ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

সম্মাননা পদক পেলেন ঢাকা বিভাগের ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতা

  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু প্রতিবেদন: অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিভাগের পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। এসময় শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন সংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম জয়িতা। সরকার তাদের অসামান্য অর্জনের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জয়কার, এর পেছনে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। দেশে এখন শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা। ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, আমরা যদি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে না পারি তবে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে পড়বো। বাল্যবিয়ে এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে।
তিনি বলেন, নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরসহ সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে জয়িতাদের চিহ্নিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
অনুষ্ঠানে ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, নারীদের কর্মক্ষেত্রের পথ সুগম ও মসৃণ করছে বর্তমান সরকার। বাংলাদেশের উন্নয়ন দুই কারণে হয়েছে। প্রথমত কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ করে দেওয়া আর দ্বিতীয়ত বাংলাদেশে ডিজিটাল কার্যক্রম রূপান্তর হওয়ায় সকল সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে।
ঢাকা বিভাগের সম্মাননা পাওয়া ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মর্জিনা আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার মুক্তা আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর মাহমুদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মোছা. আলেয়া বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঢাকার পল্লবীর রোকছানা পারভীন দীপু। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আরও যুক্ত ছিলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সম্মাননা পদক পেলেন ঢাকা বিভাগের ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতা

আপডেট সময় : ০৯:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নারী ও শিশু প্রতিবেদন: অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিভাগের পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। এসময় শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন সংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম জয়িতা। সরকার তাদের অসামান্য অর্জনের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জয়কার, এর পেছনে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। দেশে এখন শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা। ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, আমরা যদি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে না পারি তবে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে পড়বো। বাল্যবিয়ে এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে।
তিনি বলেন, নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরসহ সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে জয়িতাদের চিহ্নিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
অনুষ্ঠানে ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, নারীদের কর্মক্ষেত্রের পথ সুগম ও মসৃণ করছে বর্তমান সরকার। বাংলাদেশের উন্নয়ন দুই কারণে হয়েছে। প্রথমত কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ করে দেওয়া আর দ্বিতীয়ত বাংলাদেশে ডিজিটাল কার্যক্রম রূপান্তর হওয়ায় সকল সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে।
ঢাকা বিভাগের সম্মাননা পাওয়া ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মর্জিনা আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার মুক্তা আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর মাহমুদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মোছা. আলেয়া বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঢাকার পল্লবীর রোকছানা পারভীন দীপু। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আরও যুক্ত ছিলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা।