ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

সম্প্রীতির মডেল রাষ্ট্র গড়তে সরকার সচেষ্ট: শিক্ষামন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে নিয়ে সম্প্রীতির মডেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির মডেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছেন।”
গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে তিন দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলনে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দীপু মনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের যে অনুপম সৌধ নির্মাণ করে গেছেন, বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হক তার দীর্ঘ জীবনের নিরলস গবেষণা, সাহিত্য-রচনা ও নির্মোহ সাধনার আলোকে সেই সৌধটির অ্যাকাডেমিক ডিসকোর্স প্রণয়নে পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন।
“মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে যদি জালাল উদ্দিন রুমির মানবতাবাদী প্রেম-দর্শন ও বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার আলোকে ধর্মীয় সম্প্রীতির এক নিরাপদ ও শান্তিময় জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, তাহলে বাংলার রুমির সেই অ্যাকাডেমিক ডিসকোর্সকে অবলম্বন ও কার্যকর করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, “জালাল উদ্দিন রুমি ছিলেন প্রেম, সম্প্রীতি ও প্রজ্ঞার কবি। তিনি তার সাহিত্য-কর্মের মাধ্যমে মানবতাবাদী দর্শন প্রচার করেছেন। “এই আধ্যাত্মিক কবি, ইসলামী ব্যক্তিত্ব এবং সুফী সাধক তার লেখনীর মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে যে অনন্য অবদান রেখেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে আজও সমাদৃত।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে একটি ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ লাখ টাকার একটি চেক উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন আল্লামা রুমি সোসাইটির সহ-সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম। ভারত, ইরান, তুরস্কসহ ৭টি দেশের শিক্ষাবিদ ও গবষেকদের নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন। এ আয়োজনে বিভিন্ন দেশের ২৪ জন গবেষক ৮টি অ্যাকাডেমিক সেশনে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শতবর্ষপূর্তি ও ‘বাংলার রুমি’ সৈয়দ আহমদুল হকের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আল্লামা রুমি সোসাইটির সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকালে টিএসসিতে ঢাকার সমাপনী পর্ব শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাওয়ালি ও সুফি নৃত্য পরিবেশিত হবে। তাতে অতিথি হিসেবে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এরপর সোমবার সৈয়দ আহমদুল হকের প্রয়াণভূমি চট্টগ্রামের ইন্ডিপেন্ডেন্স ইউনিভার্সিটিতে এ সম্মেলনের শেষ আনুষ্ঠানিকতা সারা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আল্লামা রুমি সোসাইটির উপদেষ্টা সৈয়দ মাহমুদুল হক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিত দে ও সম্মেলন আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ও সম্মেলন আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সম্প্রীতির মডেল রাষ্ট্র গড়তে সরকার সচেষ্ট: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে নিয়ে সম্প্রীতির মডেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির মডেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছেন।”
গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে তিন দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলনে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দীপু মনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের যে অনুপম সৌধ নির্মাণ করে গেছেন, বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হক তার দীর্ঘ জীবনের নিরলস গবেষণা, সাহিত্য-রচনা ও নির্মোহ সাধনার আলোকে সেই সৌধটির অ্যাকাডেমিক ডিসকোর্স প্রণয়নে পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন।
“মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে যদি জালাল উদ্দিন রুমির মানবতাবাদী প্রেম-দর্শন ও বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার আলোকে ধর্মীয় সম্প্রীতির এক নিরাপদ ও শান্তিময় জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, তাহলে বাংলার রুমির সেই অ্যাকাডেমিক ডিসকোর্সকে অবলম্বন ও কার্যকর করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, “জালাল উদ্দিন রুমি ছিলেন প্রেম, সম্প্রীতি ও প্রজ্ঞার কবি। তিনি তার সাহিত্য-কর্মের মাধ্যমে মানবতাবাদী দর্শন প্রচার করেছেন। “এই আধ্যাত্মিক কবি, ইসলামী ব্যক্তিত্ব এবং সুফী সাধক তার লেখনীর মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে যে অনন্য অবদান রেখেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে আজও সমাদৃত।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে একটি ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ লাখ টাকার একটি চেক উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন আল্লামা রুমি সোসাইটির সহ-সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম। ভারত, ইরান, তুরস্কসহ ৭টি দেশের শিক্ষাবিদ ও গবষেকদের নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন। এ আয়োজনে বিভিন্ন দেশের ২৪ জন গবেষক ৮টি অ্যাকাডেমিক সেশনে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শতবর্ষপূর্তি ও ‘বাংলার রুমি’ সৈয়দ আহমদুল হকের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আল্লামা রুমি সোসাইটির সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকালে টিএসসিতে ঢাকার সমাপনী পর্ব শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাওয়ালি ও সুফি নৃত্য পরিবেশিত হবে। তাতে অতিথি হিসেবে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এরপর সোমবার সৈয়দ আহমদুল হকের প্রয়াণভূমি চট্টগ্রামের ইন্ডিপেন্ডেন্স ইউনিভার্সিটিতে এ সম্মেলনের শেষ আনুষ্ঠানিকতা সারা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আল্লামা রুমি সোসাইটির উপদেষ্টা সৈয়দ মাহমুদুল হক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিত দে ও সম্মেলন আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ও সম্মেলন আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন।