ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

সরকারের জরুরি সহযোগিতা চান স্টিল ব্যবসায়ীরা

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে কারখানায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট চলছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন দেশের স্টিল, রড ও সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত আয়রন, কার্বন স্টিল, স্টেইনলেস স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং ইন্ডাস্ট্রি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় তারা এই সহায়তা চান।

ব্যবসায়ীরা জানান, বিশ্ববাজারে স্টিলসহ রড ও সিমেন্টের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এদিকে কারখানায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদনও প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। কম উৎপাদন নিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে তৈরি করছে ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কা। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা না পেলে দেশের স্টিল, রড ও সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্টিল খাত সরাসরি দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। কোভিড কালে অনেক উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকায় সংকটের মুখে পড়ে এ শিল্প। তবুও ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। শিল্পায়নসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এ খাতের ঘুরে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ডলার তহবিল গঠনের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে ব্যাংকগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অবকাঠামো নির্মাণে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় উপাদান স্টিল আগে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত। পরে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করে দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্টিল তৈরি করছেন। বাংলাদেশের তৈরি স্টিল এখন বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে। এজন্য এ খাতের প্রস্তুতকারকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, স্টিল খাতে সংকট স্পষ্ট; এ ব্যাপারে দ্বিমতের কিছু নেই। এ খাতের উন্নয়নে জাতীয়ভাবে আলোচনা হওয়া দরকার। স্টিল খাতের ব্র্যান্ডিংয়ে আসন্ন বাংলাদেশ বিজনেস সামিটকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন। স্টিল খাতকে টিকিয়ে রাখতে ডলার তহবিলের দাবি জানান তিনি।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বাজারে রড ও সিমেন্টের দাম প্রায় অর্ধেক বেড়েছে। ফলে এ খাতের সঙ্গে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এফবিসিসিআইর পরিচালক এস এম জাহাঙ্গির আলম (মানিক) বলেন, ডলারের মূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব জুড়েই স্টিলসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। এছাড়া কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। উচ্চমূল্যে কাঁচামাল আমদানি এবং কম উৎপাদনে কর্মীদের বেতন, সব মিলিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফসহ কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ৫% করার দাবি জানান তিনি। সভায় এফবিসিসিআইর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ, ড. সুমন চৌধুরী, ইঞ্জি. শফিকুল হক তালুকদার, ইঞ্জি. বিমল চন্দ্র রায়সহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারের জরুরি সহযোগিতা চান স্টিল ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০২:১৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে কারখানায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট চলছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন দেশের স্টিল, রড ও সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত আয়রন, কার্বন স্টিল, স্টেইনলেস স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং ইন্ডাস্ট্রি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় তারা এই সহায়তা চান।

ব্যবসায়ীরা জানান, বিশ্ববাজারে স্টিলসহ রড ও সিমেন্টের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এদিকে কারখানায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদনও প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। কম উৎপাদন নিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে তৈরি করছে ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কা। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা না পেলে দেশের স্টিল, রড ও সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্টিল খাত সরাসরি দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। কোভিড কালে অনেক উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকায় সংকটের মুখে পড়ে এ শিল্প। তবুও ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। শিল্পায়নসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এ খাতের ঘুরে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ডলার তহবিল গঠনের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে ব্যাংকগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অবকাঠামো নির্মাণে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় উপাদান স্টিল আগে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত। পরে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করে দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্টিল তৈরি করছেন। বাংলাদেশের তৈরি স্টিল এখন বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে। এজন্য এ খাতের প্রস্তুতকারকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, স্টিল খাতে সংকট স্পষ্ট; এ ব্যাপারে দ্বিমতের কিছু নেই। এ খাতের উন্নয়নে জাতীয়ভাবে আলোচনা হওয়া দরকার। স্টিল খাতের ব্র্যান্ডিংয়ে আসন্ন বাংলাদেশ বিজনেস সামিটকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন। স্টিল খাতকে টিকিয়ে রাখতে ডলার তহবিলের দাবি জানান তিনি।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বাজারে রড ও সিমেন্টের দাম প্রায় অর্ধেক বেড়েছে। ফলে এ খাতের সঙ্গে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এফবিসিসিআইর পরিচালক এস এম জাহাঙ্গির আলম (মানিক) বলেন, ডলারের মূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব জুড়েই স্টিলসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। এছাড়া কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। উচ্চমূল্যে কাঁচামাল আমদানি এবং কম উৎপাদনে কর্মীদের বেতন, সব মিলিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফসহ কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ৫% করার দাবি জানান তিনি। সভায় এফবিসিসিআইর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ, ড. সুমন চৌধুরী, ইঞ্জি. শফিকুল হক তালুকদার, ইঞ্জি. বিমল চন্দ্র রায়সহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।