ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

সরকারি অফিস ৮টা থেকে ৩টা, প্রজ্ঞাপন জারি

  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকার আগামী ২৪ আগস্ট থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারণ করলো-রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শুক্রবার ও শনিবার-সাপ্তাহিক ছুটি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবাসমূহ নতুন অফিস সময়সূচির আওতাবহির্ভূত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সময়সূচি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ নির্ধারণ করবে। এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক, বিমা, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর আগে আগামীকাল বুধবার (২৪ আগস্ট) থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।
এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে কীভাবে আরও ইফেক্টিভ করা যায় এই মুহূর্তে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইনস্ট্যান্টলি তো বাড়ানো সম্ভব হবে না। সে জন্য আলোচনা হয়েছে কতগুলো। তিনি বলেন, আগামী ২৪ আগস্ট বুধবার থেকে সব সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিস, সরকারের অধীনে যেসব অফিস আছে সেগুলো সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বেসরকারি অফিসের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সব সরকারি অফিসে কোথাও পর্দা টাঙানো থাকবে না। এগুলো তুলে লাইট যতসম্ভব কম লাগলে যতটুকু চলবে এবং এয়ারকুলারও যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মিটিংয়ে ছিলেন। উনিও গিয়ে ঘোষণা দিয়ে দিচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে, উনিও নির্দেশনা দিয়ে দিচ্ছেন, সপ্তাহে দুদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। দুদিন কোন কোন দিন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা উনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) ঘোষণা করবে। এটা ফাইনাল হয়ে গেছে, উনারা আদেশ জারি করবে। এসব সিদ্ধান্তের কারণে দুইটা সুবিধা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, একটা হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, আরেকটা হলো ট্রাফিক জ্যামটাও কমবে। এসব সিদ্ধান্ত কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় তো হবেই। দেখা যাক, পরবর্তী অবস্থা উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চলুক। সাথে সাথে ট্রাফিক জ্যামটাও একটা ডিস্টিবিউট হয়ে যাবে।
কখন কী বন্ধ হবে, জানিয়ে দিল ডিএসসিসি : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কোন ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ক’টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে, তা ঠিক করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাত ১০টায় রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। সিনেমা হলসহ সব ধরনের বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান রাত ১১টার পর আর খোলা রাখা যাবে না। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
গতকাল সোমবার এই নির্দেশনা দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের। # রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানের রান্নাঘর বন্ধ হবে রাত ১০টায় # খাবার সরবরাহ কাজের শেষ সময় রাত ১১টা # চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা খোলা থাকবে রাত ১১টা পর্যন্ত # সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে # হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান খোলা থাকবে রাত ২টা পর্যন্ত।
এছাড়া রাত ৮টার মধ্যে সব দোকান পাট, শপিংমল, মার্কেট ও বিপণি বিতান বন্ধ করা এবং কাঁচাবাজার, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা সরকারের রয়েছে, তাও মেনে চলতে হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এর আগে সরকারের সিদ্ধান্তে গত ১৬ জুন থেকে রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার নির্দেশনা আসে।
সেচ সুবিধা ও সার কারখানার জন্য অবিলম্বে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ : দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কেবিনেটের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে আমন ধানের সেচ সুবিধা ও সার কারখানার জন্য অবিলম্বে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সময়টা নির্দিষ্ট করবে কৃষি মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। তিনি জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন এমন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন হতে পারে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি অফিস ৮টা থেকে ৩টা, প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেট সময় : ০২:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকার আগামী ২৪ আগস্ট থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারণ করলো-রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শুক্রবার ও শনিবার-সাপ্তাহিক ছুটি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবাসমূহ নতুন অফিস সময়সূচির আওতাবহির্ভূত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সময়সূচি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ নির্ধারণ করবে। এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক, বিমা, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর আগে আগামীকাল বুধবার (২৪ আগস্ট) থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।
এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে কীভাবে আরও ইফেক্টিভ করা যায় এই মুহূর্তে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইনস্ট্যান্টলি তো বাড়ানো সম্ভব হবে না। সে জন্য আলোচনা হয়েছে কতগুলো। তিনি বলেন, আগামী ২৪ আগস্ট বুধবার থেকে সব সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিস, সরকারের অধীনে যেসব অফিস আছে সেগুলো সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বেসরকারি অফিসের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সব সরকারি অফিসে কোথাও পর্দা টাঙানো থাকবে না। এগুলো তুলে লাইট যতসম্ভব কম লাগলে যতটুকু চলবে এবং এয়ারকুলারও যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মিটিংয়ে ছিলেন। উনিও গিয়ে ঘোষণা দিয়ে দিচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে, উনিও নির্দেশনা দিয়ে দিচ্ছেন, সপ্তাহে দুদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। দুদিন কোন কোন দিন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা উনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) ঘোষণা করবে। এটা ফাইনাল হয়ে গেছে, উনারা আদেশ জারি করবে। এসব সিদ্ধান্তের কারণে দুইটা সুবিধা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, একটা হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, আরেকটা হলো ট্রাফিক জ্যামটাও কমবে। এসব সিদ্ধান্ত কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় তো হবেই। দেখা যাক, পরবর্তী অবস্থা উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চলুক। সাথে সাথে ট্রাফিক জ্যামটাও একটা ডিস্টিবিউট হয়ে যাবে।
কখন কী বন্ধ হবে, জানিয়ে দিল ডিএসসিসি : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কোন ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ক’টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে, তা ঠিক করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাত ১০টায় রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। সিনেমা হলসহ সব ধরনের বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান রাত ১১টার পর আর খোলা রাখা যাবে না। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
গতকাল সোমবার এই নির্দেশনা দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের। # রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানের রান্নাঘর বন্ধ হবে রাত ১০টায় # খাবার সরবরাহ কাজের শেষ সময় রাত ১১টা # চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা খোলা থাকবে রাত ১১টা পর্যন্ত # সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে # হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান খোলা থাকবে রাত ২টা পর্যন্ত।
এছাড়া রাত ৮টার মধ্যে সব দোকান পাট, শপিংমল, মার্কেট ও বিপণি বিতান বন্ধ করা এবং কাঁচাবাজার, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা সরকারের রয়েছে, তাও মেনে চলতে হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এর আগে সরকারের সিদ্ধান্তে গত ১৬ জুন থেকে রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার নির্দেশনা আসে।
সেচ সুবিধা ও সার কারখানার জন্য অবিলম্বে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ : দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কেবিনেটের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে আমন ধানের সেচ সুবিধা ও সার কারখানার জন্য অবিলম্বে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সময়টা নির্দিষ্ট করবে কৃষি মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। তিনি জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন এমন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন হতে পারে।