ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ প্রস্তুতি

  • আপডেট সময় : ১২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : যেভাবে পড়াশোনা করবেন
১। নিজের সম্পর্কে, নিজের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নোট তৈরি করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিজের নামের সঙ্গে কোন বিখ্যাত মানুষের নামের মিল থাকলে সে সম্পর্কে জানতে হবে। তবে ভাইভায় নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে, গুরুত্ব দিতে হবে ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিষয়। এছাড়াও নিজের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিখ্যাত মানুষ থাকলে তাদের সম্পর্কেও জানতে হবে।
২। সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া আলোচিত বিষয় সম্পর্কে আপ টু ডেট থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু বই বাজারে পাওয়া যায়। সেগুলো সংগ্রহ করে প্র্যাকটিস করতে হবে।
৩। বিসিএস পরীক্ষার থেকে প্রার্থীর পছন্দসই ক্যাডেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানাশোনা থাকতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচিত ক্যাডেট কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করবে, ট্রেনিং, পোস্টিং ও দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। পাশাপাশি স্নাতকের সাবজেক্টের সঙ্গে পছন্দের ক্যাডেট কতটা সম্পৃক্ত সে সম্পর্কেও বিষদ জানাশোনা থাকতে হবে। এ জন্য নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই।
বিসিএস ছাড়া সরকারি অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ধরুন আপনি দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক পদে ভাইভা দিবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম, প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, এ সংক্রান্ত আইন, দুর্নীতির সংজ্ঞা, ধরণ ও আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
ভাইভায় যেমন পোশাক পড়বেন : কথায় আছে, আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী। ভাইভা পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ কথাটি বেশ প্রযোজ্য। তাই প্রার্থীকে এমন একটি পোশাক বাছাই করতে হবে, যাতে তাকে অফিসিয়াল লুকে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সাদা শার্টের সঙ্গে কালো প্যান্ট পড়তে হবে। এছাড়াও লাইট কালারের শার্ট ও ডার্ক কালারের প্যান্টও পরিধানযোগ্য।
মনোযোগী হতে হবে জুতার ক্ষেত্রেও। যদিও ফর্মাল ড্রেসের সঙ্গে টাই পড়বেন কিনা, এ সংক্রান্ত কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে ফর্মাল ড্রেসের সঙ্গে টাই পড়লে মন্দ হয় না। এতে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ে।
ভাইভা পরীক্ষার সাধারণ কিছু নিয়ম-নীতি
সরকারি চাকরির ভাইভায় একজন প্রার্থীকে অবশ্যই নমনীয়তা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। এছাড়াও এখানে কিছু কৌশল মেনে চললে অনেকের থেকেই এগিয়ে থাকবেন-
১। প্রশ্ন যদি বাংলায় হয়, তো বাংলায় উত্তর দিবেন। ইংরেজিতে হলে ইংরেজিতে উত্তর দিবেন। এর মধ্যদিয়ে আপনার সক্ষমতা প্রকাশ পাবে। ইংরেজি প্রশ্নের বাংলায় উত্তর আপনার সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। ভাইভা পরীক্ষায় এ বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় কথা বলার প্রস্তুতি নিতে হবে।
২। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে- প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্যদিয়ে ইতিমধ্যেই আপনি নিজের মেধার সক্ষমতার প্রমাণ করেছেন। সুতরাং ভাইভা পরীক্ষায় নতুন করে আপনার মেধা পরীক্ষা করা হবে না। প্রশ্নকর্তারা ভাইভা পরীক্ষা আপনি কতটা অফিসার ফ্রেন্ডলি, সে বিষয়টি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। সুতরাং প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় নমনীয়তা বজায় রাখতে হবে।-

নৈঋতা হালদার: ১০ বছরের শিক্ষা জীবনে ১১ টি জাতীয় পুরষ্কার
ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : নৈঋতা হালদার। একটি নাম একটি মেধা। যে মেধার তুলনাই হয়না। ঘটনাটি সত্যি অবিশ্বাস্য! যে কোন মানুষ ভাবিয়ে তুলে। ভাবনার জগতে আন্দোলিত করে। মাত্র ১০ বছরের শিক্ষা জীবনে ১১ বার জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেছে টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নৈঋতা হালদার। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এলাকার মানুষরে মাঝে তাকে নিয়ে হরহামেশাই আলোচনা হচ্ছে।
তার অনন্য মেধা আর যোগ্যতার স্বীকৃতি পাচ্ছে অনেক জায়গাতেই। এরই ধারাবাহিকতায় গেল ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই কৃতি ছাত্রীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলেই যেন তার গুনগান শুরু করেছেন। সবার মুখে মুখে নৈঋতা হালদারের নাম। পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সঞ্জিত কুমার রায়। তিনি ওই ছাত্রীর মত মেধাবী হতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন মেধার কোন বিকল্প নেই। এদিকে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মীর মনির হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন এবং নৈঋতার মা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপিকা চিনু রানী বিশ্বাস। বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইলের মতো মফস্বল শহরের একটি স্কুল থেকে ধারাবাহিকভাবে ১১ বার জাতীয় পুরষ্কার অর্জন বিরল ঘটনা।
বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এতোগুলো পুরষ্কার অর্জনকারী ছাত্রী দেশে আর কেউ আছে কি না আমাদের জানা নেই। তারা ওই ছাত্রীর ভূয়শী প্রশংসা করেন। তাকে ভভিষ্যতে তার মেধা দিয়ে দেশ-জাতির কল্যানে কাজ করতে উৎসাহ দেন সকলেই।
এদিকে সম্মাননা পেয়ে নৈঋতা হালদার আবেগময় অনুভূতি প্রকাশ করে। সে সবার কাছে তার ভবিষ্যত জীবনের জন্য আশীর্বাদ কামনা করে। পরে নৈঋতা হালদারের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। আবেগ তাড়িত হয়ে সে জানায় আমার সকল অর্জনের জন্যে মা-বাবা ও আমার প্রিয় শিক্ষকদের ভূমিকাই সবচাইতে বেশী। তাদের উৎসাহে আমি এগিয়ে যেতে চাই। আমি দেশবাসির কাছে এই আর্শিবাদ কামনা করি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ১২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : যেভাবে পড়াশোনা করবেন
১। নিজের সম্পর্কে, নিজের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নোট তৈরি করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিজের নামের সঙ্গে কোন বিখ্যাত মানুষের নামের মিল থাকলে সে সম্পর্কে জানতে হবে। তবে ভাইভায় নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে, গুরুত্ব দিতে হবে ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিষয়। এছাড়াও নিজের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিখ্যাত মানুষ থাকলে তাদের সম্পর্কেও জানতে হবে।
২। সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া আলোচিত বিষয় সম্পর্কে আপ টু ডেট থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু বই বাজারে পাওয়া যায়। সেগুলো সংগ্রহ করে প্র্যাকটিস করতে হবে।
৩। বিসিএস পরীক্ষার থেকে প্রার্থীর পছন্দসই ক্যাডেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানাশোনা থাকতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচিত ক্যাডেট কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করবে, ট্রেনিং, পোস্টিং ও দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। পাশাপাশি স্নাতকের সাবজেক্টের সঙ্গে পছন্দের ক্যাডেট কতটা সম্পৃক্ত সে সম্পর্কেও বিষদ জানাশোনা থাকতে হবে। এ জন্য নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই।
বিসিএস ছাড়া সরকারি অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ধরুন আপনি দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক পদে ভাইভা দিবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম, প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, এ সংক্রান্ত আইন, দুর্নীতির সংজ্ঞা, ধরণ ও আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
ভাইভায় যেমন পোশাক পড়বেন : কথায় আছে, আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী। ভাইভা পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ কথাটি বেশ প্রযোজ্য। তাই প্রার্থীকে এমন একটি পোশাক বাছাই করতে হবে, যাতে তাকে অফিসিয়াল লুকে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সাদা শার্টের সঙ্গে কালো প্যান্ট পড়তে হবে। এছাড়াও লাইট কালারের শার্ট ও ডার্ক কালারের প্যান্টও পরিধানযোগ্য।
মনোযোগী হতে হবে জুতার ক্ষেত্রেও। যদিও ফর্মাল ড্রেসের সঙ্গে টাই পড়বেন কিনা, এ সংক্রান্ত কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে ফর্মাল ড্রেসের সঙ্গে টাই পড়লে মন্দ হয় না। এতে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ে।
ভাইভা পরীক্ষার সাধারণ কিছু নিয়ম-নীতি
সরকারি চাকরির ভাইভায় একজন প্রার্থীকে অবশ্যই নমনীয়তা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। এছাড়াও এখানে কিছু কৌশল মেনে চললে অনেকের থেকেই এগিয়ে থাকবেন-
১। প্রশ্ন যদি বাংলায় হয়, তো বাংলায় উত্তর দিবেন। ইংরেজিতে হলে ইংরেজিতে উত্তর দিবেন। এর মধ্যদিয়ে আপনার সক্ষমতা প্রকাশ পাবে। ইংরেজি প্রশ্নের বাংলায় উত্তর আপনার সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। ভাইভা পরীক্ষায় এ বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় কথা বলার প্রস্তুতি নিতে হবে।
২। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে- প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্যদিয়ে ইতিমধ্যেই আপনি নিজের মেধার সক্ষমতার প্রমাণ করেছেন। সুতরাং ভাইভা পরীক্ষায় নতুন করে আপনার মেধা পরীক্ষা করা হবে না। প্রশ্নকর্তারা ভাইভা পরীক্ষা আপনি কতটা অফিসার ফ্রেন্ডলি, সে বিষয়টি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। সুতরাং প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় নমনীয়তা বজায় রাখতে হবে।-

নৈঋতা হালদার: ১০ বছরের শিক্ষা জীবনে ১১ টি জাতীয় পুরষ্কার
ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : নৈঋতা হালদার। একটি নাম একটি মেধা। যে মেধার তুলনাই হয়না। ঘটনাটি সত্যি অবিশ্বাস্য! যে কোন মানুষ ভাবিয়ে তুলে। ভাবনার জগতে আন্দোলিত করে। মাত্র ১০ বছরের শিক্ষা জীবনে ১১ বার জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেছে টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নৈঋতা হালদার। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এলাকার মানুষরে মাঝে তাকে নিয়ে হরহামেশাই আলোচনা হচ্ছে।
তার অনন্য মেধা আর যোগ্যতার স্বীকৃতি পাচ্ছে অনেক জায়গাতেই। এরই ধারাবাহিকতায় গেল ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই কৃতি ছাত্রীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলেই যেন তার গুনগান শুরু করেছেন। সবার মুখে মুখে নৈঋতা হালদারের নাম। পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সঞ্জিত কুমার রায়। তিনি ওই ছাত্রীর মত মেধাবী হতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন মেধার কোন বিকল্প নেই। এদিকে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মীর মনির হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন এবং নৈঋতার মা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপিকা চিনু রানী বিশ্বাস। বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইলের মতো মফস্বল শহরের একটি স্কুল থেকে ধারাবাহিকভাবে ১১ বার জাতীয় পুরষ্কার অর্জন বিরল ঘটনা।
বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এতোগুলো পুরষ্কার অর্জনকারী ছাত্রী দেশে আর কেউ আছে কি না আমাদের জানা নেই। তারা ওই ছাত্রীর ভূয়শী প্রশংসা করেন। তাকে ভভিষ্যতে তার মেধা দিয়ে দেশ-জাতির কল্যানে কাজ করতে উৎসাহ দেন সকলেই।
এদিকে সম্মাননা পেয়ে নৈঋতা হালদার আবেগময় অনুভূতি প্রকাশ করে। সে সবার কাছে তার ভবিষ্যত জীবনের জন্য আশীর্বাদ কামনা করে। পরে নৈঋতা হালদারের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। আবেগ তাড়িত হয়ে সে জানায় আমার সকল অর্জনের জন্যে মা-বাবা ও আমার প্রিয় শিক্ষকদের ভূমিকাই সবচাইতে বেশী। তাদের উৎসাহে আমি এগিয়ে যেতে চাই। আমি দেশবাসির কাছে এই আর্শিবাদ কামনা করি।