নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন। মামলাটি ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পাঠিয়ে ৩১ মার্চ চার্জ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। ওইদিন সম্রাটের জামিন আবেদনের শুনানিও হবে। মঙ্গলবার আসামি পক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর থেকে কারাগারে থাকা সম্রাটের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ওই বছরের ১৭ নভেম্বর আদালত সম্রাটের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্তের পর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করা হয়। কিন্তু সম্রাট ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে কারা নিয়ন্ত্রণাধীনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এতদিন তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। এজন্য মামলার কার্যক্রম এগোয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার শুনানি উপলক্ষে সম্রাটকে এম্বুলেন্সে করে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিকালে সম্রাট আদালতে চেয়ারে বসে ছিলেন। তাকে কাঠগড়ায় ওঠানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। এর পর সম্রাট ঢাকা থেকে পালিয়ে যান। ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে আটক করা হয় সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে। জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট তার কাছে অস্ত্র ও মাদক আছে বলে জানান। এরপর রাজধানীর কাকরাইলে ভূইয়া ম্যানশনের অফিস ও বাসার বেড রুমের বিছানার নিচ থেকে একটি অবৈধ ৭ দশমিক ৬৫ বোরের বিদেশী পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দুটি লাঠি এবং রুমের ভেতরে একটি লাগেজ থেকে ১৯ বোতল বিদেশী মদ, এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, চার প্যাকেট তাস জব্দ করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়। যে মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে। এর পর ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। একই দিনে আরমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ পরিচালক সালাউদ্দিন। পরবর্তীতে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়।
সম্রাটের অবৈধ সম্পদের মামলায় চার্জশিট গ্রহণ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ