ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য চেয়েছে দুদক

  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব বা পাসপোর্টের তথ্য জানতে চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। এসব তথ্য চেয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থাটি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

ক্ষমতার পালাবদলের পর দুদক পুনর্গঠন করা হয়েছে। কমিশন ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে যারা মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে তা দুদককে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

এবার নতুন বছরের প্রথম দিন সরকারি কর্মচারীদের বিদেশি নাগরিকত্ব বিষয়ে তথ্য চেয়ে তিনটি দপ্তরে চিঠি পাঠাল দুদক।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, বিভিন্ন সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করা সরকারি কর্মচারীদের পাসপোর্ট ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য দেওয়ার জন্য তিনটি দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ ও ব্যবহার করছেন। চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে শাস্তি বা আইনগত পদক্ষেপ এড়ানোর লক্ষ্যে তারা অন্য দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে সেসব দেশে অবস্থান করছেন।

বিদেশি নাগরিকত্ব: ২৪ সাবেক মন্ত্রী-এমপির বিষয়ে ব্যবস্থা চায় দুদক

এর মধ্য দিয়ে এসব সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিজেদের আইনি পদক্ষেপ হতে রক্ষা করাসহ অপকর্ম ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন। তাই তারা বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে থাকেন।

তাদের এমন কর্মকাণ্ড সরকারি চাকুরি আইন, ২০১৮ এর ৪০ ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থি হিসেবে তুলে ধরে দুদকের চিঠিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানের সময় তথ্য পাওয়া গেছে যে, সরকারি কর্মচারীদের একাধিক পাসপোর্ট গ্রহণের মূল লক্ষ্যই হলো বাংলাদেশে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত তাদের অবৈধ সম্পদ গোপন করে বিদেশে পাচার ও ভোগ করা। তাদের এমন কার্যকলাপ দেশে দুর্নীতির প্রসারে ভূমিকা রাখছে এবং দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাছাড়া, ভিন্ন একটি দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের সরকারি চাকরির নৈতিক দায়-দায়িত্বের প্রতি তাদের অনাগ্রহ দেখা যায়, যা কোনক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়।

চিঠিতে বলা হয়, দন্ডবিধির ২১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ২ নম্বর ধারা এবং ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১-এর ১১০ ধারাসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সকল আইন অনুযায়ী প্রতিরক্ষা বিভাগে কর্মরত সকল কমিশন্ড অফিসার, আদালতে কর্মরত কর্মচারী ও বিচারক সরকারি রাজস্ব খাত হতে বেতনভুক্ত সকল কর্মচারী, সকল স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত, আধা-সরকারি বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিতে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হন। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় গণকর্মচারী অথবা তাদের পোষ্যদের দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়ে থাকা তথ্য পর্যালোচনা করা দরকার।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য চেয়েছে দুদক

আপডেট সময় : ০৯:০৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব বা পাসপোর্টের তথ্য জানতে চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। এসব তথ্য চেয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থাটি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

ক্ষমতার পালাবদলের পর দুদক পুনর্গঠন করা হয়েছে। কমিশন ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে যারা মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে তা দুদককে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

এবার নতুন বছরের প্রথম দিন সরকারি কর্মচারীদের বিদেশি নাগরিকত্ব বিষয়ে তথ্য চেয়ে তিনটি দপ্তরে চিঠি পাঠাল দুদক।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, বিভিন্ন সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করা সরকারি কর্মচারীদের পাসপোর্ট ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য দেওয়ার জন্য তিনটি দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ ও ব্যবহার করছেন। চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে শাস্তি বা আইনগত পদক্ষেপ এড়ানোর লক্ষ্যে তারা অন্য দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে সেসব দেশে অবস্থান করছেন।

বিদেশি নাগরিকত্ব: ২৪ সাবেক মন্ত্রী-এমপির বিষয়ে ব্যবস্থা চায় দুদক

এর মধ্য দিয়ে এসব সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিজেদের আইনি পদক্ষেপ হতে রক্ষা করাসহ অপকর্ম ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন। তাই তারা বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে থাকেন।

তাদের এমন কর্মকাণ্ড সরকারি চাকুরি আইন, ২০১৮ এর ৪০ ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থি হিসেবে তুলে ধরে দুদকের চিঠিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানের সময় তথ্য পাওয়া গেছে যে, সরকারি কর্মচারীদের একাধিক পাসপোর্ট গ্রহণের মূল লক্ষ্যই হলো বাংলাদেশে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত তাদের অবৈধ সম্পদ গোপন করে বিদেশে পাচার ও ভোগ করা। তাদের এমন কার্যকলাপ দেশে দুর্নীতির প্রসারে ভূমিকা রাখছে এবং দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাছাড়া, ভিন্ন একটি দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের সরকারি চাকরির নৈতিক দায়-দায়িত্বের প্রতি তাদের অনাগ্রহ দেখা যায়, যা কোনক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়।

চিঠিতে বলা হয়, দন্ডবিধির ২১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ২ নম্বর ধারা এবং ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১-এর ১১০ ধারাসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সকল আইন অনুযায়ী প্রতিরক্ষা বিভাগে কর্মরত সকল কমিশন্ড অফিসার, আদালতে কর্মরত কর্মচারী ও বিচারক সরকারি রাজস্ব খাত হতে বেতনভুক্ত সকল কর্মচারী, সকল স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত, আধা-সরকারি বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিতে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হন। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় গণকর্মচারী অথবা তাদের পোষ্যদের দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়ে থাকা তথ্য পর্যালোচনা করা দরকার।