ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

সরকারি অর্থ আত্মসাতে দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট সময় : ১২:১২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিলের অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা না করে নিজের কাছে রেখে আত্মসাতের অভিযোগে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের ভোলার চরফ্যাশন শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) রেজাউল করিম এবং একই শাখার সাবেক অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক দেবব্রত ম-ল। গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফ সাদেক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি রেজাউল কবির পাঁচটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সর্বমোট দুই কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার ৬৪০ টাকা আত্মসাৎ করে দ-বিধির ৪০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেন। এই আত্মসাতে রেজাউল কবিরকে সহায়তা করে ক্যাশ ইনচার্জ সাহাবুদ্দিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, চরফ্যাশন ভোলা এর যৌথ স্বাক্ষরে মধুমতি ব্যাংক লি:, চরফ্যাশন শাখা, ভোলায় পরিচালিত পাঁচটি হিসাবে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ বিভিন্ন সময়ে বিল ও চেকের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করা হতো। এই পাঁচটি হিসাবে যে পরিমাণ অর্থ বিল বা চেকের মাধ্যমে জমা হওয়ার কথা তা হয়নি। শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল কবির এসব বিল/চেকের অর্থ অন্যান্য ব্যাংক থেকে নগদে কালেকশন করিয়ে এনে নিজের কাছে রাখতেন। উপজেলা প্রশাসনের কালেকশনকৃত অর্থ থেকে হিসাবের বিলের সমপরিমাণ অর্থ জমা না করে বিভিন্ন সময়ে তিনি আংশিক অর্থ নগদে জমা করেছেন এবং বাকি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। হিসাব হতে অর্থ উত্তোলন করার জন্য গ্রাহক/বাহক কর্তৃক চেক উপস্থাপন করা হলে হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকলে ক্যাশ ইনচার্জ সাহাবুদ্দিন গ্রাহক/বাহককে জানাতেন না বরং শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিমকে অবহিত করে চ্যাকের সমপরিমাণ অর্থ জমা করে তা বাহককে প্রদান করতেন। এভাবে তিনি উপজেলা প্রশাসনের সরকারি হিসাবের এই বিপুল অর্থ তসরুপ করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি অর্থ আত্মসাতে দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ১২:১২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিলের অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা না করে নিজের কাছে রেখে আত্মসাতের অভিযোগে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের ভোলার চরফ্যাশন শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) রেজাউল করিম এবং একই শাখার সাবেক অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক দেবব্রত ম-ল। গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফ সাদেক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি রেজাউল কবির পাঁচটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সর্বমোট দুই কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার ৬৪০ টাকা আত্মসাৎ করে দ-বিধির ৪০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেন। এই আত্মসাতে রেজাউল কবিরকে সহায়তা করে ক্যাশ ইনচার্জ সাহাবুদ্দিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, চরফ্যাশন ভোলা এর যৌথ স্বাক্ষরে মধুমতি ব্যাংক লি:, চরফ্যাশন শাখা, ভোলায় পরিচালিত পাঁচটি হিসাবে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ বিভিন্ন সময়ে বিল ও চেকের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করা হতো। এই পাঁচটি হিসাবে যে পরিমাণ অর্থ বিল বা চেকের মাধ্যমে জমা হওয়ার কথা তা হয়নি। শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল কবির এসব বিল/চেকের অর্থ অন্যান্য ব্যাংক থেকে নগদে কালেকশন করিয়ে এনে নিজের কাছে রাখতেন। উপজেলা প্রশাসনের কালেকশনকৃত অর্থ থেকে হিসাবের বিলের সমপরিমাণ অর্থ জমা না করে বিভিন্ন সময়ে তিনি আংশিক অর্থ নগদে জমা করেছেন এবং বাকি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। হিসাব হতে অর্থ উত্তোলন করার জন্য গ্রাহক/বাহক কর্তৃক চেক উপস্থাপন করা হলে হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকলে ক্যাশ ইনচার্জ সাহাবুদ্দিন গ্রাহক/বাহককে জানাতেন না বরং শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিমকে অবহিত করে চ্যাকের সমপরিমাণ অর্থ জমা করে তা বাহককে প্রদান করতেন। এভাবে তিনি উপজেলা প্রশাসনের সরকারি হিসাবের এই বিপুল অর্থ তসরুপ করেন।