ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ

  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

রোববার সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।

রোববার (২৫ মে) সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করার সময় এ ঘোষণা দেন তিনি।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘিœত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য, উসকানির জন্য, কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আগামী দিনে সচিবালয় অচল করাসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বা বিবর্তনমূলক আইনের খসড়া অনুমোদিত, এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা সেই কালো আইন, নিবর্তন মূলক আইন প্রত্যাহারের জন্য আমরা আজ সবাই এখানে এসেছি।

এই আইনের বিরুদ্ধে সবাই সংযুক্ত হয়েছে। কারণ এই আইনের স্টেকহোল্ডার আমরা এই কর্মচারীরা। অথচ আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ, আলোচনা না করে একটি নতুন আইন চালু করা হয়েছে। যা সাধারণ কর্মচারীদের অধিকার খর্ব করা হবে।

তিনি বলেন, এই আইনের ফলে কর্মচারীদের একটি নোটিশে কারণ দর্শানোর আগেই চাকরি থেকে অপসারণ করা হবে। আমরা এই ধরনের কালো আইন মানবো না। আমরা এই কালো আইন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কাজে মনোনিবেশ করতে পারছি না। কারণ আমরা সচিবালয়ের শান্তিপ্রিয় ও সরকারের অনুগত কর্মী।

যারা সরকারের গঠনমূলক সকল কাজে অংশ করে থাকি। কিন্তু সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা স্বার্থান্বেষী একটি মহল এই আইনটা প্রয়োগ করে নিজেরা সুবিধা নিতে চায় ও সাধারণ কর্মচারীদের বিপদে ফেলতে চায়। তাদের এই অপপ্রয়াস যে কোনো মূল্যে রুখে দেবো।

বাদিউল কবির বলেন, আজকে যারা এখানে উপস্থিত হয়নি তাদেরকে বলতে চাই, যখন এই আইন প্রয়োগ হবে তখন কেউ তাদের ন্যায্য কথাটি বলতে পারবে না। এই আইনটি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম ও আলোচনা উভয় চলতে থাকবে। এই আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না।

এসময় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নজরুল ইসলাম বলেন, যদি আজকের মধ্যে এই কালো অধ্যাদেশ বাতিলের কোনো নির্দেশনা না আসে তাহলে সচিবালয়ে সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উপদেষ্টাদের কোনো গাড়ি ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই কালো অধ্যাদেশ আমাদের বুঝিয়ে লাভ নাই। আমাদের পরিষ্কার কথা এই অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে।

আমরা এপর্যন্ত এ বিষয় দুই জন উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে নাই। আজকের মধ্যে যদি আমাদের আশ্বস্ত না করা হয় তাহলে সচিবালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে নিচে অবস্থান করবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৮:১৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।

রোববার (২৫ মে) সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করার সময় এ ঘোষণা দেন তিনি।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘিœত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য, উসকানির জন্য, কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আগামী দিনে সচিবালয় অচল করাসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বা বিবর্তনমূলক আইনের খসড়া অনুমোদিত, এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা সেই কালো আইন, নিবর্তন মূলক আইন প্রত্যাহারের জন্য আমরা আজ সবাই এখানে এসেছি।

এই আইনের বিরুদ্ধে সবাই সংযুক্ত হয়েছে। কারণ এই আইনের স্টেকহোল্ডার আমরা এই কর্মচারীরা। অথচ আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ, আলোচনা না করে একটি নতুন আইন চালু করা হয়েছে। যা সাধারণ কর্মচারীদের অধিকার খর্ব করা হবে।

তিনি বলেন, এই আইনের ফলে কর্মচারীদের একটি নোটিশে কারণ দর্শানোর আগেই চাকরি থেকে অপসারণ করা হবে। আমরা এই ধরনের কালো আইন মানবো না। আমরা এই কালো আইন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কাজে মনোনিবেশ করতে পারছি না। কারণ আমরা সচিবালয়ের শান্তিপ্রিয় ও সরকারের অনুগত কর্মী।

যারা সরকারের গঠনমূলক সকল কাজে অংশ করে থাকি। কিন্তু সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা স্বার্থান্বেষী একটি মহল এই আইনটা প্রয়োগ করে নিজেরা সুবিধা নিতে চায় ও সাধারণ কর্মচারীদের বিপদে ফেলতে চায়। তাদের এই অপপ্রয়াস যে কোনো মূল্যে রুখে দেবো।

বাদিউল কবির বলেন, আজকে যারা এখানে উপস্থিত হয়নি তাদেরকে বলতে চাই, যখন এই আইন প্রয়োগ হবে তখন কেউ তাদের ন্যায্য কথাটি বলতে পারবে না। এই আইনটি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম ও আলোচনা উভয় চলতে থাকবে। এই আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না।

এসময় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নজরুল ইসলাম বলেন, যদি আজকের মধ্যে এই কালো অধ্যাদেশ বাতিলের কোনো নির্দেশনা না আসে তাহলে সচিবালয়ে সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উপদেষ্টাদের কোনো গাড়ি ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই কালো অধ্যাদেশ আমাদের বুঝিয়ে লাভ নাই। আমাদের পরিষ্কার কথা এই অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে।

আমরা এপর্যন্ত এ বিষয় দুই জন উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে নাই। আজকের মধ্যে যদি আমাদের আশ্বস্ত না করা হয় তাহলে সচিবালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে নিচে অবস্থান করবে।