যশোর সংবাদদাতা : নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের খুলনা-বেনাপোল রুটে যশোরের শার্শা উপজেলার আমড়াখালী রেলসেতুর সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। ১৬৮ ফুট লম্বা সেতুটির সংস্কার ব্যয় হয়েছে ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে রেলসেতুর পায়ারের ওপর থেকে গার্ডার সরিয়ে সিসিক্রিপে গার্ডার বসিয়ে রেললাইনকে সচল করে ভারী যন্ত্রাংশ গ্যাংকার দিয়ে পরীক্ষা করে ট্রেন চালানো হয়। এদিকে যশোর-বেনাপোল রেলরুটে ১৩৮ বছরের পুরোনো ও ১৬৮ ফুট লম্বা রেলসেতুটি চলতি বছরের গত ২৩ মার্চ ১৮০ দিন মেয়াদে কাজ শুরু হয়। কাজটি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ১১ মে শেষ হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকোশলী-১ বীরবল ম-ল বলেন, যশোর-বেনাপোল রেলসেকশনের আমড়াখালী ৯৩ নম্বর রেলসেতুর চার পায়ারের পাঁচটি স্প্যানের দু’টি পিলার মাটিতে বসে গিয়ে হেলে পড়ছিল। এটা রেললাইন পরিদর্শনের সময় ১৩৮ বছরের পুরোনো রেলসেতুটি তাদের নজরে আসে। বিষয়টি দ্রুত প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে আলাপ করে তার নির্দেশে ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনগুলো চালানো হয়। তারপর টেন্ডারের মাধ্যমে ১৮০ দিনের মধ্যে এ রেলসেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ১১ মে এ রেলসেতু সংস্কারের কাজ শেষ করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) লিয়াকত শরীফ খান বলেন, যশোর-বেনাপোল রেলরুটের আমড়াখালী রেলসেতুটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হওয়ার পর রেলসেতুটিতে কোনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে এ রেলসেতুটির চার পিলারের পাঁচটি স্প্যানের দু’টি পিলার মাটিতে বসে গিয়ে হেলে পড়ছিল। রেলব্রিজের দু’টি পিলারের বেডব্লকে ফাটল ধরেছিল এবং এ রুটে একটি আন্তদেশীয় দুটি আন্তঃনগর ট্রেনসহ মালবাহী কয়েক জোড়া ট্রেন ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করেছিল। তাই সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এ রেলসেতুর কাজ শেষ করা হয়েছে। এ সময় এ রেলসেতুটি সংস্কার কাজে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) লিয়াকত শরীফ, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকোশলী-১ বীরবল ম-ল, সেতু প্রকৌশলী নাজিব কায়সার, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী যশোর, কাজী ওয়ালীউল হক, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী, রাজবাড়ি গৌতম বিশ্বাস, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) চাঁদ আহমেদ, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) হাসান আলী, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অনিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম রবি। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর কলকাতা থেকে কুষ্টিয়া প্রথম রেলপথ চালুর পর খুলনা-বেনাপোল রুটে রেল চলাচল শুরু হয়। ১৮৮৪ সালের শেষের দিকে ব্রিজটি নির্মিত হয় এবং একই সালে খুলনা-বেনাপোল রেলরুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল।