানুষের অনেক অবদান আছে।”
প্রধান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘আলিবাবা’, ‘দিদি’ এবং ‘টেনসেন্ট’সহ বেশ কিছু বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ নীতি মানছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে চীন।