বিদেশের খবর ডেস্ক : এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত দুটি গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা ও রেডিও ফ্রি ইউরোপ বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন ধনকুবের ও ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বিভাগ ‘সরকারি দক্ষতা উন্নয়নের’ প্রধান ইলন মাস্ক । যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধের পরিকল্পনার মধ্যেই এমন আহ্বান জানানেল তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই তার প্রশাসনে ইলন মাস্ক কোন পদে নিয়োগ পাবেন তা নিয়ে নানা আলোচনা চলে। অবশেষে মাস্কের জন্য ‘সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন’ নামে নতুন একটি বিভাগই খুলে ফেলেন ট্রাম্প। এই বিভাগের দায়িত্ব পেয়েই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় মাস্ককে। গণমাধ্যম দুটি বন্ধের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক বলেন, এগুলো কারদাতাদের টাকায় চলে, যার আর প্রয়োজন নেই।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল গণমাধ্যমগুলো নিয়ে সমালোচনা করেন। এরপরই এক্স হ্যান্ডেলে ভয়েস অব আমেরিকা ও রেডিও ফ্রি’র আউটলেটগুলো বন্ধের কথা বলেন মাস্ক। সাম্প্রতিক সময়ে মাস্ক ও গ্রেনেল দুজনই মিডিয়া সংস্থাগুলোর সরকারি অর্থায়নের তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন। গণমাধ্যম পরিচালনায় করদাতার অর্থ ব্যবহার করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এদিকে, পলিটিকো, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের মতো মিডিয়া সংস্থাগুলোর পেছনে ফেডারেল অর্থপ্রদানের সমালোচনাও করেছেন ইলন মাস্ক। রুশ গণমাধ্যম আরটির দাবি, ইলন মাস্ক এই অর্থপ্রদান বাতিলের জন্য কাজ করছেন। রেডিও ফ্রি ইউরোপ বা রেডিও লির্বাটি ১৯৫০ সালে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রপন্থি ও সোভিয়েত-বিরোধী প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পরিচালিত হতো সিআইএ’র মাধ্যমে। শুরুর দিকে গণমাধ্যমটির নাম ছিল রেডিও লিবারেশন ফ্রম বলশেভিজম বা বলশেভিজম থেকে মুক্তির রেডিও। পরে, ১৯৫৬ সালে রেডিও লিবারেশন নামকরণ করা হয়। বর্তমানে এটি রেডিও লিবার্টি নামে পরিচিত।
২০২০ সালে রাশিয়া রেডিও লিবার্টিকে বিদেশি এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে ও ২০২২ সালে এর সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে, ভয়েস অব আমেরিকা ১৯৪০ এর দশকে নাৎসি প্রোপাগান্ডা মোকাবিলা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি এখনো মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত ও এর ব্যবস্থাপনা সরাসরি মার্কিন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সূত্র: বিবিসি