আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কমিউনিস্ট শাসন শুরু হওয়ার পর প্রথম সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনকে দায়ী করেছে কিউবা। অবশ্য মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, তারা কিউবার জনগণের বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করে। গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার অবশ্য হাভানার সড়কগুলো নীরব ছিল। রাস্তাগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো গত রোববার কিউবায় হাজার হাজার মানুষ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেছে। দেশের তীব্র অর্থনৈতিক সংকট ও করোনা মহামারি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের ব্যর্থতার জেরে এই বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকে কমিউনিজমের পতন ও ‘স্বাধীনতা’ দাবি করেছে।
নির্বাসিত অধিকার গ্রুপ কিউবালেক্স জানিয়েছে, অন্তত ১০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে অধিকার কর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।
হাভানার বাসিন্দা মেকেল বলেন, ‘এখানে বাস করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। আমি জানি না আবারও এটা (বিক্ষোভ) হবে কিনা। কারণ এই মুহূর্তে হাভানা সামরিকৃত অবস্থায় আছে। এরপরও কিউবার মানুষ তাদের ভয় ঝেড়ে ফেলছে।’
প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল এই বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভাড়াটে লোকজন এই বিক্ষোভ আয়োজন করছে বলে জানান তিনি।
অবশ্য ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিউবার মানুষদের ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ’কে ‘সাহসী’ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন। বিক্ষোভকারীদের পাশে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে কিউবা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ