ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

সম্পর্ক ভেঙে গেলে দ্রুত অন্য সম্পর্কে নয়

  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: সম্পর্ক কেউ কি ভাঙতে চায়? সবাই তো চায় একটি সুন্দর সম্পর্ক লালন করে এগিয়ে যেতে। কিন্তু বাস্তবতা সব সময় আমাদের দেখানো পথে হাঁটে না। কত সম্পর্কই হুটহাট ভেঙে যায়। তারপর বাকি পথ সেই পরিচিত হাতটি ছাড়াই হাঁটতে হয়। কিন্তু এটিও জীবনেরই অংশ। সম্পর্ক ভাঙার মানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বরং নিজের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে নতুন করে শুরু করা। সম্পর্ক ভাঙার পর নিজেকে সামলে নেওয়ার জন্য কয়েকটি কাজ করা জরুরি। তা হলোÑ
বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো: সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে সহায়তা নিন কারণ তারা আপনাকে খুশি রাখবে, আপনার যত্ন নেবে এবং আপনাকে গাইড করে ভাঙা হৃদয় সারিয়ে তুলতে সহায়তা করবে। আপনার বন্ধু এবং পরিবার এরকম সময়ে আপনার সবচেয়ে বড় সমর্থন হতে পারে।
দ্রুত অন্য সম্পর্কে না জড়ানো নয়: অনেকে নিজের জন্য সময় না নিয়ে ব্রেক-আপের পরে অবিলম্বে সম্পর্কে জড়ান। তবে এক্ষেত্রে বিরতি দেওয়া উচিত এবং কী ভুল হয়েছে তা চিন্তা করা উচিত। নিজের অনুভূতিগুলো প্রক্রিয়া করার জন্য নিজকে সময় দেওয়া উচিত। এটি আপনাকে নিরাময় করতে এবং জীবনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
নিরাময়ে সময় নেওয়া: সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরে অবশ্যই সময় নিতে হবে। দ্রুত নতুন সম্পর্কের মধ্যে না গিয়ে, নিরাময়ের জন্য সময় এবং স্পেস নেওয়া উচিত। একটি ব্যর্থ সম্পর্ক আপনাকে দুঃখিত, হতাশ ও রাগান্বিত করতে পারে। এই অনুভূতিগুলো মøান হতে পারেÑ যদি আপনি নিজেকে এই আবেগগুলো প্রক্রিয়া ও নিরাময় করার জন্য সময় নেন।
নিজের দিকে মনোনিবেশ করা: সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে আপনি হয়তো কোনো শূন্যতা অনুভব করতে পারেন। সুতরাং শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেই সময়টি নিজের জন্য বিনিয়োগ করুন। আপনার অতীত সম্পর্ক থেকে নিরাময় এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন শখ এবং দক্ষতা গ্রহণ করুন।
ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো: ব্রেকআপ আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এই সময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। নিজেকে এক কোণে বিচ্ছিন্ন করার পরিবর্তে নিরাময় এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার চারপাশের ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে সময় কাটান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সম্পর্ক ভেঙে গেলে দ্রুত অন্য সম্পর্কে নয়

আপডেট সময় : ০৫:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: সম্পর্ক কেউ কি ভাঙতে চায়? সবাই তো চায় একটি সুন্দর সম্পর্ক লালন করে এগিয়ে যেতে। কিন্তু বাস্তবতা সব সময় আমাদের দেখানো পথে হাঁটে না। কত সম্পর্কই হুটহাট ভেঙে যায়। তারপর বাকি পথ সেই পরিচিত হাতটি ছাড়াই হাঁটতে হয়। কিন্তু এটিও জীবনেরই অংশ। সম্পর্ক ভাঙার মানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বরং নিজের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে নতুন করে শুরু করা। সম্পর্ক ভাঙার পর নিজেকে সামলে নেওয়ার জন্য কয়েকটি কাজ করা জরুরি। তা হলোÑ
বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো: সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে সহায়তা নিন কারণ তারা আপনাকে খুশি রাখবে, আপনার যত্ন নেবে এবং আপনাকে গাইড করে ভাঙা হৃদয় সারিয়ে তুলতে সহায়তা করবে। আপনার বন্ধু এবং পরিবার এরকম সময়ে আপনার সবচেয়ে বড় সমর্থন হতে পারে।
দ্রুত অন্য সম্পর্কে না জড়ানো নয়: অনেকে নিজের জন্য সময় না নিয়ে ব্রেক-আপের পরে অবিলম্বে সম্পর্কে জড়ান। তবে এক্ষেত্রে বিরতি দেওয়া উচিত এবং কী ভুল হয়েছে তা চিন্তা করা উচিত। নিজের অনুভূতিগুলো প্রক্রিয়া করার জন্য নিজকে সময় দেওয়া উচিত। এটি আপনাকে নিরাময় করতে এবং জীবনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
নিরাময়ে সময় নেওয়া: সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরে অবশ্যই সময় নিতে হবে। দ্রুত নতুন সম্পর্কের মধ্যে না গিয়ে, নিরাময়ের জন্য সময় এবং স্পেস নেওয়া উচিত। একটি ব্যর্থ সম্পর্ক আপনাকে দুঃখিত, হতাশ ও রাগান্বিত করতে পারে। এই অনুভূতিগুলো মøান হতে পারেÑ যদি আপনি নিজেকে এই আবেগগুলো প্রক্রিয়া ও নিরাময় করার জন্য সময় নেন।
নিজের দিকে মনোনিবেশ করা: সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে আপনি হয়তো কোনো শূন্যতা অনুভব করতে পারেন। সুতরাং শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেই সময়টি নিজের জন্য বিনিয়োগ করুন। আপনার অতীত সম্পর্ক থেকে নিরাময় এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন শখ এবং দক্ষতা গ্রহণ করুন।
ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো: ব্রেকআপ আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এই সময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। নিজেকে এক কোণে বিচ্ছিন্ন করার পরিবর্তে নিরাময় এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার চারপাশের ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে সময় কাটান।