ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

‘সরকারকে সরাতে’ বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্যে সাকির গণসংহতি

  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ‘যুগপৎ ধারায়’ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে গণসংহতি আন্দোলনের। সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামতে গণসংহতি আন্দোলন বিএনপিকে সাত দফা প্রস্তাবও দিয়েছে। রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটির সঙ্গে দুই ঘণ্টার রাজনৈতিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন। মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ‘রাজবন্দিদের’ মুক্তি, বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, বিদ্যমান সংবিধানের মৌলিক সংশোধনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের সব মানুষকে, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা একমত হয়েছি। যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’ ‘আমাদের ঐকমত্য হয়েছে- এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে; সংসদ বাতিল করতে হবে। আমরা যেটা বলেছি, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে পার্লামেন্ট ও সরকার গঠিত হবে।’ আলোচনায় মৌলিক কোনো মতভেদ হয়নি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অতি দ্রুত শেষ করে একটা যৌক্তিক পর্যায় এসে পৌঁছাতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।
‘গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার যারা আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে, আমাদের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলোকে হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে একটা ফলপ্রসূ আন্দোলন করে এতে জয়যুক্ত হতে সক্ষম হব।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন দরকার। এভাবে যদি একটা জাতীয় রূপরেখা আজকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে হাজির হয় জনগণ নতুন করে আন্দোলিত হবে।’
‘একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারব। সেজন্য আমরা প্রাথমিকভাবে ঐকমত্য হয়েছি যুগপৎ ধারায় আন্দোলন যার যার অবস্থান থেকে পরিচালনা করতে হবে।’ বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন আলোচনায় অংশ নেন। অন্যদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে দলটি গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করল। এর আগে বিএনপি গত ২৪ মে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং ২৭ মে বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে এই রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘সরকারকে সরাতে’ বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্যে সাকির গণসংহতি

আপডেট সময় : ০১:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ‘যুগপৎ ধারায়’ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে গণসংহতি আন্দোলনের। সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামতে গণসংহতি আন্দোলন বিএনপিকে সাত দফা প্রস্তাবও দিয়েছে। রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটির সঙ্গে দুই ঘণ্টার রাজনৈতিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন। মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ‘রাজবন্দিদের’ মুক্তি, বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, বিদ্যমান সংবিধানের মৌলিক সংশোধনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের সব মানুষকে, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা একমত হয়েছি। যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’ ‘আমাদের ঐকমত্য হয়েছে- এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে; সংসদ বাতিল করতে হবে। আমরা যেটা বলেছি, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে পার্লামেন্ট ও সরকার গঠিত হবে।’ আলোচনায় মৌলিক কোনো মতভেদ হয়নি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অতি দ্রুত শেষ করে একটা যৌক্তিক পর্যায় এসে পৌঁছাতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।
‘গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার যারা আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে, আমাদের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলোকে হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে একটা ফলপ্রসূ আন্দোলন করে এতে জয়যুক্ত হতে সক্ষম হব।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন দরকার। এভাবে যদি একটা জাতীয় রূপরেখা আজকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে হাজির হয় জনগণ নতুন করে আন্দোলিত হবে।’
‘একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারব। সেজন্য আমরা প্রাথমিকভাবে ঐকমত্য হয়েছি যুগপৎ ধারায় আন্দোলন যার যার অবস্থান থেকে পরিচালনা করতে হবে।’ বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন আলোচনায় অংশ নেন। অন্যদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে দলটি গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করল। এর আগে বিএনপি গত ২৪ মে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং ২৭ মে বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে এই রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করেছে।